বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই
স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সাতক্ষীরার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ কারণে অযত্ন-অবহেলায় সেগুলো নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে।
এলাকাবাসী জানান, যশোরের ছিয়ানব্বই গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভারতে যাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সাতক্ষীরা শহরে আসার সময় ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা বাজারে নির্বিচারে গুলি করে তাঁদের হত্যা করে। পরে তাঁদের ঝাউডাঙ্গা বাজারের পাশে একটি স্থানে গণকবর দেওয়া হয়। একইভাবে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ-শিশু ভারতে যাচ্ছিলেন। রাত হওয়ায় তাঁরা সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন। ২১ এপ্রিল ভোরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁদের হত্যা করে। পরে তাঁদের সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন দীনেশ কর্মকারের ভিটায় গণকবর দেওয়া হয়।
২৩ এপ্রিল তালা উপজেলার পারকুমুরিয়া ও পুঁটিখালী গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী ৪৯ জনকে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের পারকুমুরিয়া গ্রামে গণকবর দেওয়া হয়। পরে পাটকেলঘাটা বাজারে আবদুর রউফ, দীনবন্ধু পাল, অনিল দাস, নিমাই সাধু, গোষ্ট বিহারী কণ্ডুকে গুলি করে হত্যা করে। শরীরে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাসকে। তাঁদের পাটকেলঘাটায় গণকবর দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদাররা কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামে হামলা চালিয়ে বৈদ্যনাথ পাল, রঞ্জন পাল, বিমল চন্দ্র পাল, নিতাই চন্দ্র পাল, গোপাল চন্দ্র পাল, সতীশ পাল, রামচন্দ্র পাল, অনিল চন্দ্র পালকে হত্যা করে। মুরারীকাটি গ্রামে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, শুধু ওইসব স্থানে নয়, একাত্তরের ওই বর্বর গণহত্যার সাক্ষী হয়ে আছে সাতক্ষীরার রাঢ়িপাড়া, কলারোয়া, মুরারীকাটি, জালালপুর, কিসমত ইলিশপুর, বালিয়াডাঙ্গা, কলারোয়া ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশ, হরিনগর, বড়দল দেবহাটা, বৈচনা, পারুলিয়াসহ ২৫-৩০টি স্থান। এসব স্থানের একটিও সংরক্ষণ করা হয়নি।
সংসদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হাসনে জাহিদ জানান, স্থানগুলো ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে সারা দেশে ২০০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরায় প্রায় ৩০টি বধ্যভূমি রয়েছে। কিন্তু ওই তালিকায় সাতক্ষীরার নাম নেই। তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন দীনেশ কর্মকার ভিটার বধ্যভূমিটি ইতিমধ্যে অন্যের দখলে চলে গেছে; পাঁয়তারা চলছে কৌশলে স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার।
সাতক্ষীরা জেলা মুিক্তযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইনামুল হক বিশ্বাস জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে বধ্যভূমি ও গণকবরের তালিকা কয়েক দফা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর তদন্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় নতুন বধ্যভূমি সংরক্ষণের যে তালিকা করেছে, তাতে সাতক্ষীরা জেলার নাম নেই।
২৩ এপ্রিল তালা উপজেলার পারকুমুরিয়া ও পুঁটিখালী গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী ৪৯ জনকে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের পারকুমুরিয়া গ্রামে গণকবর দেওয়া হয়। পরে পাটকেলঘাটা বাজারে আবদুর রউফ, দীনবন্ধু পাল, অনিল দাস, নিমাই সাধু, গোষ্ট বিহারী কণ্ডুকে গুলি করে হত্যা করে। শরীরে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাসকে। তাঁদের পাটকেলঘাটায় গণকবর দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদাররা কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামে হামলা চালিয়ে বৈদ্যনাথ পাল, রঞ্জন পাল, বিমল চন্দ্র পাল, নিতাই চন্দ্র পাল, গোপাল চন্দ্র পাল, সতীশ পাল, রামচন্দ্র পাল, অনিল চন্দ্র পালকে হত্যা করে। মুরারীকাটি গ্রামে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, শুধু ওইসব স্থানে নয়, একাত্তরের ওই বর্বর গণহত্যার সাক্ষী হয়ে আছে সাতক্ষীরার রাঢ়িপাড়া, কলারোয়া, মুরারীকাটি, জালালপুর, কিসমত ইলিশপুর, বালিয়াডাঙ্গা, কলারোয়া ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশ, হরিনগর, বড়দল দেবহাটা, বৈচনা, পারুলিয়াসহ ২৫-৩০টি স্থান। এসব স্থানের একটিও সংরক্ষণ করা হয়নি।
সংসদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হাসনে জাহিদ জানান, স্থানগুলো ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে সারা দেশে ২০০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরায় প্রায় ৩০টি বধ্যভূমি রয়েছে। কিন্তু ওই তালিকায় সাতক্ষীরার নাম নেই। তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন দীনেশ কর্মকার ভিটার বধ্যভূমিটি ইতিমধ্যে অন্যের দখলে চলে গেছে; পাঁয়তারা চলছে কৌশলে স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার।
সাতক্ষীরা জেলা মুিক্তযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইনামুল হক বিশ্বাস জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে বধ্যভূমি ও গণকবরের তালিকা কয়েক দফা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর তদন্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় নতুন বধ্যভূমি সংরক্ষণের যে তালিকা করেছে, তাতে সাতক্ষীরা জেলার নাম নেই।
No comments