দেশে ধূমপানের হার কমছে না
পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে ধূমপানের প্রবণতা কমছে, সেখানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ উন্নয়নশীল অনেক দেশেই ধূমপানে আসক্তির হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন উদ্বেগজনক তথ্য।
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের অন্তত ৪৩ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে তামাক সেবন করে থাকেন। দেশের মোট পুরুষদের ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ ও নারীদের ১ দশমিক ৫ শতাংশ ধূমপান করেন। পাশাপাশি ৬৩ শতাংশেরও বেশি শ্রমিক কর্মস্থলে ধূমপান করে থাকেন।
মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্তদের চেয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা অনেক বেশি। তবে সার্বিকভাবে সব শ্রেণীর মধ্যেই কমবেশি ধূমপানের প্রভাব রয়েছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর ধূমপানজনিত কারণে মারা যান ৫৭ হাজার মানুষ । ধূমপান জনিত রোগে ভোগেন আরো প্রায় ৩ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশের নারীরা রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশের কারণে ধূমপানের দিকে তেমন আকৃষ্ট না হলেও সম্প্রতি তাদের মধ্যেও ধূমপানের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ধূমপান নিরুৎসাহিতকরণে সরকারি উদ্যোগেও অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার ধূমপানবিরোধী আইন পাশ করলেও সেটার বাস্তব কোনো প্রয়োগ প্রায় দেখা যায়না বলেই চলে।
বাংলাদেশের সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপানের ঝুঁকি সম্পর্কিত ছবি সংযুক্ত না করায় গত মাসে কানাডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের নিন্দা জানিয়েছিল। বিশ্বের অনেক দেশই ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করার জন্য সম্প্রতি এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলমের মতে, বাংলাদেশের রাস্তায় ও যানবাহনে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অন্তত দেড় কোটি নারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
বাংলাদেশে নিম্নবিত্তদের মধ্যে ধূমপানের ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের কারণ হিসেবে বিনোদনের অভাবকে দায়ী করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষরা প্রচুর পরিমাণে উচ্চ ক্ষতিকর উপাদান সমৃদ্ধ ‘বিড়ি’ সেবন করে থাকেন। এর আগে প্যারিস ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপ জানিয়েছিলো ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিড়ি সেবনের হার ৮০ শতাংশেরও বেশি পরিমাণে বেড়ে গেছে।
এছাড়া ধূমপায়ীদের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তামাক জাতীয় পণ্যের নিম্নমূল্যও দায়ী বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে। বাংলাদেশে যেখানে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এক প্যাকেট সিগারেট পাওয়া যায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এক প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৮০০ টাকা (১০ ডলার)।
বিড়ির উপর কর আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্তত ৩৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ধূমপান প্রবণতা রোধ করা সম্ভব। এছাড়া ৩৫ লাখ কিশোরকেও ধূমপানে আসক্ত হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ধূমপায়ীদের দুই তৃতীয়াংশই তাদের ১৭তম জন্মদিনে ধূমপান শুরু করেন। একে তারা অনেকটা কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পৌঁছানোর প্রতীক হিসেবে মনে করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ধূমপানের ব্যাপক প্রবণতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের মতে, যুক্তরাজ্য নিবাসী বাংলাদেশিদের অন্তত অর্ধেক ধূমপানে আসক্ত।
গবেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ধূমপান কেবল সংস্কৃতির অংশ নয়, বরং এসব দেশে ধূমপানকে তারুণ্য ও পৌরুষের প্রতীক বলে মনে করেন ধূমপায়ীরা। এর পেছনে বলিউডের চলচ্চিত্রেরও একটি বিশাল ক্ষতিকর ভূমিকা আছে বলে মনে করেন তারা।
জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে ধূমপান বিরোধী ইতিবাচক মনোভাব ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা সম্ভব বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্তদের চেয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা অনেক বেশি। তবে সার্বিকভাবে সব শ্রেণীর মধ্যেই কমবেশি ধূমপানের প্রভাব রয়েছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর ধূমপানজনিত কারণে মারা যান ৫৭ হাজার মানুষ । ধূমপান জনিত রোগে ভোগেন আরো প্রায় ৩ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশের নারীরা রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশের কারণে ধূমপানের দিকে তেমন আকৃষ্ট না হলেও সম্প্রতি তাদের মধ্যেও ধূমপানের হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ধূমপান নিরুৎসাহিতকরণে সরকারি উদ্যোগেও অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার ধূমপানবিরোধী আইন পাশ করলেও সেটার বাস্তব কোনো প্রয়োগ প্রায় দেখা যায়না বলেই চলে।
বাংলাদেশের সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপানের ঝুঁকি সম্পর্কিত ছবি সংযুক্ত না করায় গত মাসে কানাডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশের নিন্দা জানিয়েছিল। বিশ্বের অনেক দেশই ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করার জন্য সম্প্রতি এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলমের মতে, বাংলাদেশের রাস্তায় ও যানবাহনে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অন্তত দেড় কোটি নারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
বাংলাদেশে নিম্নবিত্তদের মধ্যে ধূমপানের ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের কারণ হিসেবে বিনোদনের অভাবকে দায়ী করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষরা প্রচুর পরিমাণে উচ্চ ক্ষতিকর উপাদান সমৃদ্ধ ‘বিড়ি’ সেবন করে থাকেন। এর আগে প্যারিস ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপ জানিয়েছিলো ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিড়ি সেবনের হার ৮০ শতাংশেরও বেশি পরিমাণে বেড়ে গেছে।
এছাড়া ধূমপায়ীদের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তামাক জাতীয় পণ্যের নিম্নমূল্যও দায়ী বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে। বাংলাদেশে যেখানে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এক প্যাকেট সিগারেট পাওয়া যায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এক প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৮০০ টাকা (১০ ডলার)।
বিড়ির উপর কর আরও বৃদ্ধির মাধ্যমে অন্তত ৩৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ধূমপান প্রবণতা রোধ করা সম্ভব। এছাড়া ৩৫ লাখ কিশোরকেও ধূমপানে আসক্ত হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ধূমপায়ীদের দুই তৃতীয়াংশই তাদের ১৭তম জন্মদিনে ধূমপান শুরু করেন। একে তারা অনেকটা কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পৌঁছানোর প্রতীক হিসেবে মনে করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও ধূমপানের ব্যাপক প্রবণতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের মতে, যুক্তরাজ্য নিবাসী বাংলাদেশিদের অন্তত অর্ধেক ধূমপানে আসক্ত।
গবেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ধূমপান কেবল সংস্কৃতির অংশ নয়, বরং এসব দেশে ধূমপানকে তারুণ্য ও পৌরুষের প্রতীক বলে মনে করেন ধূমপায়ীরা। এর পেছনে বলিউডের চলচ্চিত্রেরও একটি বিশাল ক্ষতিকর ভূমিকা আছে বলে মনে করেন তারা।
জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে ধূমপান বিরোধী ইতিবাচক মনোভাব ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা সম্ভব বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments