শব্দের অত্যাচার by মশিউর রহমান রুবেল
আজ ২৭ এপ্রিল। আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস। শব্দদূষণ নিয়ে যেখানে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার সেখানে আমাদের দেশে ক্রমেই বেড়ে চলছে শব্দদূষণ। নীতিমালা আছে তারপরও যেন প্রতিকার নেই। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরেই বর্তমানে এই দূষণের শিকার।
ফলে শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে আগামী প্রজন্ম। শ্রবণশক্তিই নয়, উচ্চরক্ত চাপ, মাথাধরা, অজীর্ণ, পেপটিক আলসার, অনিদ্রা ও ফুসফুসে ক্ষতিসহ ৩০টি কঠিন রোগের অন্যতম কারণ শব্দদূষণ। এছাড়া মাথাব্যথা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মনোসংযোগ নষ্ট হওয়াসহ শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে শব্দদূষণের কারণে। অতিরিক্ত শব্দদূষণে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা নষ্ট হয়, সন্তানসম্ভাবনা মায়েদের যে কোনো ধরনের উচ্চ শব্দ মারাত্মক ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, যানবাহনের শব্দদূষণে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায় বহুমাত্রায়।
আমাদের প্রিয় রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত ভয়াবহ।
গত ২৬ জানুয়ারি ২০১১ ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যানবাহনের শব্দদূষণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে ৬৫ কিংবা এর চেয়ে বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি আরও বেশি। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৫০ হাজারেরও বেশি লোকের ওপর এক জরিপ শেষে দেখা গেছে, অতিরিক্ত প্রতি ১০ ডেসিমেল শব্দের জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ১৪ শতাংশ। এ ঝুঁকি গড়ে সব বয়সীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ ডেসিমেল শব্দে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৭ শতাংশ বাড়ে।
বর্তমানে আমাদের দেশের নগরীর হাজার সমস্যার মধ্যেও শব্দদূষণ অন্যতম একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু শব্দদূষণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সমস্যা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। শব্দদূষণ রোধে নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে সে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই। প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষ। রাস্তায় নামছে নতুন নতুন গাড়ি। তৈরি হচ্ছে নতুন স্থাপনা। আর এই বাড়তি মানুষের চাহিদার জোগান দিতে বেড়েছে শব্দদূষণের মাত্রা এবং বাড়তে বাড়তে এক অসহনীয় পর্যায়ে পেঁৗছেছে। আবাসিক, অনাবাসিক এলাকা, অফিসপাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি হাসপাতালের আশপাশেও শব্দদূষণের তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শব্দদূষণ শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এ সমস্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ বধির হওয়া থেকে হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলগামী শিশুরা।
শব্দদূষণ বন্ধে বিধিমালা বাস্তবায়নে গাড়িচালকদের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে গাড়ির হর্ন বাজানোর জন্য সংশিল্গষ্ট চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে অর্থাৎ শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শব্দদূষণ বন্ধে পুলিশ বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর, বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের পরিচালিত মোবাইল কোর্টগুলোতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সরকার জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ প্রণয়ন করে। এ বিধিমালা বাস্তবায়নে জরিমানা আদায়ে ট্রাফিক পুলিশকে ক্ষমতা প্রদান করা জরুরি। জনগণকে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির বিরুদ্ধে সহজে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা, সার্জেট বা ট্রাফিক পুলিশের কাছে অভিযোগ প্রদানে উৎসাহী করা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে প্রত্যেকটি সড়কে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত।
আমাদের প্রিয় রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত ভয়াবহ।
গত ২৬ জানুয়ারি ২০১১ ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যানবাহনের শব্দদূষণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে ৬৫ কিংবা এর চেয়ে বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি আরও বেশি। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৫০ হাজারেরও বেশি লোকের ওপর এক জরিপ শেষে দেখা গেছে, অতিরিক্ত প্রতি ১০ ডেসিমেল শব্দের জন্য স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ১৪ শতাংশ। এ ঝুঁকি গড়ে সব বয়সীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ ডেসিমেল শব্দে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৭ শতাংশ বাড়ে।
বর্তমানে আমাদের দেশের নগরীর হাজার সমস্যার মধ্যেও শব্দদূষণ অন্যতম একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু শব্দদূষণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সমস্যা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। শব্দদূষণ রোধে নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে সে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই। প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষ। রাস্তায় নামছে নতুন নতুন গাড়ি। তৈরি হচ্ছে নতুন স্থাপনা। আর এই বাড়তি মানুষের চাহিদার জোগান দিতে বেড়েছে শব্দদূষণের মাত্রা এবং বাড়তে বাড়তে এক অসহনীয় পর্যায়ে পেঁৗছেছে। আবাসিক, অনাবাসিক এলাকা, অফিসপাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি হাসপাতালের আশপাশেও শব্দদূষণের তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শব্দদূষণ শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এ সমস্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ বধির হওয়া থেকে হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলগামী শিশুরা।
শব্দদূষণ বন্ধে বিধিমালা বাস্তবায়নে গাড়িচালকদের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে গাড়ির হর্ন বাজানোর জন্য সংশিল্গষ্ট চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে অর্থাৎ শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শব্দদূষণ বন্ধে পুলিশ বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর, বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের পরিচালিত মোবাইল কোর্টগুলোতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সরকার জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ প্রণয়ন করে। এ বিধিমালা বাস্তবায়নে জরিমানা আদায়ে ট্রাফিক পুলিশকে ক্ষমতা প্রদান করা জরুরি। জনগণকে শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির বিরুদ্ধে সহজে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা, সার্জেট বা ট্রাফিক পুলিশের কাছে অভিযোগ প্রদানে উৎসাহী করা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে প্রত্যেকটি সড়কে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত।
No comments