মিসরে গণভোটে বিতর্কিত সংবিধানের পক্ষে রায়
মিসরে গণভোটে বিতর্কিত খসড়া সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে জনগণ। দুই দফা গণভোটে ইসলামপন্থী-সমর্থিত খসড়া সংবিধানের পক্ষে প্রায় ৬৪ শতাংশ ভোট পড়ে। গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, খসড়া সংবিধান অনুমোদিত হলে মিসরে গণবিক্ষোভ হবে। এমন সংবিধান মোবারকবিরোধী বিপ্লবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
গণভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল আজ সোমবার ঘোষণা করা হতে পারে। তবে বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, গণভোটে খসড়া সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, দুই দফার রায় মিলিয়ে প্রায় ৬৪ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে; অর্থাৎ তারা খসড়া সংবিধানের পক্ষেই রায় দিয়েছে।
মিসরে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড গতকাল সকালের দিকে দাবি করে, বেশির ভাগ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তাতে ৭০ শতাংশ ভোট খসড়া সংবিধানের পক্ষেই পড়েছে। দুই দফায় মোট ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টও (এনএসএফ) বলছে, খসড়া সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফা গণভোটে মোট ৩০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়ে। এতে খসড়া সংবিধানের পক্ষে ৫৬ শতাংশ ভোট পড়ে বলে দাবি করা হয়।
মিসরের রাজধানীয় কায়রো, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়া এবং অন্য আটটি প্রদেশে ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফা গণভোট হয়। দ্বিতীয় দফায় গত শনিবার অন্য ১৭টি প্রদেশে ভোট হয়।
এনএসএফের অভিযোগ, খসড়া সংবিধানে জনগণের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষা করা হয়নি। নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়নি। মোবারকবিরোধী বিপ্লবকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ইসলামি ভাবাদর্শের কাছাকাছি গিয়ে খসড়া সংবিধান তৈরি করা হয়েছে। এটি মিসরের জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করবে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনার খবরে বলা হয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানোয় দুজন বিচারপতিকে বরখাস্ত করা হয়। ১৯ বছর বয়সী আইনের শিক্ষার্থী আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি “হ্যাঁ” ভোট দিয়েছি। মিসরে স্থিতিশীলতার জন্য একটি সংবিধান প্রয়োজন।’ তবে জারিফা আবদুল আজিজ (৫০) নামের একজন গৃহবধূ বলেন, ‘আমি হাজারবার “না” ভোট দেব। মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মকাণ্ডে আমি স্বস্তি পাচ্ছি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রধান ও রিপাবলিকান নেতা ইলিয়েনা রস-লেটিনেন এক বিবৃতিতে গণভোটকে ‘মিসরের জনগণের পরাজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে গণভোটের দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মেক্কি পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে গত এক মাসে মুরসির ১৭ শীর্ষ উপদেষ্টার সাতজন পদত্যাগ করলেন।
মুরসির ক্ষমতা বাড়ানোর আদেশ জারি করার পর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এনএসএফ মুরসির এই উদ্যোগকে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কৌশল বলে অভিযোগ তুলে আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বিবিসি, এএফপি।aac
গণভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল আজ সোমবার ঘোষণা করা হতে পারে। তবে বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, গণভোটে খসড়া সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, দুই দফার রায় মিলিয়ে প্রায় ৬৪ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে; অর্থাৎ তারা খসড়া সংবিধানের পক্ষেই রায় দিয়েছে।
মিসরে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড গতকাল সকালের দিকে দাবি করে, বেশির ভাগ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তাতে ৭০ শতাংশ ভোট খসড়া সংবিধানের পক্ষেই পড়েছে। দুই দফায় মোট ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টও (এনএসএফ) বলছে, খসড়া সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফা গণভোটে মোট ৩০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়ে। এতে খসড়া সংবিধানের পক্ষে ৫৬ শতাংশ ভোট পড়ে বলে দাবি করা হয়।
মিসরের রাজধানীয় কায়রো, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়া এবং অন্য আটটি প্রদেশে ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফা গণভোট হয়। দ্বিতীয় দফায় গত শনিবার অন্য ১৭টি প্রদেশে ভোট হয়।
এনএসএফের অভিযোগ, খসড়া সংবিধানে জনগণের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষা করা হয়নি। নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়নি। মোবারকবিরোধী বিপ্লবকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ইসলামি ভাবাদর্শের কাছাকাছি গিয়ে খসড়া সংবিধান তৈরি করা হয়েছে। এটি মিসরের জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করবে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মিনার খবরে বলা হয়, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানোয় দুজন বিচারপতিকে বরখাস্ত করা হয়। ১৯ বছর বয়সী আইনের শিক্ষার্থী আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি “হ্যাঁ” ভোট দিয়েছি। মিসরে স্থিতিশীলতার জন্য একটি সংবিধান প্রয়োজন।’ তবে জারিফা আবদুল আজিজ (৫০) নামের একজন গৃহবধূ বলেন, ‘আমি হাজারবার “না” ভোট দেব। মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মকাণ্ডে আমি স্বস্তি পাচ্ছি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রধান ও রিপাবলিকান নেতা ইলিয়েনা রস-লেটিনেন এক বিবৃতিতে গণভোটকে ‘মিসরের জনগণের পরাজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে গণভোটের দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মেক্কি পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে গত এক মাসে মুরসির ১৭ শীর্ষ উপদেষ্টার সাতজন পদত্যাগ করলেন।
মুরসির ক্ষমতা বাড়ানোর আদেশ জারি করার পর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এনএসএফ মুরসির এই উদ্যোগকে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কৌশল বলে অভিযোগ তুলে আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। বিবিসি, এএফপি।aac
No comments