ছড়া দিলাম ছড়িয়ে by আখতার হুসেন

লোকটা
লোকটা না একমনে সুতো কাটে চরকায়
কী যেন কী কারণে সে থেকে থেকে ভড়কায়।
ভুল হলে কাজটাজে
বকা খায় মাঝেসাঝে
সেই সাথে মালিকের ঠুসি আর চড় খায়।
তার পরও সেই লোক
মাথায় চাপলে রোখ
গরুর দুধের মেলা পুরু মোটা সর খায়
ফোঁস ফোঁস করে আর মুঠো মুঠো খড় খায়।

এখানে এ দেশে
ঢাকা-চিটাগাং কোত্থাও নয়
বাড়ি তার নাকি হুগলি,
অভ্যাস তার এর-ওর নামে
সারাদিন করা চুগলি।
তিলেক মাত্র চুপ থাকে নাকো
সাড়া দেয় না সে, যত তাকে ডাকো।
তবে মাঝেসাঝে খেলে সে ক্রিকেট
বল করে ভালো গুগিল
হ্যাংলা কাউকে দেখলেই বলে
রোগে কয় দিন ভুগলি!

পাঁচ ভাই
পাঁচ ভাই ঘাট লেনে থাকে ওরা
গোনা ও গুনতি পাঁচ ভাই
কখন কী করে আগে থেকে সেটা
যায় না তো করা আঁচ ভাই।
এমনিতে তারা সহজ সরল
মনেটনে নেই একটু গরল
মেঘ ডাকলেই পড়শিকে ডেকে
বলে, তোরা সব সাজ ভাই
বৃষ্টি হলেই ভিজতে ভিজতে
বলে, মন খুলে নাচ ভাই।

ভুল নায়
ঢাকা থেকে যাবে বলে জলপথে খুলনায়
তড়িঘড়ি লোকটা না চেপে বসে ভুল নায়!
সেই নাও তাকে নিয়ে আসে সোজা বগুড়ায়
স্বাগত জানায় তাকে মিস্টার রঘু রায়।
রঘু তাকে নিয়ে তোলে হোটেলের কামরায়
শুতে দিলে বিছানায় ছারপোকা কামড়ায়।
কামড়ে কামড়ে তার প্রাণখানা যায় যায়
হোটেল ছাড়ার আগে ভালো করে খায়দায়।
শেষে আর করবে কি চলে আসে খুলনায়
তবে সোজা ট্রেনে চেপে, নয় মোটে ভুল নায়।

চিং চ্যাং চিনছু
চীনেম্যান কী যে বলে চিং চ্যাং চিনছু
বলে, ‘প্রতিদিন আমি কত কিছু কিনছু!
কিনছি তো হালি হালি খুব ভালো আম্র
খাচ্ছি তো মজা করে দিয়ে তাতে কাম্র।’
গান গায় নেচেকুদে হিং হাং হাইচু,
বলে, ‘এই দেশে এসে কত কিছু পাইছু।
নামটা আমার হয় ছুং ছ্যাং ছ্যাংড়া
বয়সটা বেশি নয়, একেবারে চ্যাংড়া।’

No comments

Powered by Blogger.