রাজধানীতে ৬টি পথসভা করবেন খালেদা জিয়া
আগামী ২৬ ডিসেম্বরের গণসংযোগ কর্মসূচিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে বিএনপির সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ঢাকা মহানগরীর ৬টি জায়গায় পথসভা করবেন।
সোমবার দুপুরে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।নির্দলীয় সরকারের দাবি জনমত গড়ার লক্ষ্যে ১৮ দলীয় জোটের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জোট নেত্রী খালেদা জিয়া রাজধানী ঢাকায় এবং অন্য ৭টি মহানগরীতে জোটের শীর্ষ নেতারা গনসংযোগ করবেন।
তিনি বলেন, গাবতলী থেকে পথসভা শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে কাওরান বাজার, যাত্রবাড়ি, ধোলাইখাল, সবুজবাগ ও বাড্ডার সভার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে। এছাড়াও অন্যান্য মহানগরীতে ১৮দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
রাজধানীর ৬টি স্থানে পথসভার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে জানিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। ওই দিন সকাল ১০টায় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবে এবং ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গাবতলীতে পথসভার মাধ্যমে গণসংযোগ শুরু করবেন। আমরা এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সফল করতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।
গণসংযোগ কর্মসূচিতে সকলকে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এই কর্মসূচিতে লাখো মানুষ সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করবে।
সরকারের এত ভয় কেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মানবন্ধনের মতো শান্তিপ্রিয় কর্মসূচি করতে গেলেও পুলিশ বাঁধা দেয়। বিরোধীদলের কর্মসূচিতে সরকারের কেনো এতো ভয়-আমরা বুঝতে পারি না। মানববন্ধন কর্মসূচি যদি সরকারের ভাষায় অশান্তির কর্মসূচি হয়, তাহলে শান্তিপ্রিয় কর্মসূচির সংজ্ঞা কি।
তরিকুল বলেন, আগেই বলেছি, ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা হরতার মতো কোনো কর্মসূচি দেবো না। ২৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি শেষে জোট নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকে পরবর্তি কর্মসূচি ঠিক করা হবে।
এর আগে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তরিকুল ইসলাম। বৈঠকে বুধবারের (২৬ ডিসেম্বর) গনসংযোগ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাদের, মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম আল মামুন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল মালেক চৌধুরী, মুসলিম লীগের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, ন্যাপ এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির মহানসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ইসলামিক পার্টির আবদুর রশীদ প্রধান, জাগপা‘র মহাসচিব খন্দকার লুৎফুর রহমান, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দিন, জমিয়তে উলামা ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন একরাম উপস্থিত ছিলেন।
No comments