নিরীহ আসামিদের এই মুহূর্তে ছেড়ে দিন- বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার দ্রুত হোক
কোনো হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা আইনের দৃষ্টিতে হত্যাকারীদের সহযোগিতার মতো গুরুতর অপরাধ। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর যেভাবে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, তা নজিরবিহীন।
যাহোক, শেষ পর্যন্ত সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে, মামলার অগ্রগতি কতটা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে দেশবাসীকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার চেয়ে বড় কাজ এখন আর কী হতে পারে? তাই অবিলম্বে এই বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করা দরকার।
প্রশাসন ও পুলিশ হয়তো গৎবাঁধা যুক্তি দিয়ে বলবে, মামলার স্বার্থেই সব কথা বলা যাবে না। কিন্তু এটাও ঠিক, কথিত ‘গোপনীয়তার স্বার্থে’ পুরো মামলাই ফাইলচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে কি না, সে সন্দেহ কেউ করলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না। কারণ, প্রথম থেকেই সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়। তাঁদের সেই কথা যে ভুল ছিল তা কিন্তু পরে সেই মন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতারা স্বীকার করেননি। এ অবস্থায় হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত যাদের ধরা হয়েছে, তাদের প্রতি সরকারের পূর্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় এ জন্য যে বিশ্বজিৎ হত্যার পরপরই যে কয়েকজনকে সন্দেহজনক গতিবিধির কথিত অভিযোগে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাদেরই বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তাদের চারজনকে এখনো অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি। অথচ এরপর কত কিছু হয়ে গেল। ভিডিওতে চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলো। কিন্তু নিরীহ চার ব্যক্তিকে অহেতুক আটকে রাখা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার করা ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জড়িত যে কয়জনের নাম পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ওই চারজনের নাম নেই। তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না?
বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একজন জজ মিয়া আমদানি করা হয়েছিল। এখন আওয়ামী লীগ সরকার যেন পূর্বসূরির কলঙ্কিত পথ অনুসরণ করে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ভিন্ন পথে পরিচালিত করার জন্য চারজন ‘জজ মিয়া’ আমদানি করতে চাইছে, যা কোনোভাবেই ন্যায় বিচারের সহায়ক নয়।
অবিলম্বে এই নিরীহ চারজনের বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগ প্রত্যাহার করা হোক। তাদের মুক্তি না দিলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। প্রকৃত আসামিরা সুবিধা পাবে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থেই নিরীহ চারজনকে মুক্তি দেওয়া দরকার।
প্রশাসন ও পুলিশ হয়তো গৎবাঁধা যুক্তি দিয়ে বলবে, মামলার স্বার্থেই সব কথা বলা যাবে না। কিন্তু এটাও ঠিক, কথিত ‘গোপনীয়তার স্বার্থে’ পুরো মামলাই ফাইলচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে কি না, সে সন্দেহ কেউ করলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না। কারণ, প্রথম থেকেই সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, হত্যাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়। তাঁদের সেই কথা যে ভুল ছিল তা কিন্তু পরে সেই মন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতারা স্বীকার করেননি। এ অবস্থায় হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত যাদের ধরা হয়েছে, তাদের প্রতি সরকারের পূর্ব দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় এ জন্য যে বিশ্বজিৎ হত্যার পরপরই যে কয়েকজনকে সন্দেহজনক গতিবিধির কথিত অভিযোগে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাদেরই বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তাদের চারজনকে এখনো অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি। অথচ এরপর কত কিছু হয়ে গেল। ভিডিওতে চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলো। কিন্তু নিরীহ চার ব্যক্তিকে অহেতুক আটকে রাখা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার করা ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জড়িত যে কয়জনের নাম পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ওই চারজনের নাম নেই। তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না?
বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একজন জজ মিয়া আমদানি করা হয়েছিল। এখন আওয়ামী লীগ সরকার যেন পূর্বসূরির কলঙ্কিত পথ অনুসরণ করে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড ভিন্ন পথে পরিচালিত করার জন্য চারজন ‘জজ মিয়া’ আমদানি করতে চাইছে, যা কোনোভাবেই ন্যায় বিচারের সহায়ক নয়।
অবিলম্বে এই নিরীহ চারজনের বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগ প্রত্যাহার করা হোক। তাদের মুক্তি না দিলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। প্রকৃত আসামিরা সুবিধা পাবে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থেই নিরীহ চারজনকে মুক্তি দেওয়া দরকার।
No comments