ধূলিদূষণে বাড়ছে শীত ও কুয়াশা by ইফতেখার মাহমুদ
সকাল থেকেই হাড়কাঁপানো শীত। রোদ উঠলেও বাতাসে শীতের দাপট ভালোই ছিল। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে ঠান্ডা। ছিল ঘন কুয়াশা। গতকাল রোববার এমন অবস্থা ছিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সোমবার থেকে রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া ও শ্রীমঙ্গলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহ ছাড়াই শীতের তীব্রতার অন্যতম কারণ ধুলিদূষণ। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে জলীয়বাষ্প ধুলার আশ্রয়ে জমে থাকছে। শহরে গা ঘেঁষে নির্মিত ভবনের সারি বাতাস প্রবাহিত হতে দিচ্ছে না। ফলে কুয়াশা সরছে না। এতে শীতের সময় দীর্ঘ হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামলে তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলে না। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫০ বছরের শীতকালীন তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাফিজুর রহমান। ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ধরন’ শীর্ষক এই গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে শীতকালের ব্যাপ্তি কমছে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনের সংখ্যা বাড়ছে। আগে বছরে তিন থেকে চার মাস শীত থাকত। এখন তা কমে দুই থেকে তিন মাসে নেমে এসেছে। তবে আগে শীত মৌসুমে একটি শৈত্যপ্রবাহের সময়কাল ছিল তিন থেকে চার দিন। এখন তা বেড়ে পাঁচ থেকে সাত দিনব্যাপী থাকছে।
ওই গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর বেশির ভাগ আবাসিক এলাকার ভবনগুলোর উচ্চতা চারতলা থেকে বেড়ে ছয়তলা হয়েছে। ভবনের সংখ্যা প্রায় দিগুণ হয়েছে। এতে বাতাস প্রবাহিত হতে পারছে না। নতুন ভবন নির্মাণের কারণে ধুলার পরিমাণও বাড়ছে। ফলে ভূখণ্ড থেকে সৃষ্ট জলীয়বাষ্প ধুলার ওপর ভর করে স্থির হয়ে থাকছে। সেটাই কুয়াশা হিসেবে ভাসছে। এতে সূর্যের আলো দিনেও ভূখণ্ডে ঢুকতে পারছে না। ফলে দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে না। সূর্যের আলো কম আসায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমছে। ফলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
রাজধানীর কুয়াশায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদানও খুঁজে পেয়েছেন বুয়েটের গবেষকেরা। তাঁরা এই কুয়াশায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন নামের এক ধরনের উপাদান পেয়েছেন। এটি মূলত পরিবহন ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ধূলি থেকে সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে মাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘন কুয়াশা শুধু শীত বাড়াচ্ছে তাই নয়, নানা ধরনের মারাত্মক উপাদান কুয়াশার মধ্য দিয়ে মানবদেহে প্রবেশও করতে পারে। ফলে বাতাস প্রবাহের পথ রেখে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও ধুলা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে ক্যানসারের মতো আরও অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে। দেশের নীতিনির্ধারকদের এ নিয়ে ভাবতে হবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। দেশের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহ দুই-তিন দিন থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামলে তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলে না। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫০ বছরের শীতকালীন তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাফিজুর রহমান। ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ধরন’ শীর্ষক এই গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে শীতকালের ব্যাপ্তি কমছে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনের সংখ্যা বাড়ছে। আগে বছরে তিন থেকে চার মাস শীত থাকত। এখন তা কমে দুই থেকে তিন মাসে নেমে এসেছে। তবে আগে শীত মৌসুমে একটি শৈত্যপ্রবাহের সময়কাল ছিল তিন থেকে চার দিন। এখন তা বেড়ে পাঁচ থেকে সাত দিনব্যাপী থাকছে।
ওই গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর বেশির ভাগ আবাসিক এলাকার ভবনগুলোর উচ্চতা চারতলা থেকে বেড়ে ছয়তলা হয়েছে। ভবনের সংখ্যা প্রায় দিগুণ হয়েছে। এতে বাতাস প্রবাহিত হতে পারছে না। নতুন ভবন নির্মাণের কারণে ধুলার পরিমাণও বাড়ছে। ফলে ভূখণ্ড থেকে সৃষ্ট জলীয়বাষ্প ধুলার ওপর ভর করে স্থির হয়ে থাকছে। সেটাই কুয়াশা হিসেবে ভাসছে। এতে সূর্যের আলো দিনেও ভূখণ্ডে ঢুকতে পারছে না। ফলে দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে না। সূর্যের আলো কম আসায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমছে। ফলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
রাজধানীর কুয়াশায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদানও খুঁজে পেয়েছেন বুয়েটের গবেষকেরা। তাঁরা এই কুয়াশায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন নামের এক ধরনের উপাদান পেয়েছেন। এটি মূলত পরিবহন ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ধূলি থেকে সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে মাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘন কুয়াশা শুধু শীত বাড়াচ্ছে তাই নয়, নানা ধরনের মারাত্মক উপাদান কুয়াশার মধ্য দিয়ে মানবদেহে প্রবেশও করতে পারে। ফলে বাতাস প্রবাহের পথ রেখে পরিকল্পিত নগরায়ণ ও ধুলা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে ক্যানসারের মতো আরও অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে। দেশের নীতিনির্ধারকদের এ নিয়ে ভাবতে হবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয় থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। দেশের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহ দুই-তিন দিন থাকতে পারে।
No comments