প্রাণী- দেখা মিলল গেছো ভালুকের by এ বি এম সারোয়ার আলম
বিপন্ন এ প্রজাতিটির বাংলাদেশে দেখা মিললেও প্রমাণ হিসেবে কোনো ছবি ছিল না। এরপর দেশে আর কোনো বনে এটি দেখা যায়নি। মহাসংকটাপন্ন এই প্রাণীর নাম গেছো ভালুক। দেশে মাত্র দুটি গেছো ভালুক দেখা যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে।
গেছো ভালুকের ইংরেজি নাম বিন্টু রং। এই নামেই প্রাণীটি অধিক পরিচিত। বিন্টু রংয়ের খোঁজে বেশ কয়েকবার চট্টগ্রামের বনে গিয়েছি। কিন্তু তার দেখা পাইনি, এমনকি সাধারণ মানুষের মুখে তার দেখার খবরও পাইনি। এক যুগ ধরে বন্য প্রাণী গবেষকেরা ধারণা করে আসছেন, বন্য অবস্থায় এ প্রাণীটি আর টিকে নেই। কিন্তু এবার তা ভুল প্রমাণিত হলো। গেছো ভালুকটি দেখা গেছে কক্সবাজারের ঈদগাহ এলাকায়। এ এলাকায় পাহাড়ি বন খুব একটা ভালো অবস্থায় টিকে নেই। গবেষক বন্ধু সায়েমের ক্যামেরায় ধরা পড়ল তরতাজা প্রাণবন্ত একটি বিন্টু রংয়ের ছবি। সঙ্গে ছিলেন আরেক গবেষক মো. ফয়সাল। বন থেকে তোলা এটিই বিন্টু রংয়ের প্রথম ছবি। এ দেশের সীমানায় এই প্রাণী যে এখনো টিকে আছে তা আবারও প্রমাণিত হলো।
গেছো ভালুকটি সম্পর্কে বন্য প্রাণী গবেষক ও দুবাই চিড়িয়াখানার প্রধান রেজা খান বলেন, বন্য অবস্থায় এ প্রাণীটি দেখা খুবই বিরল একটি ঘটনা। এর আগে ২০০২ সালে একটি গেছো ভালুক মানুষের হাতে আটকা পড়েছিল। তবে এবারই প্রথম গবেষকেরা বন থেকে ছবি তুললেন।
গোটা ভারতবর্ষে গেছো ভালুকের এই একটি প্রজাতিই দেখা যায়। তবে বর্তমানে গোটা দুনিয়াতেই প্রজাতিটি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এশিয়ার বেশির ভাগ দেশেই বন্দিদশায় প্রাণীটি আছে, বন্য অবস্থায় খুবই কম দেখা যায়।
গেছো ভালুক পরিবারে বাংলাদেশে মোট ছয়টি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে গেছো ভালুক ছাড়া অন্যগুলো সিভিট বা গন্ধগোকুলের জাত। এই পরিবারে শুধু গেছো ভালুকেরই প্রিহেনসাইল লেজ দেখা যায়। লেজের লোমগুলো শরীরের অন্য পশমের চেয়ে বড়। প্রাণীটি লম্বায় প্রায় ৯০ সেমি এবং দেখতে মিশমিশে কালো। মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে, চোখ লালচে বাদামি। ওজন প্রায় পাঁচ কেজির মতো।
গেছো ভালুক সাধারণত রাতের বেলায় খাবার খোঁজে। খুবই লাজুক প্রকৃতির প্রাণী, দিনের বেলায় সাধারণত পেটের ভেতর মাথা ঢুকিয়ে বিশ্রাম নেয়। গাছের ডালপালার ভেতর লুকিয়ে খাবার খোঁজে বলে এদের দেখা পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। এরা গাছপালা ও প্রাণী দুই ধরনের খাবারই খেতে অভ্যস্ত। লতাপাতা ছাড়াও এরা পোকামাকড় খায়।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু বনে এদের দেখা যেত বলে ধারণা করা হয়। শালবনেও গেছো ভালুকের অস্বিত্ব ছিল বলে প্রমাণ আছে। তবে বাদাবনে এ প্রাণীটি কখনো দেখা যায়নি। এখনই বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাই গেছো ভালুকের আবাসস্থল রক্ষায় এগিয়ে এলে প্রাণীটি আমাদের বনজঙ্গলে টিকে থাকবে আরও বহুদিন।
গেছো ভালুকটি সম্পর্কে বন্য প্রাণী গবেষক ও দুবাই চিড়িয়াখানার প্রধান রেজা খান বলেন, বন্য অবস্থায় এ প্রাণীটি দেখা খুবই বিরল একটি ঘটনা। এর আগে ২০০২ সালে একটি গেছো ভালুক মানুষের হাতে আটকা পড়েছিল। তবে এবারই প্রথম গবেষকেরা বন থেকে ছবি তুললেন।
গোটা ভারতবর্ষে গেছো ভালুকের এই একটি প্রজাতিই দেখা যায়। তবে বর্তমানে গোটা দুনিয়াতেই প্রজাতিটি সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এশিয়ার বেশির ভাগ দেশেই বন্দিদশায় প্রাণীটি আছে, বন্য অবস্থায় খুবই কম দেখা যায়।
গেছো ভালুক পরিবারে বাংলাদেশে মোট ছয়টি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে গেছো ভালুক ছাড়া অন্যগুলো সিভিট বা গন্ধগোকুলের জাত। এই পরিবারে শুধু গেছো ভালুকেরই প্রিহেনসাইল লেজ দেখা যায়। লেজের লোমগুলো শরীরের অন্য পশমের চেয়ে বড়। প্রাণীটি লম্বায় প্রায় ৯০ সেমি এবং দেখতে মিশমিশে কালো। মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে, চোখ লালচে বাদামি। ওজন প্রায় পাঁচ কেজির মতো।
গেছো ভালুক সাধারণত রাতের বেলায় খাবার খোঁজে। খুবই লাজুক প্রকৃতির প্রাণী, দিনের বেলায় সাধারণত পেটের ভেতর মাথা ঢুকিয়ে বিশ্রাম নেয়। গাছের ডালপালার ভেতর লুকিয়ে খাবার খোঁজে বলে এদের দেখা পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। এরা গাছপালা ও প্রাণী দুই ধরনের খাবারই খেতে অভ্যস্ত। লতাপাতা ছাড়াও এরা পোকামাকড় খায়।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু বনে এদের দেখা যেত বলে ধারণা করা হয়। শালবনেও গেছো ভালুকের অস্বিত্ব ছিল বলে প্রমাণ আছে। তবে বাদাবনে এ প্রাণীটি কখনো দেখা যায়নি। এখনই বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাই গেছো ভালুকের আবাসস্থল রক্ষায় এগিয়ে এলে প্রাণীটি আমাদের বনজঙ্গলে টিকে থাকবে আরও বহুদিন।
No comments