কবীর চৌধুরীর স্মরণসভা- যুদ্ধাপরাধীরা শাস্তি পাবেই
সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। জীবদ্দশায় না হলেও তাঁর সেই আশা সফল হবে। জামায়াতে ইসলামী যতই চক্রান্ত করুক, যুদ্ধাপরাধীরা শাস্তি পাবেই।
কবীর চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণসভায় সংস্কৃতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কর্মসংস্থান সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল লতিফ।সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্যারের (কবীর চৌধুরী) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেশেনি, তারা ভাবতেও পারবে না যে কত মহান, নিরহংকারী, সৎ এবং প্রাণখোলা একজন মানুষকে দেশ হারিয়েছে। জাতির পিতার মতো কবীর চৌধুরীও সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
কবীর চৌধুরীর কন্যা শাহীন মাহবুবা কবীর পিতার অজানা নানা তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘জীবনের শেষ মুহূর্তেও তিনি লেখার কথা, দেশ ও দশের কথা ভেবেছেন।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের সাবেক উপদেষ্টা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, ‘তাঁর কাছে জাতি কৃতজ্ঞ।’
আয়োজক সংস্থার মহাসচিব দীন মোহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘সংসারে কিছু মানুষের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, যাঁদের দেখলে মাথা আপনাআপনি নত হয়ে আসে। তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কোনো পিতার নির্দেশ বা উপদেশের প্রয়োজন হয় না। কবীর চৌধুরী ছিলেন এ-জাতীয় মানুষ।’একাধিক বক্তা কবীর চৌধুরীর লেখা বইগুলো দেশের বিভিন্ন পাঠাগারে রাখার আহ্বান জানান।
No comments