নদী দখল করে গুচ্ছগ্রাম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের জন্য নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়ায় নলিয়া নদী ভরাট করা হচ্ছে। কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস এ কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, নদীর এ অংশ সিএস রেকর্ডে নদী হিসেবে ছিল। নদীটি নাব্যতা হারানোয় জায়গাটি চর হিসেবে পরিচিতি পায়। বর্তমানে এ জমি নদী শিকস্তি হিসেবে খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। নদী শিকস্তি জমি বরাদ্দ দেওয়া যায় না। চেয়ারম্যান কীভাবে মাটি ভরাটের কাজ করছেন, জানি না। প্রায় ৫০ শতাংশ জমি দখল করে এ কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।
নদীদখল ও বরাদ্দ বাতিলের দাবিতে এলাকার কয়েক শ মানুষ গত মঙ্গলবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে সঞ্চারকলিপি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, নলিয়া নদীর কলাবাড়িয়া গ্রামের তালুকদারপাড়ার দক্ষিণ অংশে কলাবাড়িয়া মৌজার খাস খতিয়ানের প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে যন্ত্র দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, নদীটি সরু খালের মতো হলেও এখানে এখনো জোয়ার-ভাটা হয়। কৃষকেরা এ নদীর পানি দিয়ে জমিতে সেচ দেন ও নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ গৃহস্থালির কাজ করেন। তিনি আরও বলেন, নদীর চরে গুচ্ছগ্রাম করলে পরিবেশ নষ্ট হবে।
‘নদী বাঁচাও আন্দোলন’ নড়াইলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মতিন বলেন, গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের নামে দখলে নেওয়া আর সরকারি বরাদ্দের নামে বৈধতা দেওয়া, যে নামেই হোক না কেন, তা নদী দখলই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে কলাবাড়িয়া-শ্রীনগর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২০৮ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানা।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, নদীতে নাব্যতা না থাকায় জেগে ওঠা চরের ৬৫ ফুট চওড়া এবং এক হাজার ৭০০ ফুট লম্বা জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, প্রকল্পের নামে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ওই জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। যারা আগে থেকেই নদীর জায়গা অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে, তারাই এর বিরোধিতা করছে।
প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য সোহেল রানা দাবি করেন, ওই জমি স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।
ইউএনও ফারুক আহমঞ্চদ বলেন, নদী দখল করে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে তা অবৈধ। ওই কাজ বন্ধ করার জন্য চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পরও এ ধরনের কর্মকাণ্ড চললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জহুরুল হক বলেন, ওই জায়গা আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত স্থান কি না, সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া ওই কাজ বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ইতিমধ্যে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।
নদীদখল ও বরাদ্দ বাতিলের দাবিতে এলাকার কয়েক শ মানুষ গত মঙ্গলবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে সঞ্চারকলিপি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, নলিয়া নদীর কলাবাড়িয়া গ্রামের তালুকদারপাড়ার দক্ষিণ অংশে কলাবাড়িয়া মৌজার খাস খতিয়ানের প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে যন্ত্র দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, নদীটি সরু খালের মতো হলেও এখানে এখনো জোয়ার-ভাটা হয়। কৃষকেরা এ নদীর পানি দিয়ে জমিতে সেচ দেন ও নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ গৃহস্থালির কাজ করেন। তিনি আরও বলেন, নদীর চরে গুচ্ছগ্রাম করলে পরিবেশ নষ্ট হবে।
‘নদী বাঁচাও আন্দোলন’ নড়াইলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মতিন বলেন, গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের নামে দখলে নেওয়া আর সরকারি বরাদ্দের নামে বৈধতা দেওয়া, যে নামেই হোক না কেন, তা নদী দখলই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে কলাবাড়িয়া-শ্রীনগর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২০৮ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানা।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, নদীতে নাব্যতা না থাকায় জেগে ওঠা চরের ৬৫ ফুট চওড়া এবং এক হাজার ৭০০ ফুট লম্বা জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, প্রকল্পের নামে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ওই জমি বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। যারা আগে থেকেই নদীর জায়গা অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে, তারাই এর বিরোধিতা করছে।
প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য সোহেল রানা দাবি করেন, ওই জমি স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।
ইউএনও ফারুক আহমঞ্চদ বলেন, নদী দখল করে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে তা অবৈধ। ওই কাজ বন্ধ করার জন্য চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পরও এ ধরনের কর্মকাণ্ড চললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জহুরুল হক বলেন, ওই জায়গা আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত স্থান কি না, সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া ওই কাজ বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ইতিমধ্যে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।
No comments