মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শিবিরের অবস্থা ‘শোচনীয়’: জাতিসংঘ
মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের বর্তমান অবস্থাকে ‘শোচনীয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ভ্যালেরি আমোস। রোহিঙ্গাদের এই অবস্থার উন্নয়নে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উদ্বাস্তু শিবিরগুলো পরিদর্শন শেষে গত বুধবার এ মন্তব্য করেন আমোস। ছয় মাস ধরে চলা জাতিগত সহিংসতা বাস্তুচ্যুত হওয়া এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি লোক এসব উদ্বাস্তু শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা মুসলমান।
মিয়ানমারে বিবিসির সাংবাদিক জোনাহ ফিশার জানান, এসব শিবিরে রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের চেয়ে রোহিঙ্গারা অনেক শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, মেইবোন এলাকায় একটি শিবির রয়েছে, যেটি শুধু রাখাইনদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ওই শিবিরের তাঁবুগুলো অনেক পরিচ্ছন্ন; রয়েছে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। সেখানে নিয়মিত খাবার ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। অথচ এর একটু দূরে অবস্থিত আরেকটি শিবিরে চার হাজার রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বাস করে। সেখানে কাদা ও পূতিগন্ধময় পরিবেশ; এটা পয়োবাহিত পানির প্রবাহ দিয়ে ঘেরা। এখান থেকে কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনী।
আমোস বলেন, ‘এটা শোচনীয় অবস্থা। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করতেই হবে। দুর্ভাগ্যক্রমে, জাতিসংঘ হিসেবে আমরা এখানে ঢুকতে পারছি না এবং আমরা যেসব কাজ করে থাকি তা এই লোকগুলোর জন্য করতে পারছি না। তাই এখানকার পরিস্থিতি ভয়ানক।’ তিনি জানান, প্রশাসনিক ও ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিলসংকটের কারণে জাতিসংঘের তৎপরতা সেখানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমোস আরও উদার হওয়ার বিশ্ব সম্প্রদায়কে এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতে কাজ করতে মিয়ানমানের কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সরকারেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশের সব সম্প্রদায়কে এক কাতারে আনতে তাদের কাজ করতে হবে। সেই কাজ এখনই শুরু হয়েছে।’ বিবিসি।
মিয়ানমারে বিবিসির সাংবাদিক জোনাহ ফিশার জানান, এসব শিবিরে রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের চেয়ে রোহিঙ্গারা অনেক শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, মেইবোন এলাকায় একটি শিবির রয়েছে, যেটি শুধু রাখাইনদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ওই শিবিরের তাঁবুগুলো অনেক পরিচ্ছন্ন; রয়েছে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। সেখানে নিয়মিত খাবার ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। অথচ এর একটু দূরে অবস্থিত আরেকটি শিবিরে চার হাজার রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বাস করে। সেখানে কাদা ও পূতিগন্ধময় পরিবেশ; এটা পয়োবাহিত পানির প্রবাহ দিয়ে ঘেরা। এখান থেকে কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনী।
আমোস বলেন, ‘এটা শোচনীয় অবস্থা। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করতেই হবে। দুর্ভাগ্যক্রমে, জাতিসংঘ হিসেবে আমরা এখানে ঢুকতে পারছি না এবং আমরা যেসব কাজ করে থাকি তা এই লোকগুলোর জন্য করতে পারছি না। তাই এখানকার পরিস্থিতি ভয়ানক।’ তিনি জানান, প্রশাসনিক ও ভিসাসংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিলসংকটের কারণে জাতিসংঘের তৎপরতা সেখানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমোস আরও উদার হওয়ার বিশ্ব সম্প্রদায়কে এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতে কাজ করতে মিয়ানমানের কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সরকারেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশের সব সম্প্রদায়কে এক কাতারে আনতে তাদের কাজ করতে হবে। সেই কাজ এখনই শুরু হয়েছে।’ বিবিসি।
No comments