পাঠকের মন্তব্য- টানা কর্মসূচি মানে দেশের বারোটা বাজানো
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের।
গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
আ.লীগসহ ১৪ দলের টানা কর্মসূচি থাকবে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ—এ তিন মাস নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কর্মসূচি দেবে বিএনপি। এসব খবরের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আল শাহরিয়ার হালিম লিখেছেন: আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের টানা কর্মসূচি মানে দেশের বারোটা বাজানো। আমরা মনে হয়, এর থেকে মুক্তি পাব না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঠক: ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষা হবে। আর সেই সময়টা বিএনপি তাদের কর্মসূচির সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। আপনারাও বলছেন, মাঠে থেকে উচিত শিক্ষা দেবেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আলোচনার টেবিলে ঠিক করুন, আসলে আপনারা কী চান? আপনাদের সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার যে একটা রুটিন আছে, তাতে কারও কিছু যায়-আসে না। তার মানে হলো, আপনাদের কারও সন্তানই এ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে না। আমরা এই ভণ্ড ও হঠকারী রাজনীতির কবল থেকে মুক্তি চাই।
টুটুল: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১৪ দলের গণমিছিল—সরকারে থেকেই বিচারের দাবিতে গণমিছিল কেন? তার মানে কি বিচারের ব্যাপারে সরকারের আস্থার অভাব দেখা দিয়েছে? কিন্তু আবার অনেক নেতা বলছেন, ডিসেম্বরের শেষেই রায় হবে। অনেকে বলছেন, ২৬ মার্চের মধ্যে রায় হবে। রায় হবে নিজেরাই বলছেন, আবার নিজেরাই গণমিছিল করছেন! বিয়য়টি জনগণকে বিভ্রান্ত করছে না?
তিন মাসের মধ্যে ‘ফল’ চায় বিএনপি
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ—এ তিন মাস নতুন উদ্যমে কর্মসূচি পালন করবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারা মার্চের দিকে এ থেকে সুনির্দিষ্ট ফল চায়। এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মোহাম্মদ শাহ আলম লিখেছেন: তিন মাসে কি ফল পাকে? তবে ফরমালিন দিলে পাকতেও পারে। আপনাদের যে রাজনৈতিক কালচার, তাতে জল ঘোলা না হলে তো ফল আসে না। তিন মাস নয়, তৃতীয় পক্ষ না এলে আপনাদের ফলাফল শূন্য। আপনারা দুটি দল জনগণকে এমনভাবে ভাগ করে রেখেছেন যে এ জাতির ভবিষ্যৎ শুধু আল্লাহই জানেন।
আরিফুর রহমান: সরকার কি পারে না একটু দায়িত্বসহকারে এ বিষয়টা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করতে? আপনাদের ভয় কিসে, জনগণ তো আপনাদেরই ক্ষমতায় বসিয়েছে। অযথা সভা, মিটিং, মিছিল, হরতাল এবং এর পাল্টা বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহত করার কথা বলে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে কেন কষ্ট দিচ্ছেন?
সাইফুল আলম: আমরা শান্তি চাই। দেশ ও জনগণকে নিয়ে দুই দল যে খেলা শুরু করেছে, তার ফল একদিন তাদের দিতে হবে। কী দরকার ছিল আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এতে আওয়ামী লীগের জন্য উল্টো ফল হতে পারে।
সোনার ডিম দেওয়া হাঁসটিকে মেরে ফেলবেন না
দেশের সম্ভাবনাময় পোশাকশিল্প ঘিরে আশঙ্কার কথা হাসান ফেরদৌস তাঁর ‘খোলা চোখে’ কলামে তুলে ধরেছেন। এ বিষয়ে পাঠক মো. শওকত আলী লিখেছেন: লেখাটি বাস্তবভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ হয়েছে, তাই ভালো লাগল। লেখককে ধন্যবাদ। গরিবের পক্ষে এ দেশে কেউ নেই। যারা আছে, তারা ধনীদের গোলামে পরিণত হয়েছে। নিজেদের স্বকীয়তা রক্ষা করতে পারেন এমন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত।
ইমতিয়াজ: এই হাঁসটিকে বেশি আদর-যত্ন করতে গিয়ে অন্য হাঁসগুলোর ডিম থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সরকারের উচিত অন্য হাঁসগুলোর পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া, যাতে তাদের কাছ থেকেও নিয়মিত ডিম পাওয়া যায়।
বিশ্বজিতের লাল শার্ট
বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ কর্মসূচির দিন বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে খুন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর ‘সাদাসিধে কথা’ কলামে সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন বিষয়টির। এ বিষয়ে দুর্বার লিখেছেন: আমি একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। অনলাইনে দেশের খবর পড়ে মনে হয়, দেশটা চুলোয় গেছে। মানুষেরা হয়ে পড়েছে অতিমাত্রায় লোভী ও অতিশয় হিংসাপরায়ণ। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ মহাব্যাধির সূচনা হওয়ায়, পরে তা মহামারির আকারে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আশুমুক্তির কোনো লক্ষণ দেখি না।
এ এস এম ফয়সাল: স্যার, সত্যি বলতে কী, এ দেশে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আপনারও কি এমন মনে হয় না? এ দুই দলের কাছে কেন আমরা এমন বন্দী হয়ে গেলাম?
মামুন: স্যার, আপনার এ কলাম পড়ে নিজে কতটা অসহায়বোধ করছি তা কাউকে বোঝাতে পারব না। সত্যিই আমরা অমানুষ, বিশ্বজিতের খুনের দায় আজ ১৬ কোটি মানুষের ওপর বর্তেছে। আমরাই তো এদের প্রশ্রয় দিই। ছাত্ররাজনীতি কি আমাদের মতো গরিব দেশে না থাকলে চলে না?
তাজেরুল ইসলাম: আপনি তো রাজনীতির মুখোশ খুলে দিলেন। এই লেখার ভেতর রাজনীতিকদের যে নগ্ন ছবি ফুটে উঠেছে, তা যদি তাঁরা বোঝেন, যদি দেখতে পান, তাহলে দ্রুত তাঁদের এই খারাপ কাজগুলো বাদ দেওয়া উচিত।
মোয়াজ্জেম হোসেন: স্যারের লেখাটি পড়ছি আর চোখের জল ফেলছি। স্যারকে অশ্রুসজল ধন্যবাদ। তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে—আওয়ামী লীগের বধকারী, ধ্বংসকারী, ষড়যন্ত্রকারী সবই আওয়ামী লীগের ভেতরে অবস্থান করছে। আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বের আশুকরণীয় হলো, এদের চিহ্নিত করে দ্রুত দল থেকে বের করে দেওয়া।
রূপক চৌধুরী: স্যার, অনেক দিন আগে, সম্ভবত ১০-১২ বছর বা তারও আগে ‘নিঃসঙ্গ বচন’ নামে আপনার কলামের একটা সংকলন পড়েছিলাম। সেখানে আপনি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার বিষয়ে অনেক কথা লিখেছিলেন। কেন এখন আর ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার কথা বলেন না? আপনার এ লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থেকেছি। দেশটা কোথায় চলে যাচ্ছে, স্যার? আমাদের দেশের দুই বড় দলের সবার ধারণা, দেশটা তাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে। জনগণও যেন সেটাই মেনে নিয়েছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আপনার মতো মানুষদের আরও দরকার এই দেশে।
সফিকুল ইসলাম: লাল রক্তে ভেজা বিশ্বজিতের বেঁচে থাকার অসহায় আর্তনাদ এখনো বাতাস ভারী করছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, বিশ্বজিৎ আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না। মানুষরূপী হিংস্র পশুদের হাত থেকে বিশ্বজিতের পালানোর দৃশ্যটা চোখে ভেসে উঠলেই প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত হয়ে উঠি। এই নিষ্ঠুরতা আর কত দিন দেখতে হবে? স্যার, আপনি আবার কাঁদালেন।
আমি নিশ্চিত, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইমরান লিখেছেন: এখনো বলছেন যে দুর্নীতি হয়নি? আচ্ছা, আপনারা আমাদের কী ভাবেন? দুই হাসান ও হোসেনের জন্য আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু হবে না—ভাবতেই মনটা বিষাদে ভরে যায়। এখন আবার বলছেন এই সরকারের আমলেই ভিত্তিপ্রস্তর হবে! ভিত্তিপ্রস্তর ধুয়ে কি পানি খাব? আমাদের দরকার পদ্মায় সেতু এবং এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, ততই আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য মঙ্গল।
শাহাব উদ্দীন: এত কথা কেন বলেন? আপনি যে সৎ সবাই জানে। সময় আর বেশি নেই, একটু চুপ থাকুন দয়া করে। যেখানে ৯৯ শতাংশ সরকারি কাজকর্ম দুর্নীতিতে ভরা, সেখানে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি—এমন কথা কেইবা বিশ্বাস করবে, বলুন?
কামাল আহমেদ: সত্যজিৎ রায়, তোমাকে হাজার নমস্কার। আজ বেঁচে থাকলে দেখতে, তোমার কল্পনার হীরক রাজার দেশ বাস্তব রূপ নিয়েছে। অবশ্য এখন শুধু মধ্য পর্ব চলছে। পরিণতি ছবির মতো হয় কি না, দেখার খুব সাধ।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
আ.লীগসহ ১৪ দলের টানা কর্মসূচি থাকবে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ—এ তিন মাস নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কর্মসূচি দেবে বিএনপি। এসব খবরের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আল শাহরিয়ার হালিম লিখেছেন: আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের টানা কর্মসূচি মানে দেশের বারোটা বাজানো। আমরা মনে হয়, এর থেকে মুক্তি পাব না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঠক: ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষা হবে। আর সেই সময়টা বিএনপি তাদের কর্মসূচির সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। আপনারাও বলছেন, মাঠে থেকে উচিত শিক্ষা দেবেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আলোচনার টেবিলে ঠিক করুন, আসলে আপনারা কী চান? আপনাদের সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার যে একটা রুটিন আছে, তাতে কারও কিছু যায়-আসে না। তার মানে হলো, আপনাদের কারও সন্তানই এ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে না। আমরা এই ভণ্ড ও হঠকারী রাজনীতির কবল থেকে মুক্তি চাই।
টুটুল: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১৪ দলের গণমিছিল—সরকারে থেকেই বিচারের দাবিতে গণমিছিল কেন? তার মানে কি বিচারের ব্যাপারে সরকারের আস্থার অভাব দেখা দিয়েছে? কিন্তু আবার অনেক নেতা বলছেন, ডিসেম্বরের শেষেই রায় হবে। অনেকে বলছেন, ২৬ মার্চের মধ্যে রায় হবে। রায় হবে নিজেরাই বলছেন, আবার নিজেরাই গণমিছিল করছেন! বিয়য়টি জনগণকে বিভ্রান্ত করছে না?
তিন মাসের মধ্যে ‘ফল’ চায় বিএনপি
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ—এ তিন মাস নতুন উদ্যমে কর্মসূচি পালন করবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারা মার্চের দিকে এ থেকে সুনির্দিষ্ট ফল চায়। এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মোহাম্মদ শাহ আলম লিখেছেন: তিন মাসে কি ফল পাকে? তবে ফরমালিন দিলে পাকতেও পারে। আপনাদের যে রাজনৈতিক কালচার, তাতে জল ঘোলা না হলে তো ফল আসে না। তিন মাস নয়, তৃতীয় পক্ষ না এলে আপনাদের ফলাফল শূন্য। আপনারা দুটি দল জনগণকে এমনভাবে ভাগ করে রেখেছেন যে এ জাতির ভবিষ্যৎ শুধু আল্লাহই জানেন।
আরিফুর রহমান: সরকার কি পারে না একটু দায়িত্বসহকারে এ বিষয়টা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করতে? আপনাদের ভয় কিসে, জনগণ তো আপনাদেরই ক্ষমতায় বসিয়েছে। অযথা সভা, মিটিং, মিছিল, হরতাল এবং এর পাল্টা বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহত করার কথা বলে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে কেন কষ্ট দিচ্ছেন?
সাইফুল আলম: আমরা শান্তি চাই। দেশ ও জনগণকে নিয়ে দুই দল যে খেলা শুরু করেছে, তার ফল একদিন তাদের দিতে হবে। কী দরকার ছিল আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এতে আওয়ামী লীগের জন্য উল্টো ফল হতে পারে।
সোনার ডিম দেওয়া হাঁসটিকে মেরে ফেলবেন না
দেশের সম্ভাবনাময় পোশাকশিল্প ঘিরে আশঙ্কার কথা হাসান ফেরদৌস তাঁর ‘খোলা চোখে’ কলামে তুলে ধরেছেন। এ বিষয়ে পাঠক মো. শওকত আলী লিখেছেন: লেখাটি বাস্তবভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ হয়েছে, তাই ভালো লাগল। লেখককে ধন্যবাদ। গরিবের পক্ষে এ দেশে কেউ নেই। যারা আছে, তারা ধনীদের গোলামে পরিণত হয়েছে। নিজেদের স্বকীয়তা রক্ষা করতে পারেন এমন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত।
ইমতিয়াজ: এই হাঁসটিকে বেশি আদর-যত্ন করতে গিয়ে অন্য হাঁসগুলোর ডিম থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সরকারের উচিত অন্য হাঁসগুলোর পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া, যাতে তাদের কাছ থেকেও নিয়মিত ডিম পাওয়া যায়।
বিশ্বজিতের লাল শার্ট
বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ কর্মসূচির দিন বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে খুন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর ‘সাদাসিধে কথা’ কলামে সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন বিষয়টির। এ বিষয়ে দুর্বার লিখেছেন: আমি একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। অনলাইনে দেশের খবর পড়ে মনে হয়, দেশটা চুলোয় গেছে। মানুষেরা হয়ে পড়েছে অতিমাত্রায় লোভী ও অতিশয় হিংসাপরায়ণ। সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ মহাব্যাধির সূচনা হওয়ায়, পরে তা মহামারির আকারে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আশুমুক্তির কোনো লক্ষণ দেখি না।
এ এস এম ফয়সাল: স্যার, সত্যি বলতে কী, এ দেশে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আপনারও কি এমন মনে হয় না? এ দুই দলের কাছে কেন আমরা এমন বন্দী হয়ে গেলাম?
মামুন: স্যার, আপনার এ কলাম পড়ে নিজে কতটা অসহায়বোধ করছি তা কাউকে বোঝাতে পারব না। সত্যিই আমরা অমানুষ, বিশ্বজিতের খুনের দায় আজ ১৬ কোটি মানুষের ওপর বর্তেছে। আমরাই তো এদের প্রশ্রয় দিই। ছাত্ররাজনীতি কি আমাদের মতো গরিব দেশে না থাকলে চলে না?
তাজেরুল ইসলাম: আপনি তো রাজনীতির মুখোশ খুলে দিলেন। এই লেখার ভেতর রাজনীতিকদের যে নগ্ন ছবি ফুটে উঠেছে, তা যদি তাঁরা বোঝেন, যদি দেখতে পান, তাহলে দ্রুত তাঁদের এই খারাপ কাজগুলো বাদ দেওয়া উচিত।
মোয়াজ্জেম হোসেন: স্যারের লেখাটি পড়ছি আর চোখের জল ফেলছি। স্যারকে অশ্রুসজল ধন্যবাদ। তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে—আওয়ামী লীগের বধকারী, ধ্বংসকারী, ষড়যন্ত্রকারী সবই আওয়ামী লীগের ভেতরে অবস্থান করছে। আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বের আশুকরণীয় হলো, এদের চিহ্নিত করে দ্রুত দল থেকে বের করে দেওয়া।
রূপক চৌধুরী: স্যার, অনেক দিন আগে, সম্ভবত ১০-১২ বছর বা তারও আগে ‘নিঃসঙ্গ বচন’ নামে আপনার কলামের একটা সংকলন পড়েছিলাম। সেখানে আপনি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার বিষয়ে অনেক কথা লিখেছিলেন। কেন এখন আর ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার কথা বলেন না? আপনার এ লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থেকেছি। দেশটা কোথায় চলে যাচ্ছে, স্যার? আমাদের দেশের দুই বড় দলের সবার ধারণা, দেশটা তাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে। জনগণও যেন সেটাই মেনে নিয়েছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আপনার মতো মানুষদের আরও দরকার এই দেশে।
সফিকুল ইসলাম: লাল রক্তে ভেজা বিশ্বজিতের বেঁচে থাকার অসহায় আর্তনাদ এখনো বাতাস ভারী করছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, বিশ্বজিৎ আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না। মানুষরূপী হিংস্র পশুদের হাত থেকে বিশ্বজিতের পালানোর দৃশ্যটা চোখে ভেসে উঠলেই প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত হয়ে উঠি। এই নিষ্ঠুরতা আর কত দিন দেখতে হবে? স্যার, আপনি আবার কাঁদালেন।
আমি নিশ্চিত, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইমরান লিখেছেন: এখনো বলছেন যে দুর্নীতি হয়নি? আচ্ছা, আপনারা আমাদের কী ভাবেন? দুই হাসান ও হোসেনের জন্য আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু হবে না—ভাবতেই মনটা বিষাদে ভরে যায়। এখন আবার বলছেন এই সরকারের আমলেই ভিত্তিপ্রস্তর হবে! ভিত্তিপ্রস্তর ধুয়ে কি পানি খাব? আমাদের দরকার পদ্মায় সেতু এবং এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, ততই আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য মঙ্গল।
শাহাব উদ্দীন: এত কথা কেন বলেন? আপনি যে সৎ সবাই জানে। সময় আর বেশি নেই, একটু চুপ থাকুন দয়া করে। যেখানে ৯৯ শতাংশ সরকারি কাজকর্ম দুর্নীতিতে ভরা, সেখানে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি—এমন কথা কেইবা বিশ্বাস করবে, বলুন?
কামাল আহমেদ: সত্যজিৎ রায়, তোমাকে হাজার নমস্কার। আজ বেঁচে থাকলে দেখতে, তোমার কল্পনার হীরক রাজার দেশ বাস্তব রূপ নিয়েছে। অবশ্য এখন শুধু মধ্য পর্ব চলছে। পরিণতি ছবির মতো হয় কি না, দেখার খুব সাধ।
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments