ইউরোপীয় ইউনিয়নে পর্নো তারকার আশ্রয় প্রার্থনা
নিজের দেশের বিচারের হুমকির মুখে রয়েছেন বলে দাবি করে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন ইউক্রেনের প্রথম পর্নো তারকা অ্যানাস্থাশিয়া গ্রেশাই।
উইসকা বলে পরিচিত গ্রেশাই দাবি করেছেন পর্নোগ্রাফি নির্মাণ এবং বিতরণের অভিযোগ আনার পর এখন তিনি ইউক্রেনে বিচারের সম্মুখনী হচ্ছেন। তাই তিনি চেক রিপাবলিকে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ইউক্রেনে পর্নোগ্রাফি বিরোধী কঠোর আইন কার্যকর করার এক বছর পর তিনি ২০১০ সালে এ আবেদন করেছিলেন। চেক কর্তৃপক্ষ অবশ্য তার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
এখন তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজন হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালতে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ৩০ এর কোঠায় বয়সী গ্রেশাই বলেছেন, আমাকে দেশ ছাড়ার জন্য ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। আমি যে ইউক্রেন ফিরে যেতে পারছি না। তাতে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। এক সন্তানসহ আমাকে স্বামী ত্যাগ করেছিল। আমি তখন বিভিন্ন ম্যাগাজিনে মডেল হিসেবে কাজ করতাম। আমাকে তখন একটি পর্নো মুভিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়ায় আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, আমার তখন অর্থের দরকার ছিল। তিনি বলেন আমি কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে চেষ্টা করছি যে, আমি ব্যবসায়িক খাতিরে এ ধরনের কাজ করিনি। আমার সন্তানের মুখের আহার যোগাতেই আমাকে এ কাজ করতে হয়েছিল। তিন সন্তানের জননী গ্রেশাই দাবি করেছেন সমাজ সেবা অধিদপ্তর সন্তানদেরকে তাদের জিম্মায় নেয়ার হুমকি দিয়েছে। ইউক্রেনের একটি নারীবাদী সংগঠন এখন গ্রেশাইকে সমর্থন দিচ্ছে। এর সদস্যরা এখন দেশজুড়েই বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। একটি টকশোতে তাকে দেখার পর কমিউনিস্ট এমপি লিওনাইড গ্রাচ ক্ষিপ্ত হওয়ায় পুলিশ এখন তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে। তার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ তার স্বামীর কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি পেয়েছে। তার স্বামী অবশ্য দাবি করেছেন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই সেগুলো তার কম্পিউটারে রাখা হয়েছে। তবে গ্রেশাই বলছেন তারা মজুত এবং নির্মাণের পার্থক্য বুঝতে চাইছেন না। আমি আমার অভিনয়ের স্বত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাহলে কিভাবে আমি এর বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হলাম?
No comments