মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা
বলা হয়ে থাকে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। দুর্ঘটনায় যারা মৃত্যুবরণ করে কিংবা আহত হয়, ক্ষতিটা শুধু তাদের হয় না। নিহত বা আহত ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গ বা পরিবার একেবারে তছনছ হয়ে যায়Ñ যেন একটি সাজানো ফুলের বাগান আকস্মিক এক প্রমত্ত ঝড়ে মুহূর্তে ল-ভ- হয়ে গেল! এই ক্ষতি কোন কিছুর বিনিময়ে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না।
দুর্ঘটনা কেন হয়? কেন মানুষ দুর্ঘটনা নামক নিষ্ঠুর দৈত্যের কবলে পড়ে? পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশিরভাগ দুর্ঘটনার পেছনে থাকে চালকের অদক্ষতা ও অসতর্কতা, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, সড়কের বেহাল অবস্থা; পাশাপাশি যাত্রী বা পথচারীদের অসাবধানতাও কখনও কখনও দুর্ঘটনার কারণ হয়। একথা সত্য যে, কোন মানুষই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিজের মূল্যবান জীবন খোয়াতে চায় না। সাধ্যমতো সাবধান হয়ে পথ চলার চেষ্টা করে সবাই। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনা ঘটে, ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই হৃদয়বিদারক সব দুর্ঘটনার খবর দেখতে পাওয়া যায়। কখনও বাস-ট্রাক-রিকশা-ট্রেন দুর্ঘটনা, কখনও লঞ্চ-স্টিমার-ফেরি দুর্ঘটনা; কখনও বিমান দুর্ঘটনা। আর সব দুর্ঘটনারই অভিন্ন ফলাফল মৃত্যু অথবা আহত হওয়া।
এমনি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর ২২ ডিসেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠসহ অন্যান্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে। এখানে এক মা তার দুই সন্তানসহ রিকশায় বসা ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ট্রেন আসবে, তাই রেলক্রসিং বন্ধ। তথাপি ট্রাফিক আইন অমান্যকারী এক বেপরোয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক বন্ধ থাকা ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময়ই ট্রেন এসে পড়ে এবং সিএনজি অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। আঘাতের ফলে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা মারে। এ সময় পাশে অপেক্ষমাণ রিকশাটি ওই দুটি গাড়ির ধাকায় একেবারে নিচে পড়ে যায়। এতে রিকশারোহী মহিলার মৃত্যু হয় এবং তার দু’সন্তান আহত হয়।
এই দুর্ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায়, এক দায়িত্ব-জ্ঞানহীন বেপরোয়া অটোরিকশা চালকের কারণে একটি মূল্যবান জীবনের অবসান হলো। নিহত মহিলার সন্তান দুটো শুধু মা-হারাই হলো না; তাদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত অন্ধকারের আবর্তে তলিয়ে গেল। এমন অবস্থা কতদিন চলবে এমন প্রশ্ন সব মানুষের হৃদয়কে আহত করে, রক্তাক্ত করে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে চালকদের বিবেকের কাছে নিবেদন : আপনারা সচেতন আর মানবিক হোন। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি এ কথা শুধু কাগজে-কলমে থাকলে চলবে না; বাস্তবে তা মেনে চলুন। আর সরকারের প্রতি আহ্বান : সড়ক বা জলপথের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের পাশাপাশি চালকদের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, তাদের প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশনের ব্যবস্থা, দায়ী চালকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
এমনি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর ২২ ডিসেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠসহ অন্যান্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে। এখানে এক মা তার দুই সন্তানসহ রিকশায় বসা ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ট্রেন আসবে, তাই রেলক্রসিং বন্ধ। তথাপি ট্রাফিক আইন অমান্যকারী এক বেপরোয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক বন্ধ থাকা ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময়ই ট্রেন এসে পড়ে এবং সিএনজি অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। আঘাতের ফলে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা মারে। এ সময় পাশে অপেক্ষমাণ রিকশাটি ওই দুটি গাড়ির ধাকায় একেবারে নিচে পড়ে যায়। এতে রিকশারোহী মহিলার মৃত্যু হয় এবং তার দু’সন্তান আহত হয়।
এই দুর্ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায়, এক দায়িত্ব-জ্ঞানহীন বেপরোয়া অটোরিকশা চালকের কারণে একটি মূল্যবান জীবনের অবসান হলো। নিহত মহিলার সন্তান দুটো শুধু মা-হারাই হলো না; তাদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত অন্ধকারের আবর্তে তলিয়ে গেল। এমন অবস্থা কতদিন চলবে এমন প্রশ্ন সব মানুষের হৃদয়কে আহত করে, রক্তাক্ত করে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে চালকদের বিবেকের কাছে নিবেদন : আপনারা সচেতন আর মানবিক হোন। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি এ কথা শুধু কাগজে-কলমে থাকলে চলবে না; বাস্তবে তা মেনে চলুন। আর সরকারের প্রতি আহ্বান : সড়ক বা জলপথের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের পাশাপাশি চালকদের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, তাদের প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশনের ব্যবস্থা, দায়ী চালকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
No comments