দেশে শুধু লুটপাট চলছেঃ খালেদা জিয়া
বর্তমান সরকার ধর্মনিরপেৰতার কথা বললেও তাদের কোনো ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই মন্তব্য করে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৰমতায় এলে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।
দেশের উন্নয়নের জন্য সকল ধর্ম আর মতাদর্শের মানুষকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি। কিভাবে সামনে এগোনো যায় সেভাবে চিন্তা করতে হবে। জিয়াউর রহমানের ডাকে আপনারা যেমন এসেছিলেন সেভাবে আরেকবার আপনারা বিএনপির সঙ্গে এসে দেখেন, কাজ করে দেখেন, ঐক্যবদ্ধ হোন। বিএনপি আপনাদের আপন করে নেবে।
উপযুক্ত সম্মান দেবো। রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পবিত্র বড় দিন এবং ইংরেজী নববর্ষ উপলৰে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সকল ধর্মের মানুষই এই সরকার দ্বারা অত্যাচারিত-নির্যাতিত উলেৱখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রামুর বৌদ্ধদের ওপর হামলা এবং বিশ্বজিৎ হত্যকান্ডের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, বিশ্বজিৎ দাস কাকুতি-মিনতি করেও তার প্রাণ রৰা করতে পারেনি। তিনি বলেন, ৰমতাসীনরা হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি-জায়গা দখল করছে। কেরাণীগঞ্জে শিশু পরাগকে অপহরণ করেছে। মাদারীপুর-শরীয়তপুরসহ ওই অঞ্চলে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে তারা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের গলাবাজি বন্ধ হচ্ছে না। তারা তাদের অপকর্মের দায়ভার বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপায়। আওয়ামী লীগ হিন্দুদেরকে তাদের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করে উলেৱখ করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমরা হিন্দুদেরকে কাছে টেনে নিতে চাই। তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ পাননি। আপনাদের কাজের সেই সুযোগ ও সম্মান দেয়া হবে। দেশকে সমানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। খালেদা জিয়া বলেন, মালয়েশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর অনেক এগিয়ে গেছে আমরা লুটপাট আর দুর্নীতির কারণে পেছনের দিকে চলে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকার কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করেনি। দেশে শুধু লুটপাট চলছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের অত্যাচারে কোনো কাজের টেন্ডার হচ্ছে না। টাকার বিনিময়ে অপরাধীদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, অপরাধ অনেক বেড়ে গেছে। অপরাধ করার পরও অপরাধীদের বির্বদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে ছেড়ে দেয়াহলো কেউ জানতে পারলো না। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে আরো সন্ত্রাসী ছাড়া হবে। টাকার বিনিময়ে যদি এভাবে সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কোথায় থাকে প্রশ্ন রাখেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সরকার দলীয় লোকজনের হাতে অস্ত্র দিলে দিচ্ছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের অস্ত্রাগারে পরিণত হয়েছে। শিৰা প্রতিষ্ঠানের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে লেখা পড়া শিখবে কিভাবে। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এই সার্বিক অবস্থা চিন্তা করে বলা যায় আওয়ামী লীগের কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, বড়দিনের উৎসব পালন করলেও মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, প্রতি নিয়ত টিউশন ফি বাড়ছে, পরিবহন ফি বাড়ছে। শুনছি আবারো গ্যাস, বিদ্যুত, তেলের দাম বাড়ানো হবে। তখন মানুষের কী অবস্থা হবে।
সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে সকলকে মিলে কাজ করতে হবে উলেৱখ করে খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকার গঠন করেছিলেন বলে আওয়ামী লীগ তা বাদ দিয়েছে। গ্রাম সরকারের মাধ্যমে গ্রামের উন্নয়ন করলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত। তিনি বলেন, প্রত্যেক গ্রামকে আতœনির্ভরশীল-স্বনির্ভরশীল করতে পারলে দেশ স্বাভলম্ভী হতো। বিচার বিভাগের নিরপেৰতা নেই উলেৱখ করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, দলীয় বিচারকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের যোগ্যতা দৰতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যারা ভালো বিচারক আছেন তাদের ভালো বেঞ্চ দেয়া হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা ন্যায় বিচার পায় না। খালেদা জিয়া বলেন, শেয়ার বাজার, হলমার্ক, ডেসটিনি, ভিওআইপি কেলেঙ্কারির জন্য কাউকে ধরা হয়নি। যাদের ধরা হয়েছে তারা জামিন পেয়েছে। অথচ বিএনপি নেতারা জামিন পায় না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখর্বল ইসলাম আলমগীরকে আটক রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার, আদালত থেকে ন্যায় বিচার না পেলে মানুষ কী তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে ? না আমরা তা চাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের আইন নিজের হাতে তুলে নিতে নির্দেশ দিচ্ছে। ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী এবং ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করেছে একসঙ্গে মিটিং করেছে উলেৱখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই আন্দোলনে জামায়াত ইসলামী তাদের সঙ্গে ছিলো বলে তখন তারা যুদ্ধাপরাধী ছিলো না। ট্রাইব্যুনালেরও ওপর মানুষের আস্থা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন তারা যুদ্ধাপরাধী, ঠিক আছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেন। তবে তা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের এবং স্বচ্ছ। সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, যুদ্ধাপরাধী এ কয়জন না, আরো আছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন দলের মধ্যে রয়েছে, পরিবারে মধ্যে রয়েছে তাদের ধরে আনেন, তাহলে বুঝবো নিরপেৰভাবে বিচার করছেন। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করছে বিএনপি-জামায়াতকে দমন করে আজীবন ৰমতায় থাকবে। বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করতে দেয়নি অভিযোগ করে বিএনপি প্রধান বলেন, ৯১ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি। তখন শান্তিতে কাজ করতে পারিনি। তারা নানা রকমভাবে কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ পার্লামান্টে প্রকাশ্যে বলেছে শান্তিতে কাজ করতে দেবে না। তিনি বলেন, তারা প্রথম দিন থেকেই পার্লামেন্ট বর্জন করেছে। খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৯৬ সালে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেৰ নির্বাচন হয়েছিলো। আমরা ১১৬টি আসন পেয়েছিলাম যা বিরোধী দলের রেকর্ড। আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি। ২০০১ সালে ৰমতায় এসে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমাদের সব সময় টার্গেট ছিলো দেশের উন্নয়ন করা। তিনি বলেন, বিএনপি কখনও অন্যায় অবৈধ পথে ৰমতায় বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ অবৈধ ফখর্বদ্দিন সরকারকে বৈধতা-সমর্থন দিয়ে তাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে ৰমতায় এসেছে। ওই সময় নিজেদের বির্বদ্ধে দায়ের করা সাত হাজারের বেশি মামলা তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর আমাদের বির্বদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি।
সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে সকলকে মিলে কাজ করতে হবে উলেৱখ করে খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকার গঠন করেছিলেন বলে আওয়ামী লীগ তা বাদ দিয়েছে। গ্রাম সরকারের মাধ্যমে গ্রামের উন্নয়ন করলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত। তিনি বলেন, প্রত্যেক গ্রামকে আতœনির্ভরশীল-স্বনির্ভরশীল করতে পারলে দেশ স্বাভলম্ভী হতো। বিচার বিভাগের নিরপেৰতা নেই উলেৱখ করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, দলীয় বিচারকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের যোগ্যতা দৰতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যারা ভালো বিচারক আছেন তাদের ভালো বেঞ্চ দেয়া হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা ন্যায় বিচার পায় না। খালেদা জিয়া বলেন, শেয়ার বাজার, হলমার্ক, ডেসটিনি, ভিওআইপি কেলেঙ্কারির জন্য কাউকে ধরা হয়নি। যাদের ধরা হয়েছে তারা জামিন পেয়েছে। অথচ বিএনপি নেতারা জামিন পায় না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখর্বল ইসলাম আলমগীরকে আটক রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার, আদালত থেকে ন্যায় বিচার না পেলে মানুষ কী তাহলে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে ? না আমরা তা চাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের আইন নিজের হাতে তুলে নিতে নির্দেশ দিচ্ছে। ১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী এবং ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করেছে একসঙ্গে মিটিং করেছে উলেৱখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই আন্দোলনে জামায়াত ইসলামী তাদের সঙ্গে ছিলো বলে তখন তারা যুদ্ধাপরাধী ছিলো না। ট্রাইব্যুনালেরও ওপর মানুষের আস্থা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন তারা যুদ্ধাপরাধী, ঠিক আছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেন। তবে তা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের এবং স্বচ্ছ। সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, যুদ্ধাপরাধী এ কয়জন না, আরো আছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন দলের মধ্যে রয়েছে, পরিবারে মধ্যে রয়েছে তাদের ধরে আনেন, তাহলে বুঝবো নিরপেৰভাবে বিচার করছেন। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করছে বিএনপি-জামায়াতকে দমন করে আজীবন ৰমতায় থাকবে। বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করতে দেয়নি অভিযোগ করে বিএনপি প্রধান বলেন, ৯১ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি। তখন শান্তিতে কাজ করতে পারিনি। তারা নানা রকমভাবে কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ পার্লামান্টে প্রকাশ্যে বলেছে শান্তিতে কাজ করতে দেবে না। তিনি বলেন, তারা প্রথম দিন থেকেই পার্লামেন্ট বর্জন করেছে। খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৯৬ সালে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেৰ নির্বাচন হয়েছিলো। আমরা ১১৬টি আসন পেয়েছিলাম যা বিরোধী দলের রেকর্ড। আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি। ২০০১ সালে ৰমতায় এসে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমাদের সব সময় টার্গেট ছিলো দেশের উন্নয়ন করা। তিনি বলেন, বিএনপি কখনও অন্যায় অবৈধ পথে ৰমতায় বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ অবৈধ ফখর্বদ্দিন সরকারকে বৈধতা-সমর্থন দিয়ে তাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে ৰমতায় এসেছে। ওই সময় নিজেদের বির্বদ্ধে দায়ের করা সাত হাজারের বেশি মামলা তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর আমাদের বির্বদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি।
No comments