রবিবার কেউ গাড়ি বের করবেন না : ফখরুল-বাধা দিলেই হরতাল
রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। দল ও জোটের নেতা-কর্মীদের শান্তিশৃঙ্খলভাবে এ কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আগামী রবিবারের এ অবরোধ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিকভাবে হরতাল কিংবা রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে প্রথমে দলের স্থায়ী কমিটি এবং পরে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে গতকাল বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবার উদ্দেশে বলেন, '৯ ডিসেম্বর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি। তাই দয়া করে কেউ গাড়ি বের করবেন না। সবাই জনগণের কাতারে আসুন।' 'স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি' উপলক্ষে ১৮ দলীয় জোট ঢাকা মহানগর এ সমাবেশের আয়োজন করে।
রবিবারের অবরোধ কর্মসূচি হবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এটি একটি প্রতীকী কর্মসূচি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল থাকবে। এ সেল সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে। কোথাও দাঁড়াতে না দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে গত রাতের বৈঠকে আলোচনা হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি সফল করতে রাজধানী ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের জেলা মহানগরের রাজপথ দখল করে রাখবে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা।
স্থায়ী কমিটি ও জোটের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, উভয় বৈঠকে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে দলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবে বলে তিনি জানান।
গত রাত সাড়ে ৮টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হয়। ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। উভয় বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। এ বৈঠকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন। মহানগর নেতাদের সকাল ৬টা থেকেই অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বাধা পেলে চূড়ান্ত কর্মসূচির বিষয়টি জোটের নেতারা খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দেন বলে এক নেতা জানান।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আর এ গনি, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দির সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ। তবে উভয় বৈঠকেই ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ দলীয় জোট নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল লতিফ নেজামী, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের মওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক, এনপিপির শেখ শওকত হোসেন নীলু, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুস সালাম, এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এস এ খালেক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এক বছর ধরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের দুর্নীতি নিয়ে টানাহেঁচড়া চলছে। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে, কিন্তু সরকার তা করল না। সেদিন প্রধানমন্ত্রী আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক বলেছিলেন। আজ প্রমাণিত হয়েছে আবুল হোসেন চোরের রাজা, তিনি মহাচোর। এখন প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন তাঁকে?' মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দুর্নীতির অপবাদ থেকে রক্ষা করার জন্যই বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন পদ্মা সেতুর দুর্নীতির তালিকা থেকে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর নাম বাদ দিতে চায়। আর এ জন্যই বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষকদল অসন্তুষ্ট হয়ে দেশে ফিরে গেছে।
স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, চুয়াত্তর সালে একদলীয় শাসন কায়েম করে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। আজ তারা পুরনো স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে এক হয়ে জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহানগর সদস্যসচিব আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ। ১৮ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'দেশে আজ গণতন্ত্র নেই' : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, 'এখনো সময় আছে, স্বৈরাচারের সঙ্গ ছাড়ুন। দেশের যে অবস্থা করেছেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, নব্বইয়ের মতো রাজপথে আবার জনগণ নামবে।' গতকাল সকালে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
'অচলাবস্থা হলে দায় সরকারের' : এদিকে গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে 'স্বৈরাচার পতন দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে, এর সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর ব্যাপারী। বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মুর্তজা, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
এর আগে গতকাল বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবার উদ্দেশে বলেন, '৯ ডিসেম্বর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি। তাই দয়া করে কেউ গাড়ি বের করবেন না। সবাই জনগণের কাতারে আসুন।' 'স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি' উপলক্ষে ১৮ দলীয় জোট ঢাকা মহানগর এ সমাবেশের আয়োজন করে।
রবিবারের অবরোধ কর্মসূচি হবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এটি একটি প্রতীকী কর্মসূচি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল থাকবে। এ সেল সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে। কোথাও দাঁড়াতে না দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে গত রাতের বৈঠকে আলোচনা হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি সফল করতে রাজধানী ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের জেলা মহানগরের রাজপথ দখল করে রাখবে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা।
স্থায়ী কমিটি ও জোটের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, উভয় বৈঠকে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে দলের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবে বলে তিনি জানান।
গত রাত সাড়ে ৮টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হয়। ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। উভয় বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। এ বৈঠকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন। মহানগর নেতাদের সকাল ৬টা থেকেই অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বাধা পেলে চূড়ান্ত কর্মসূচির বিষয়টি জোটের নেতারা খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দেন বলে এক নেতা জানান।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আর এ গনি, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দির সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ। তবে উভয় বৈঠকেই ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৮ দলীয় জোট নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আব্দুল লতিফ নেজামী, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের মওলানা মুহাম্মদ ইসাহাক, এনপিপির শেখ শওকত হোসেন নীলু, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুস সালাম, এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এস এ খালেক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এক বছর ধরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের দুর্নীতি নিয়ে টানাহেঁচড়া চলছে। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে, কিন্তু সরকার তা করল না। সেদিন প্রধানমন্ত্রী আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক বলেছিলেন। আজ প্রমাণিত হয়েছে আবুল হোসেন চোরের রাজা, তিনি মহাচোর। এখন প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন তাঁকে?' মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দুর্নীতির অপবাদ থেকে রক্ষা করার জন্যই বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন পদ্মা সেতুর দুর্নীতির তালিকা থেকে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর নাম বাদ দিতে চায়। আর এ জন্যই বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষকদল অসন্তুষ্ট হয়ে দেশে ফিরে গেছে।
স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, চুয়াত্তর সালে একদলীয় শাসন কায়েম করে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল। আজ তারা পুরনো স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে এক হয়ে জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহানগর সদস্যসচিব আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ। ১৮ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'দেশে আজ গণতন্ত্র নেই' : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, 'এখনো সময় আছে, স্বৈরাচারের সঙ্গ ছাড়ুন। দেশের যে অবস্থা করেছেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, নব্বইয়ের মতো রাজপথে আবার জনগণ নামবে।' গতকাল সকালে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
'অচলাবস্থা হলে দায় সরকারের' : এদিকে গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে 'স্বৈরাচার পতন দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক মুক্ত আলোচনায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে, এর সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর ব্যাপারী। বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মুর্তজা, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
No comments