সাভার থানায় তানভীরকে জামাই আদর! by জাহাঙ্গীর সুমন
আলোচিত হলমার্ক কেলেংকারির মূল হোতা হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ ও জিএম (মহাব্যবস্থাপক) তুষার আহম্মেদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসার নামে জামাই আদরে রেখেছিলো সাভার মডেল থানা পুলিশ।
৮ অক্টোবর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের(র্যাব)ওপর হামলার ঘটনায় র্যাবের(৪) এর নায়েক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এমডি তানভীর ও জিএম তুষারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়শ’ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় গত বুধবার তাদের দুইজনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তাদের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একইদিন সন্ধ্যায় এমডি তানভীর ও জিএম তুষারকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাভার মডেল থানায় আনা হয়। থানায় আনার পর রাত ১১ টা পর্যন্ত হাজতে রাখা হয় তাদের । তবে এরপর তাদের আর থানার হাজতখানায় দেখা যায়নি।
সাভার মডেল থানার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, জিঞ্জাসাবাদের নামে তাদের থানা কম্পাউন্ডের ভেতর অবস্থিত অফিসার্স কোয়ার্টারে নিয়ে জামাই আদরে রেখেছিলেন থানার ওসি(ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আসাদুজ্জামান।
এমনকি তানভীরকে থানায় রিমান্ডে নিয়ে আসার পর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠজনদেরও সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত তানভীর মাহমুদ ও তুষারের আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্খীসহ পরিচিতজনদের আনাগোনায় থানা কম্পাউন্ড ছিল সরগরম। রিমান্ডের আসামিকে থানা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা খাবারের বাইরে কোন খাবার দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও তাদের ক্ষেত্রে হয়েছে হয়েছে উল্টো। রাতে বাসমতি চালের ভাত, দেশি মুরগির মাংস, চাইনিজ সবজি ও কয়েক রকমের ভর্তা খেতে দেওয়া হয়। সকালে তাদের যেখানে ঘুমাতে দেওয়া হয়েছিলো সেখানে পরোটা গরুর মাংস, ডিম আর চা খেতে দেওয়া হয়।
ওই রাতে থানায় সাংবাদিকদের প্রবেশে ছিলো কড়াকড়ি, আর তানভীর মাহমুদের সঙ্গে সাংবাদিকরা যেন কোন রকমের কথাবার্তা বলতে না পারেন এজন্য একজন এএসআইকে(সহকারী উপ পরিদর্শক) সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। আর এসব কিছু তদারকি করছিলেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই (উপপরিদর্শক) রোমান।
ওই সূত্র আরো জানায়, হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদের সঙ্গে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের আগে থেকেই থেকেই গভীর সখ্যতা রয়েছে। যে কারনে ভূমিদস্যু তানভীরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসলে তা গ্রহণ করা হতো না। এছাড়া সাভার মডেল থানার একাধিক কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিপুল অর্থবিত্ত ও বাড়ি, গাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই হলমার্কের এমডিকে কষ্টের জেলজীবন থেকে বের করে এনে একটু আরাম আয়েশের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় এনে জামাই আদর করা হয়েছে বলে থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, বুধবার থানায় নিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাকে আর হাজতখানায় দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব অস্বীকার করে রিমান্ডে কি করতে হয় তা তার জানা আছে বলে উল্লেখ করেন। এমনকি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের আইন বিষয়ে তার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে রিমান্ড কখন থেকে শুরু আর কখন তা শেষ হলো, তা জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।
এত দিন পরে কেন তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, “অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকার কারণে র্যাবের ওপর হামলার মামলায় এতদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি ”।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের অর্থ কারসাজির ঘটনায় হলমার্কের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৬ অক্টোবর রাতে সাভারের হেমায়েতপুর নন্দখালী এলাকার হলমার্ক গ্রুপে এমডি তানভীর মাহমুদ ও জিএম তুষারকে গ্রেপ্তার করতে যায় র্যাব-৪ সদস্যরা।
এ সময় র্যাব সদস্যরা ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে হলমার্ক গ্রুপের অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়শ’ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র্যাবের উপর হামলা চালালে চার র্যাব সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় র্যাব-৪ এর নায়েক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ অক্টোবর তানভীর ও তুষারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়শ’ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
একইদিন সন্ধ্যায় এমডি তানভীর ও জিএম তুষারকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাভার মডেল থানায় আনা হয়। থানায় আনার পর রাত ১১ টা পর্যন্ত হাজতে রাখা হয় তাদের । তবে এরপর তাদের আর থানার হাজতখানায় দেখা যায়নি।
সাভার মডেল থানার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, জিঞ্জাসাবাদের নামে তাদের থানা কম্পাউন্ডের ভেতর অবস্থিত অফিসার্স কোয়ার্টারে নিয়ে জামাই আদরে রেখেছিলেন থানার ওসি(ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আসাদুজ্জামান।
এমনকি তানভীরকে থানায় রিমান্ডে নিয়ে আসার পর তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠজনদেরও সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত তানভীর মাহমুদ ও তুষারের আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্খীসহ পরিচিতজনদের আনাগোনায় থানা কম্পাউন্ড ছিল সরগরম। রিমান্ডের আসামিকে থানা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা খাবারের বাইরে কোন খাবার দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও তাদের ক্ষেত্রে হয়েছে হয়েছে উল্টো। রাতে বাসমতি চালের ভাত, দেশি মুরগির মাংস, চাইনিজ সবজি ও কয়েক রকমের ভর্তা খেতে দেওয়া হয়। সকালে তাদের যেখানে ঘুমাতে দেওয়া হয়েছিলো সেখানে পরোটা গরুর মাংস, ডিম আর চা খেতে দেওয়া হয়।
ওই রাতে থানায় সাংবাদিকদের প্রবেশে ছিলো কড়াকড়ি, আর তানভীর মাহমুদের সঙ্গে সাংবাদিকরা যেন কোন রকমের কথাবার্তা বলতে না পারেন এজন্য একজন এএসআইকে(সহকারী উপ পরিদর্শক) সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। আর এসব কিছু তদারকি করছিলেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই (উপপরিদর্শক) রোমান।
ওই সূত্র আরো জানায়, হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদের সঙ্গে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের আগে থেকেই থেকেই গভীর সখ্যতা রয়েছে। যে কারনে ভূমিদস্যু তানভীরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসলে তা গ্রহণ করা হতো না। এছাড়া সাভার মডেল থানার একাধিক কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিপুল অর্থবিত্ত ও বাড়ি, গাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই হলমার্কের এমডিকে কষ্টের জেলজীবন থেকে বের করে এনে একটু আরাম আয়েশের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় এনে জামাই আদর করা হয়েছে বলে থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, বুধবার থানায় নিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাকে আর হাজতখানায় দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব অস্বীকার করে রিমান্ডে কি করতে হয় তা তার জানা আছে বলে উল্লেখ করেন। এমনকি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের আইন বিষয়ে তার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে রিমান্ড কখন থেকে শুরু আর কখন তা শেষ হলো, তা জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।
এত দিন পরে কেন তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, “অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকার কারণে র্যাবের ওপর হামলার মামলায় এতদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি ”।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের অর্থ কারসাজির ঘটনায় হলমার্কের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৬ অক্টোবর রাতে সাভারের হেমায়েতপুর নন্দখালী এলাকার হলমার্ক গ্রুপে এমডি তানভীর মাহমুদ ও জিএম তুষারকে গ্রেপ্তার করতে যায় র্যাব-৪ সদস্যরা।
এ সময় র্যাব সদস্যরা ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে হলমার্ক গ্রুপের অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়শ’ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র্যাবের উপর হামলা চালালে চার র্যাব সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় র্যাব-৪ এর নায়েক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ অক্টোবর তানভীর ও তুষারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়শ’ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
No comments