স্কুলটিকে রক্ষা করুন by মাঃ আঃ সোবহান
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন পদুরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় পঞ্চাশের দশকে। ময়মনসিংহের পশ্চিমে এই স্কুলটির বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে স্কুলে এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তা সত্ত্বেও স্কুলটি যেন হারাতে বসেছে ঐতিহ্য ও খ্যাতি।
এর পেছনে দায়ী স্কুলটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি স্কুলটিতে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। এর সঙ্গে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য আর্থিক অনিয়ম। এসব কারণে এলাকাবাসীও তার ওপর ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ।
স্কুল সংলগ্ন ঢাকা-জামালপুর মহাসড়ক। বর্তমানে সেই সড়কের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের কিছু জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে প্রায় ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে। সেই টাকাটা প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অধিগ্রহণকৃত জায়গায় স্কুলের একটি মার্কেট ছিল। সেই মার্কেটের দোকানের পজিশন ভাড়া বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকারও কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত কমিটি এই অর্থের সন্ধান বাববার জানতে চাইলেও তিনি কমিটিকে কোনো সদুত্তর দেননি। এমতাবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে তিনি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না দিয়ে কৌশলে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন কমিটিবিহীন স্কুল পরিচালনা করেন। সম্প্রতি দায় এড়াতে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। উলিল্গখিত বিষয়গুলো নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রতিকার চেয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এমপি স্কুলের সার্বিক অনিয়মের বিষয়গুলো তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুলে তদন্তের জন্য এলে প্রধান শিক্ষক কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি। উপরন্তু স্কুল বন্ধ করে দিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীসহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী জেলা শিক্ষা অফিসারকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করেন। তদন্তে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিক বিষয়াবলি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুস সবুরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্কুলের প্রবীণ শিক্ষক অমল চন্দ্র বিশ্বাসকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেন।
কিন্তু আবদুস সবুর বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ না করে গত ২০ এপ্রিল ২০১১ বুধবার একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্কুলে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তিনি স্কুলের দোতলার শ্রেণীকক্ষে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। পরে মুক্তাগাছা থানার পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে অন্য রাস্তায় বাসায় পেঁৗছে দেন। ফলে সেদিনকার বিশৃঙ্খল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের এক হাজার পরীক্ষার্থী চলমান প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিতে পারেনি। এটা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই স্কুলটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হোক । এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হ পদুরবাড়ী, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
স্কুল সংলগ্ন ঢাকা-জামালপুর মহাসড়ক। বর্তমানে সেই সড়কের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের কিছু জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে প্রায় ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে। সেই টাকাটা প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণভাবে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অধিগ্রহণকৃত জায়গায় স্কুলের একটি মার্কেট ছিল। সেই মার্কেটের দোকানের পজিশন ভাড়া বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকারও কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত কমিটি এই অর্থের সন্ধান বাববার জানতে চাইলেও তিনি কমিটিকে কোনো সদুত্তর দেননি। এমতাবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে তিনি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না দিয়ে কৌশলে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন কমিটিবিহীন স্কুল পরিচালনা করেন। সম্প্রতি দায় এড়াতে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। উলিল্গখিত বিষয়গুলো নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রতিকার চেয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এমপি স্কুলের সার্বিক অনিয়মের বিষয়গুলো তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার স্কুলে তদন্তের জন্য এলে প্রধান শিক্ষক কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি। উপরন্তু স্কুল বন্ধ করে দিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীসহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী জেলা শিক্ষা অফিসারকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করেন। তদন্তে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিক বিষয়াবলি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুস সবুরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্কুলের প্রবীণ শিক্ষক অমল চন্দ্র বিশ্বাসকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করেন।
কিন্তু আবদুস সবুর বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ না করে গত ২০ এপ্রিল ২০১১ বুধবার একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্কুলে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তিনি স্কুলের দোতলার শ্রেণীকক্ষে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। পরে মুক্তাগাছা থানার পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে অন্য রাস্তায় বাসায় পেঁৗছে দেন। ফলে সেদিনকার বিশৃঙ্খল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের এক হাজার পরীক্ষার্থী চলমান প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিতে পারেনি। এটা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই স্কুলটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হোক । এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হ পদুরবাড়ী, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
No comments