বন্ধ সড়কে পুনরায় রিকশা চলাচল চাই by মারুফ রহমান
গত ২৮ মার্চ ঢাকা শহরের ৮টি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল, অফিস, কর্মস্থল ও হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর মানুষকে বাহন সংকটে পড়তে হচ্ছে। অনেককেই হেঁটে এবং বাচ্চা কোলে নিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়।
অথচ রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যাত্রীসাধারণ কোন বাহনে কীভাবে চলাচল ও মালপত্র পরিবহন করবে সেটি বিবেচনা করা হয়নি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড কর্তৃক ২০১০ সালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৮.৭ শতাংশ যাতায়াত করে রিকশায়। নারীদের ক্ষেত্রে ৪৭.৪ শতাংশ যাতায়াত করে রিকশায়। এছাড়া স্কুলে ৪১ শতাংশ যাতায়াত হয় রিকশায়। একই গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রাইভেট কারে মাত্র ৫.২ শতাংশ চলাচল হয়।
ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে প্রাইভেটকারের বৃদ্ধিতে জ্বালানিনির্ভরতা, দূষণ, যানজট ও যাতায়াতে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ যানজট নিরসনে প্রাইভেটকারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না করে অধিকাংশ মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম রিকশা বন্ধ করা হচ্ছে। রিকশা বন্ধের পর মিরপুর সড়কে বাসের গতি ঘণ্টায় ৪ কিমি কমেছে। মিরপুর রোডে রিকশা বন্ধের আগে বাসের গতি ছিল ১৭.৪ কিমি, প্রকল্প শেষে যা ১৩.২ কিমিতে নেমে আসে। উলেল্গখ্য, বর্তমানে মিরপুর সড়কের গতি ঘণ্টায় ৭-৮ কিমি। সর্বোপরি মিরপুর সড়কে রিকশা বন্ধ করায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে যাতায়াতের সময় ও খরচ। ঢাকা শহরের যানজট একটি মারাত্মক সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান আমরা চাই। কিন্তু যানজটের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা মহানগরীতে রিকশা নিষিদ্ধ করা এবং প্রাইভেটকারের জন্য যত্রতত্র পার্কিং সুবিধা, পার্কিং অবকাঠামো নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, সস্তায় কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা এসব কিছুই নাগরিকদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে না। যা মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার পরিবর্তে বৈষম্য বহুগুণে বৃদ্ধি করছে। যাতায়াত, পরিবেশ ও জ্বালানি বিবেচনায় রিকশা চলাচলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে আমাদের সুপারিশ ঢাকা শহরের সর্বত্র রিকশা চলাচলের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা উচিত। যেসব সড়কে রিকশা বন্ধ রয়েছে বিশেষ করে বড় সড়কে সেখানে পৃথক লেন দিয়ে রিকশা চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক। চাহিদা অনুযায়ী রিকশার লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। সঠিক স্থানে রিকশা স্ট্যান্ড তৈরি করতে হবে। রিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। হেঁটে, সাইকেলে ও পাবলিক পরিবহনে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা উচিত। যাত্রী ও চালকের সুবিধার্থে রিকশার কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। এছাড়া প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আশা করি, সরকার জনদুর্ভোগ ও অধিকাংশ মানুষের কথা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর বন্ধ সড়কে পুনরায় রিকশা চলাচলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ধানমণ্ডি, ঢাকা
ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে প্রাইভেটকারের বৃদ্ধিতে জ্বালানিনির্ভরতা, দূষণ, যানজট ও যাতায়াতে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ যানজট নিরসনে প্রাইভেটকারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না করে অধিকাংশ মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম রিকশা বন্ধ করা হচ্ছে। রিকশা বন্ধের পর মিরপুর সড়কে বাসের গতি ঘণ্টায় ৪ কিমি কমেছে। মিরপুর রোডে রিকশা বন্ধের আগে বাসের গতি ছিল ১৭.৪ কিমি, প্রকল্প শেষে যা ১৩.২ কিমিতে নেমে আসে। উলেল্গখ্য, বর্তমানে মিরপুর সড়কের গতি ঘণ্টায় ৭-৮ কিমি। সর্বোপরি মিরপুর সড়কে রিকশা বন্ধ করায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে যাতায়াতের সময় ও খরচ। ঢাকা শহরের যানজট একটি মারাত্মক সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান আমরা চাই। কিন্তু যানজটের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা মহানগরীতে রিকশা নিষিদ্ধ করা এবং প্রাইভেটকারের জন্য যত্রতত্র পার্কিং সুবিধা, পার্কিং অবকাঠামো নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, সস্তায় কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা এসব কিছুই নাগরিকদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে না। যা মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করার পরিবর্তে বৈষম্য বহুগুণে বৃদ্ধি করছে। যাতায়াত, পরিবেশ ও জ্বালানি বিবেচনায় রিকশা চলাচলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে আমাদের সুপারিশ ঢাকা শহরের সর্বত্র রিকশা চলাচলের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা উচিত। যেসব সড়কে রিকশা বন্ধ রয়েছে বিশেষ করে বড় সড়কে সেখানে পৃথক লেন দিয়ে রিকশা চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক। চাহিদা অনুযায়ী রিকশার লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। সঠিক স্থানে রিকশা স্ট্যান্ড তৈরি করতে হবে। রিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। হেঁটে, সাইকেলে ও পাবলিক পরিবহনে চলাচলের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা উচিত। যাত্রী ও চালকের সুবিধার্থে রিকশার কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। এছাড়া প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আশা করি, সরকার জনদুর্ভোগ ও অধিকাংশ মানুষের কথা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর বন্ধ সড়কে পুনরায় রিকশা চলাচলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ধানমণ্ডি, ঢাকা
No comments