১৮ দলের গণবিক্ষোভ-'দেশে হীরক রাজার শাসন চলছে'
রাজধানীর নয়াপল্টনে গতকাল রবিবার ১৮ দলীয় জোটের গণবিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম বলেছেন, 'লুটেরাদের দিয়ে দেশ চলছে। আমরা এক হীরক রাজার দেশে বাস করছি।
এসব লুটেরা শ্রেণী পদ্মা সেতু, হলমার্ক ও শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে।'
দেশব্যাপী গণবিক্ষোভের অংশ হিসেবে বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচিতে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা এলাকা থেকে বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেয়। ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পিকআপ ভ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয় নেতারা। তারা বলে, ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় খালেদা জিয়া গণসংযোগ ও পথসভা করবেন। ওইদিন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে বলে তারা আবারও সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় খালেদা জিয়ার গণসংযোগে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হলে এ সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। তরিকুল বলেন, বিগত চার বছরে এই সরকার আমলে এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৬ জন মানুষ গুম করা হয়েছে। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দেশ। বর্তমান সরকারের আমলে ১৭ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন দাবি করে তাঁদের বিচার না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
গতকাল বিকেল ৩টায় গণবিক্ষোভে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ-র্যাবসহ সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছিল। সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা ছাড়াও শিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিল। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গত ২৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
প্রশ্ন রেখে তরিকুল ইসলাম বলেন, 'এ জন্য কী স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল, গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম? দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি দলের মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করার নজির নেই। তাও সিটি করপোরেশনের গাড়ি পোড়ানো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় রিজভী আহমেদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ।'
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ বছরে ২৩টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। এবার ৯টি ব্যাংক দিয়েছে দলীয় লোকদের। ১৬টি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ, টেলিকম এবং জাহাজ নির্মাণ, ব্যাংক সবই তাদের দখলে। সরকারের লোকরা কুইক রেন্টালের নামে ২৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভিওআইপির মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। হলমার্ক থেকে হাতিয়ে নিয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ প্রকল্প নিয়ে সরকারের ত্রাহী অবস্থা। না পারছে গিলতে, না পারছে উগলাতে। সমাবেশে জামায়াত নেতা ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকার বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ওপর আর নির্যাতন ও গ্রেপ্তার বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি নেতা-কর্মীদের হত্যাও করতে পারে।
গণবিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবদুস সালাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, জয়নুল আবদিন ফারুক, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জাফরুল হাসান; যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
শরিক দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের মুজিবুর রহমান, হামিদুর রহমান আযাদ, ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের গোলাম আকবর, শিবিরের আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।
দেশব্যাপী গণবিক্ষোভের অংশ হিসেবে বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচিতে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা এলাকা থেকে বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেয়। ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পিকআপ ভ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয় নেতারা। তারা বলে, ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় খালেদা জিয়া গণসংযোগ ও পথসভা করবেন। ওইদিন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে বলে তারা আবারও সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় খালেদা জিয়ার গণসংযোগে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হলে এ সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। তরিকুল বলেন, বিগত চার বছরে এই সরকার আমলে এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৬ জন মানুষ গুম করা হয়েছে। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দেশ। বর্তমান সরকারের আমলে ১৭ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন দাবি করে তাঁদের বিচার না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
গতকাল বিকেল ৩টায় গণবিক্ষোভে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ-র্যাবসহ সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছিল। সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা ছাড়াও শিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিল। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। গত ২৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
প্রশ্ন রেখে তরিকুল ইসলাম বলেন, 'এ জন্য কী স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল, গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম? দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি দলের মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করার নজির নেই। তাও সিটি করপোরেশনের গাড়ি পোড়ানো মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় রিজভী আহমেদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ।'
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ বছরে ২৩টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। এবার ৯টি ব্যাংক দিয়েছে দলীয় লোকদের। ১৬টি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ, টেলিকম এবং জাহাজ নির্মাণ, ব্যাংক সবই তাদের দখলে। সরকারের লোকরা কুইক রেন্টালের নামে ২৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভিওআইপির মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। হলমার্ক থেকে হাতিয়ে নিয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ প্রকল্প নিয়ে সরকারের ত্রাহী অবস্থা। না পারছে গিলতে, না পারছে উগলাতে। সমাবেশে জামায়াত নেতা ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকার বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ওপর আর নির্যাতন ও গ্রেপ্তার বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি নেতা-কর্মীদের হত্যাও করতে পারে।
গণবিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবদুস সালাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, জয়নুল আবদিন ফারুক, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জাফরুল হাসান; যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
শরিক দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতের মুজিবুর রহমান, হামিদুর রহমান আযাদ, ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের গোলাম আকবর, শিবিরের আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।
No comments