শাহজাহান হত্যা মামলা: অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন তলব- বন্দর থানার ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কোয়ার্টারে বিস্ফোরণে উপ- পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে শাহজাহানের স্ত্রী লায়লা সাজু নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালতে এ মামলা করেন।
বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপম নালিশি আবেদনটি আমলে নিয়ে এসআই শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় বন্দর থানায় করা পুলিশের অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন তলব করেছেন। অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ, দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কৃষ্ণ রায় ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। নালিশি আবেদনে অভিযোগ করা হয়, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দাহ্য বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শাহজাহানকে হত্যা করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খালেদ হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নালিশি আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, শাহজাহান ১৯৮২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে এসআই হন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় এসআইর দায়িত্ব পালনের সময় শাহজাহানকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মালখানার দায়িত্ব দেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বেপারী ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই বিনয় কৃষ্ণ কর তাঁকে মালখানার মালামাল সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু এতে শাহজাহান রাজি হননি। ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি থানার ভেতরে কোয়ার্টারের সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন ওসি নূর মোহামঞ্চদ বেপারী ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুজন ব্যক্তি একটি উচ্চ দাহ্যক্ষমতাসম্পন্ন বোমা শাহজাহানের দিকে ছুড়ে মারেন। এ সময় বিকট শব্দের বিস্ফোরণে তিনি মারাত্মক দগ্ধ হন। এতে শাহজাহানের শরীরের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ অংশ পুড়ে যায়। তাঁকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাহানের মৃত্যু হয়।
নালিশি আবেদনে বলা হয়, ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পুলিশ মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করে। গত মঙ্গলবার পুলিশ তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, গাছের পাতা সংগ্রহ করে তাতে আগুন ধরিয়ে তাপ পোহানো অবস্থায় মদপান করতে গিয়ে শাহজাহান অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁর পকেটে থাকা ইনহেলার ও মদের বোতল থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। তদন্তকালে থানার ওসি ও দ্বিতীয় কর্মকর্তার সঙ্গে শাহজাহানের দ্বন্দ্বের বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় বন্দর থানায় করা অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন চেয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার চার দিন পর শাহজাহানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি ওসি ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে দায়ী করেন ও তাঁর ওপর বোমা হামলার বিবরণ দেন। ওই বিবরণ শাহজাহানের ছেলে মোরশেদ জাহান তাঁর মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন।
শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বন্দর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে।
বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপম নালিশি আবেদনটি আমলে নিয়ে এসআই শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় বন্দর থানায় করা পুলিশের অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন তলব করেছেন। অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ, দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কৃষ্ণ রায় ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। নালিশি আবেদনে অভিযোগ করা হয়, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দাহ্য বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শাহজাহানকে হত্যা করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খালেদ হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নালিশি আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, শাহজাহান ১৯৮২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন। পরে তিনি পদোন্নতি পেয়ে এসআই হন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় এসআইর দায়িত্ব পালনের সময় শাহজাহানকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মালখানার দায়িত্ব দেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বেপারী ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই বিনয় কৃষ্ণ কর তাঁকে মালখানার মালামাল সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু এতে শাহজাহান রাজি হননি। ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি থানার ভেতরে কোয়ার্টারের সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন ওসি নূর মোহামঞ্চদ বেপারী ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুজন ব্যক্তি একটি উচ্চ দাহ্যক্ষমতাসম্পন্ন বোমা শাহজাহানের দিকে ছুড়ে মারেন। এ সময় বিকট শব্দের বিস্ফোরণে তিনি মারাত্মক দগ্ধ হন। এতে শাহজাহানের শরীরের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ অংশ পুড়ে যায়। তাঁকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাহানের মৃত্যু হয়।
নালিশি আবেদনে বলা হয়, ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পুলিশ মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করে। গত মঙ্গলবার পুলিশ তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, গাছের পাতা সংগ্রহ করে তাতে আগুন ধরিয়ে তাপ পোহানো অবস্থায় মদপান করতে গিয়ে শাহজাহান অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁর পকেটে থাকা ইনহেলার ও মদের বোতল থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। তদন্তকালে থানার ওসি ও দ্বিতীয় কর্মকর্তার সঙ্গে শাহজাহানের দ্বন্দ্বের বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘আদালত শুনানি শেষে শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় বন্দর থানায় করা অপমৃত্যুর মামলার প্রতিবেদন চেয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার চার দিন পর শাহজাহানের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি ওসি ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে দায়ী করেন ও তাঁর ওপর বোমা হামলার বিবরণ দেন। ওই বিবরণ শাহজাহানের ছেলে মোরশেদ জাহান তাঁর মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন।
শাহজাহানের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বন্দর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে।
No comments