গণধর্ষণের প্রতিবাদে দিল্লীতে অভূতপূর্ব বিক্ষোভ- ইন্ডিয়া গেট এলাকায় ১৪৪ ধারা অমান্য ॥ কাঁদানে গ্যাস জলকামান ব্যবহার
বিডিনিউজ ॥ দিল্লীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পরে রবিবার ইন্ডিয়া গেট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারতীয় কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী নিজ বাসভবনে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের এনডিটিভি। সোনিয়ার ছেলে রাহুল গান্ধীও এতে অংশ নেন।
রবিবার ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের জোর করে বাসে তুলে দিল্লীর উত্তরপূর্ব দিকে বাওয়ানা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের আপাতত আটকে রাখা হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।এ সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে বাসের ছাদে উঠে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অনেক বিক্ষোভকারী বাসে উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাসের চাকাও তারা নষ্ট করে দেয়। গত রবিবার মারধর ও ধর্ষণের পর দিল্লীর ব্যস্ত রাস্তায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া হয় এক তরুণীকে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে গত সপ্তাহজুড়ে মিছিল, সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করে বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। মেডিক্যালের ছাত্রী সেই তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার নয়াদিল্লীতেই সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের নথিপত্র অনুযায়ী, দিল্লীর থানাগুলোতে প্রতি ১৮ ঘণ্টায় একটি ধর্ষণ এবং প্রতি ১৪ ঘণ্টায় একটি যৌন নিপীড়নের ঘটনা নথিভুক্ত হয়।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যদি নিজেকে তরুণ সমাজের প্রতিনিধি বলে মনে করেন, তাহলে তিনি এখানে আসুন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলুন এবং নারী নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিন’ অসমের বৃহত্তম শহর গুয়াহাটিতেও শত শত নারী শুক্রবার প্ল্যাকার্ড হাতে ‘ধর্ষণকারীদের ফাঁসি দাও’ ও ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর’ সেøাগান দেয়। অন্যদিকে সরকার বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী আর পি এন সিং।
রবিবার ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের জোর করে বাসে তুলে দিল্লীর উত্তরপূর্ব দিকে বাওয়ানা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের আপাতত আটকে রাখা হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।এ সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে বাসের ছাদে উঠে স্লোগান দিতে দেখা যায়। অনেক বিক্ষোভকারী বাসে উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাসের চাকাও তারা নষ্ট করে দেয়। গত রবিবার মারধর ও ধর্ষণের পর দিল্লীর ব্যস্ত রাস্তায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া হয় এক তরুণীকে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে গত সপ্তাহজুড়ে মিছিল, সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করে বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। মেডিক্যালের ছাত্রী সেই তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার নয়াদিল্লীতেই সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের নথিপত্র অনুযায়ী, দিল্লীর থানাগুলোতে প্রতি ১৮ ঘণ্টায় একটি ধর্ষণ এবং প্রতি ১৪ ঘণ্টায় একটি যৌন নিপীড়নের ঘটনা নথিভুক্ত হয়।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যদি নিজেকে তরুণ সমাজের প্রতিনিধি বলে মনে করেন, তাহলে তিনি এখানে আসুন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলুন এবং নারী নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিন’ অসমের বৃহত্তম শহর গুয়াহাটিতেও শত শত নারী শুক্রবার প্ল্যাকার্ড হাতে ‘ধর্ষণকারীদের ফাঁসি দাও’ ও ‘নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর’ সেøাগান দেয়। অন্যদিকে সরকার বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী আর পি এন সিং।
No comments