রাষ্ট্রদ্রোহিতা
গত কয়েক মাস ধরে জামায়াত-শিবির চক্রের জঙ্গী হামলায় সারাদেশে এক দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পরিকল্পিত হামলা করছে; ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে, তাতে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। জামায়াত-শিবির চক্রের এ ধরনের তা-ব নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোন নাগরিকের এ ধরনের ধংসাত্মক কাজ করার কোন অধিকার নেই। এ ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের মাধ্যমে জামায়াত-শিবির চক্র কি দেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে চায়। দেশের উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণের প্রতি তারা যে দায়িত্বশীল নয়Ñএ কথা বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তারা যে দেশের অস্তিত্বকে ধ্বংস করতে চায়Ñতা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। তা না হলে তারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর ওপর এমন বেপরোয়াভাবে হামলা চালাচ্ছে কেন? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুলিশ জনগণের সর্বপ্রকার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। তারাই সর্বস্তরে আইনের শাসনকে নিশ্চিত করে থাকে। পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না।
জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শিবির আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ধ্বংসাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। শিবিরের এ গোপন পরিকল্পনার বিষয়টি ফাঁস হওয়া এবং খরবটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেক আগে থেকেই জামায়াত-শিবিরের রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ছিল। শুরু থেকে তাদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিলে তারা এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারত না। জামায়াতের প্রতিটি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক তৎপরতার সবচেয়ে বড় সহযোগী শিবির। জামায়াত তাদের এই ছাত্র সংগঠনটি এখন শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় নিয়োজিত। তারা ধর্মের নামে মূলত বিভ্রান্ত করতে চায়। ইসলামী ছাত্রশিবির স্বাধীনতার পূর্বে ইসলামী ছাত্রসংঘ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালে এই ছাত্রসংঘের সদস্যরা সেসময় সারাদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের এই ছাত্র সংগঠনটি নাম বদলালেও পাকিস্তানপন্থী চরিত্রটি বদলায়নি। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বানচালের জন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। শিবির গত দুই মাসে শতাধিক পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশের ওপর শিবিরের হামলার পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে ছাত্রশিবিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখা দরকার। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের স্বার্থে তা করা অপরিহার্য।
জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শিবির আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ধ্বংসাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। শিবিরের এ গোপন পরিকল্পনার বিষয়টি ফাঁস হওয়া এবং খরবটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেক আগে থেকেই জামায়াত-শিবিরের রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ছিল। শুরু থেকে তাদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিলে তারা এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারত না। জামায়াতের প্রতিটি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক তৎপরতার সবচেয়ে বড় সহযোগী শিবির। জামায়াত তাদের এই ছাত্র সংগঠনটি এখন শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় নিয়োজিত। তারা ধর্মের নামে মূলত বিভ্রান্ত করতে চায়। ইসলামী ছাত্রশিবির স্বাধীনতার পূর্বে ইসলামী ছাত্রসংঘ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালে এই ছাত্রসংঘের সদস্যরা সেসময় সারাদেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছিল। জামায়াতের এই ছাত্র সংগঠনটি নাম বদলালেও পাকিস্তানপন্থী চরিত্রটি বদলায়নি। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বানচালের জন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। শিবির গত দুই মাসে শতাধিক পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশের ওপর শিবিরের হামলার পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে ছাত্রশিবিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখা দরকার। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের স্বার্থে তা করা অপরিহার্য।
No comments