'জামায়াত সীমা ছাড়িয়ে গেছে' by মেহেদী হাসান
হরতালের সময় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িতে হামলা চালিয়ে জামায়াত তার সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় প্রভাবশালী একটি দেশের শীর্ষ কূটনীতিক। তিনি বলেছেন, 'জামায়াত হ্যাজ ক্রসড দ্য রেড লাইন।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কূটনীতিক গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে জানান, বড়দিনের প্রাক্কালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে গত বুধবার সন্ধ্যায় একত্রিত হয়েছিলেন বিদেশি মিশনগুলোর কূটনীতিকরা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল হরতালের সময় গাড়িতে জামায়াতের হামলা। সে সময় একজন রাষ্ট্রদূত বলেন, জামায়াত সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
অন্য কূটনীতিকরা ওই সময় জামায়াতকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
ওই কূটনীতিক জানান, মঙ্গলবার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে হরতাল আহ্বানকারীদের যোগাযোগ হয়। হরতাল আহ্বানকারীরা দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেবে- এমন সিদ্ধান্তও যে তখনই হয়েছিল সে ব্যাপারে ঢাকার অন্য দূতাবাসগুলোর অনেক কর্মকর্তাই জানতেন।
ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর জামায়াত দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়ে বিবৃতি দেয়। অন্যদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছে।
এদিকে আগামী শনিবার ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি রবার্ট ওব্লেক জুনিয়র। ঢাকা সফরকালে জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ঢাকার বিদেশি কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বিষয়াদির পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচার নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। রায় ঘোষণা হলে জামায়াত কী করতে পারে- এমন ভাবনাও তাঁদের মধ্যে আছে।
কূটনৈতিক সূত্রমতে, জামায়াত 'আন্ডার গ্রাউন্ডে' চলে যাবে- এমনটা এখনই মনে করেন না কূটনীতিকরা। তা ছাড়া ওই দলের তরুণ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ থেকে কূটনীতিকরা জানতে পেরেছেন 'যুদ্ধাপরাধের' দায় দলের জন্য এখন বোঝা বলে মনে করেন জামায়াতের ওই তরুণ নেতারা। তাঁদের ধারণা, এ দায় থেকে মুক্তি পেলে দলটি ভবিষ্যতে আর 'অস্পৃশ্য' থাকবে না।
অন্য কূটনীতিকরা ওই সময় জামায়াতকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
ওই কূটনীতিক জানান, মঙ্গলবার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে হরতাল আহ্বানকারীদের যোগাযোগ হয়। হরতাল আহ্বানকারীরা দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেবে- এমন সিদ্ধান্তও যে তখনই হয়েছিল সে ব্যাপারে ঢাকার অন্য দূতাবাসগুলোর অনেক কর্মকর্তাই জানতেন।
ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর জামায়াত দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়ে বিবৃতি দেয়। অন্যদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছে।
এদিকে আগামী শনিবার ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি রবার্ট ওব্লেক জুনিয়র। ঢাকা সফরকালে জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ঢাকার বিদেশি কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বিষয়াদির পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান বিচার নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। রায় ঘোষণা হলে জামায়াত কী করতে পারে- এমন ভাবনাও তাঁদের মধ্যে আছে।
কূটনৈতিক সূত্রমতে, জামায়াত 'আন্ডার গ্রাউন্ডে' চলে যাবে- এমনটা এখনই মনে করেন না কূটনীতিকরা। তা ছাড়া ওই দলের তরুণ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ থেকে কূটনীতিকরা জানতে পেরেছেন 'যুদ্ধাপরাধের' দায় দলের জন্য এখন বোঝা বলে মনে করেন জামায়াতের ওই তরুণ নেতারা। তাঁদের ধারণা, এ দায় থেকে মুক্তি পেলে দলটি ভবিষ্যতে আর 'অস্পৃশ্য' থাকবে না।
No comments