বোয়াল চিতল কৈ পাঙ্গাশ, ভোরের আলো ফুটতেই বেচাকেনার ধুম- মাওয়ায় দুই ঘণ্টার মাছের বাজার by মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল
দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২২ ঘণ্টাই অলস। লোকজনের কোন আনাগোনা নেই। মনে হবে যেন পরিত্যক্ত হাট। কিন্তু ফজরের আজানের কিছু পরই বেজায় ব্যস্ত। কেনাবেচার ধুম। তাও শুধু মাছ।
হরেক রকমের মাছের পসরা। এমন কোন দেশীয় মাছ নেই যা এখানে আসে না। আড়তদারের ডাক চলছে। পছন্দের আর সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা এই দরের ডাকে অংশ নিয়ে মাছ কিনছেন। ভোরের আভা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন এই আড়তে বিক্রিও শেষ। টনে টনে ইলিশ, রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, চিতল, বড় আকারের পাংগাস, রিঠা, কই, দেশী মাগুর, পাবদা-চিংড়িসহ ছোট-বড় সব ধরনের মাছই পাওয়া যায়। আড়ত থেকে মুহূর্তেই এ মাছ ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা ও স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে। তাজা রকমারি মাছের মেলা থেকে নিজেদের পছন্দের মাছ কিনতে শুধু মাছ ব্যবসায়ীরাই নন, ছুটে আছেন নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে বিয়ে, জন্মদিন, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে এই আড়তের মাছ ছাড়া এলাকাবাসীর খাবারের রসনাই যেন মেটে না। এটির নাম ‘মাওয়া মাছের আড়ত।’ পদ্মার খুব কাছের অল্প পরিসরের জায়গায় গোটা ত্রিশেক আড়ত। এই ছোট্ট হাট না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না এর জৌলস কত বেশি। মাছ ব্যবসায়ী ছাড়াও ধনী-গরিব সাবাই যাচ্ছেন এই আড়তে। তাই এই অঞ্চলের অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই মাওয়ার এই মাছ আড়তের সুস্বাধু মাছ থাকে। আবার উপহারের জন্য বড় আকারের মাছের জন্য অনেক সাহেব ভোরে ছুটে আসেন এখানে। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৭টার মধ্যেই এই বিকিকিনি শেষ। এই ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয় বলে জানালেন আড়তদার ছানা রঞ্জন দাস। আরেক মাছ ব্যবসায়ী স্বপন দাস জানান, সরকারের সুনজর থাকলে এই মাছের আড়তের আরও প্রসার ঘটবে। এই আড়তে আরও যাঁরা বড় ব্যবসায়ী তঁদের মধ্যে রয়েছেন হামিদুল, কেশব দাস, চাঁন মাদবর, শ্রীদাম দাস প্রমুখ। এই বাজারের ক্রেতা বাবুল হোসেন জানান, দেশী সবরকমের মাছই মিলে এই আড়তে। পাইকারি দরে মাছ নিতে তাই মাছ ব্যবসায়ী ছাড়াও সাধারণ মানুষও আসে এখানে।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তা বরাবর দক্ষিণের পদ্মা পাড়ে এটির অবস্থান।
সরাসরি জেলের কাছ থেকে নদী বা জলাশয়ের তাজা মাছ কিনতে এখানে আসা। এখানে সাধারণত মাছ বেচাকেনা হয় ডাকের মাধ্যমে। বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট দাম চাইবে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ডাকের মাধ্যমে একে অপরের থেকে বেশি দাম বলে নির্দিষ্ট মাছগুলো কিনে নিতে হবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জমান জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন পাইকাররা আসে তাজা ও বড় বড় মাছ কিনতে, তেমনি জেলে বা মৎস্যজীবী চাষীরাও আসে নদী বা জলাশয় থেকে ধরা তাজা মাছ বিক্রি করতে। এখান থেকে জেলে পাইকাররা মাছ কিনে নিয়ে যায় ঢাকার আড়তগুলোসহ দূর দূরান্তের বাজারে। স্থানীয়রা আসে এ বাজারে তাজা মাছ কিনতে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়দের সঙ্গে আশপাশের উপজেলার লোকজনও ছুটে আসে এ বাজারে মাছ কিনতে। বিশেষ করে বাড়িতে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কোন অনুষ্ঠান হলেই বাড়ির কর্তাব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ ছুটে আসেন খুব ভোরের এ বাজারে। এখানে এক দিকে যেমন তাজা মাছ পাওয়া যায়।
বিশেষ করে তাজা ও নদীর মাছ কিনতেই ক্রেতারা এ বাজারের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। বিক্রমপুরের লোকজন যাঁরা ঢাকায় থাকেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফজরের নামাজ পড়ে নিজের গাড়িটি নিয়ে চলে আসেন এ পদ্মা পাড়ের মাছের বাজারে। নিজের ইচ্ছেমতো মাছ কিনে নিয়ে যান পরিবার পরিজনের জন্য।
এ মাছের বাজার কখন কিভাবে তৈরি হয়েছিল তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জনশ্রতি রয়েছে- ২৫-৩০ বছর আগে রাতভর পদ্মা নদীতে মাছ ধরা জেলেরা খুব সকালে নদীর পারে তাদের জালে ধরা মাছগুলো বিক্রি করতে বা ঢাকার আড়তে নেবার জন্য ট্রাকে তুলতে পদ্মা পাড়ে নিয়ে আসত। এ সময় স্থানীয় কিছু লোকজন তাজা মাছ কিনতে ফজর নামাজ পড়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসত এ পদ্মা পারে। সেই থেকে এ মাছের পরিচিতি আস্তে আস্তে আশপাশের উপজেলাসহ দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই তাজা মাছের জন্য এ বাজারের সুখ্যাতি এখন দেশ জুড়ে। বাজার থেকে এখন এটি পরিচিতি লাভ করেছে মৎস্য আড়তে।
মাওয়া লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন এ আড়তের সুপরিচিতি এখন লোকের মুখে মুখে। মেদিনীম-ল ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউসুফ জানান, বহু বছর ধরেই এ বাজারটি এখানে চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিধি ও ক্রেতার সমাগম বড়েছে। বড় বড় আড়তদার এখানে মাছ বেচেকেনা করতে আসেন, তাই এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা দরকার। এই আড়তে পদ্মা ছাড়াও আশপাশের জেলা ও নদী নালার মাছ নিয়ে মৎস্যজীবীরা এই আড়তে চলে আসে। এটিই এখানকার মৎস্যজীবীদের পছন্দের আড়ত। তাই ক্রমেই এর জৌলস ছড়াচ্ছে।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খন্দকার খালিদ হাসান জানান, এখানে মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ কোন পুলিশী ব্যবস্থা নেই। আজ পর্যন্ত এ বাজারে কোন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া বাজারের অতি নিকটে মাওয়া চৌরাস্তায় সব সময় পুলিশ থাকে, কোন সমস্যা হলে তারাই এগিয়ে যায়।
সরাসরি জেলের কাছ থেকে নদী বা জলাশয়ের তাজা মাছ কিনতে এখানে আসা। এখানে সাধারণত মাছ বেচাকেনা হয় ডাকের মাধ্যমে। বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট দাম চাইবে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ডাকের মাধ্যমে একে অপরের থেকে বেশি দাম বলে নির্দিষ্ট মাছগুলো কিনে নিতে হবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জমান জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন পাইকাররা আসে তাজা ও বড় বড় মাছ কিনতে, তেমনি জেলে বা মৎস্যজীবী চাষীরাও আসে নদী বা জলাশয় থেকে ধরা তাজা মাছ বিক্রি করতে। এখান থেকে জেলে পাইকাররা মাছ কিনে নিয়ে যায় ঢাকার আড়তগুলোসহ দূর দূরান্তের বাজারে। স্থানীয়রা আসে এ বাজারে তাজা মাছ কিনতে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়দের সঙ্গে আশপাশের উপজেলার লোকজনও ছুটে আসে এ বাজারে মাছ কিনতে। বিশেষ করে বাড়িতে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কোন অনুষ্ঠান হলেই বাড়ির কর্তাব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ ছুটে আসেন খুব ভোরের এ বাজারে। এখানে এক দিকে যেমন তাজা মাছ পাওয়া যায়।
বিশেষ করে তাজা ও নদীর মাছ কিনতেই ক্রেতারা এ বাজারের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। বিক্রমপুরের লোকজন যাঁরা ঢাকায় থাকেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফজরের নামাজ পড়ে নিজের গাড়িটি নিয়ে চলে আসেন এ পদ্মা পাড়ের মাছের বাজারে। নিজের ইচ্ছেমতো মাছ কিনে নিয়ে যান পরিবার পরিজনের জন্য।
এ মাছের বাজার কখন কিভাবে তৈরি হয়েছিল তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জনশ্রতি রয়েছে- ২৫-৩০ বছর আগে রাতভর পদ্মা নদীতে মাছ ধরা জেলেরা খুব সকালে নদীর পারে তাদের জালে ধরা মাছগুলো বিক্রি করতে বা ঢাকার আড়তে নেবার জন্য ট্রাকে তুলতে পদ্মা পাড়ে নিয়ে আসত। এ সময় স্থানীয় কিছু লোকজন তাজা মাছ কিনতে ফজর নামাজ পড়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসত এ পদ্মা পারে। সেই থেকে এ মাছের পরিচিতি আস্তে আস্তে আশপাশের উপজেলাসহ দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই তাজা মাছের জন্য এ বাজারের সুখ্যাতি এখন দেশ জুড়ে। বাজার থেকে এখন এটি পরিচিতি লাভ করেছে মৎস্য আড়তে।
মাওয়া লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন এ আড়তের সুপরিচিতি এখন লোকের মুখে মুখে। মেদিনীম-ল ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউসুফ জানান, বহু বছর ধরেই এ বাজারটি এখানে চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিধি ও ক্রেতার সমাগম বড়েছে। বড় বড় আড়তদার এখানে মাছ বেচেকেনা করতে আসেন, তাই এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা দরকার। এই আড়তে পদ্মা ছাড়াও আশপাশের জেলা ও নদী নালার মাছ নিয়ে মৎস্যজীবীরা এই আড়তে চলে আসে। এটিই এখানকার মৎস্যজীবীদের পছন্দের আড়ত। তাই ক্রমেই এর জৌলস ছড়াচ্ছে।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খন্দকার খালিদ হাসান জানান, এখানে মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ কোন পুলিশী ব্যবস্থা নেই। আজ পর্যন্ত এ বাজারে কোন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া বাজারের অতি নিকটে মাওয়া চৌরাস্তায় সব সময় পুলিশ থাকে, কোন সমস্যা হলে তারাই এগিয়ে যায়।
No comments