জনগণের টাকার যাতে সঠিক ব্যবহার হয় নজর রাখুন- ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের গ্রামীণ এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন ও জনগণকে একটি একক কেন্দ্র থেকে সরকারী সেবাসমূহ পেতে সাহায্য করতে প্রতি উপজেলায় ‘উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, একেক স্থানে একেকটি সরকারী অফিস থাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জমি বিনষ্ট হচ্ছে এবং জনগণ ভাল সেবা পাচ্ছে না।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আরও আন্তরিক হওয়ার এবং তাদের কাজে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকার যেন সঠিক ব্যবহার হয়, জনগণের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়- সেদিকে আপনাদের নজর দিতে হবে। ঢাকায় রবিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের উপজেলা নেতৃবৃন্দের জাতীয় সম্মেলন ও ৩৭তম কাউন্সিল উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। খবর বাসসর ও বিডিনিউজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাজেটে যে পদক্ষেপ নেই- তার পাই-পয়সা কাজে লাগালে গ্রাম বাংলার চিত্র অন্য রকম হতো। তিনি বলেন, আমরা সরকারী অফিসসমূহ, গৃহায়ন, স্কুল, কলেজ ও শিল্পের জন্য বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করার পরিকল্পনা নিতে চাই। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়- তা জনগণের করের অথবা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্য থেকে পাওয়া।
একটি সমতাভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রামের লোকজনের কাছে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বানের মধ্য দিয়ে রবিবার তিন দিনব্যাপী ৩৭তম জাতীয় কাউন্সিল ও আইডিইবির উপজেলা নেতৃবৃন্দের প্রথম সম্মেলন শুরু হয়। এবারের কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘গ্রাম বাংলায় প্রযুক্তি... গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।’ আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম শামসুর রহমান বক্তৃতা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন উদ্বোধন ও আইডিইবি ভবনের বর্ধিতাংশ উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঘরে ঘরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো পৌঁছে দিতে চায়। তিনি বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চায়। এ কারণে বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
দেশের অগ্রগতিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনশীল কাজের প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করে। তিনি বলেন, ‘তারা রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গৃহায়ন, বিভিন্ন স্থাপনা এবং কল-কারখানা নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখে। তিনি সরকারী অর্থসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরকারী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও কাজের গুণগত মান আপনাদের দক্ষতা ও সততার ওপর নির্ভর করে।’ তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করলে যে সুষম উন্নয়ন হয় তা জাতি দেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এ লক্ষ্যে আপনাদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রতিটি বিভাগে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এসব অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর, সড়ক ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ হেক্টর আবাদী জমি নষ্ট হচ্ছে। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সুপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উন্নয়নের জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ জনশক্তি ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন সম্পদ আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে রূপান্তর করতে সরকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাগত সমস্যা সমাধানের দাবির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে শিক্ষা এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত পৃথক কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। তিনি বলেন, সুপারিশসমূহ সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আরও আন্তরিক হওয়ার এবং তাদের কাজে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকার যেন সঠিক ব্যবহার হয়, জনগণের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়- সেদিকে আপনাদের নজর দিতে হবে। ঢাকায় রবিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের উপজেলা নেতৃবৃন্দের জাতীয় সম্মেলন ও ৩৭তম কাউন্সিল উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। খবর বাসসর ও বিডিনিউজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাজেটে যে পদক্ষেপ নেই- তার পাই-পয়সা কাজে লাগালে গ্রাম বাংলার চিত্র অন্য রকম হতো। তিনি বলেন, আমরা সরকারী অফিসসমূহ, গৃহায়ন, স্কুল, কলেজ ও শিল্পের জন্য বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করার পরিকল্পনা নিতে চাই। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়- তা জনগণের করের অথবা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্য থেকে পাওয়া।
একটি সমতাভিত্তিক আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রামের লোকজনের কাছে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বানের মধ্য দিয়ে রবিবার তিন দিনব্যাপী ৩৭তম জাতীয় কাউন্সিল ও আইডিইবির উপজেলা নেতৃবৃন্দের প্রথম সম্মেলন শুরু হয়। এবারের কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘গ্রাম বাংলায় প্রযুক্তি... গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।’ আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম শামসুর রহমান বক্তৃতা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন উদ্বোধন ও আইডিইবি ভবনের বর্ধিতাংশ উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঘরে ঘরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো পৌঁছে দিতে চায়। তিনি বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চায়। এ কারণে বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
দেশের অগ্রগতিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনশীল কাজের প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করে। তিনি বলেন, ‘তারা রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গৃহায়ন, বিভিন্ন স্থাপনা এবং কল-কারখানা নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখে। তিনি সরকারী অর্থসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরকারী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও কাজের গুণগত মান আপনাদের দক্ষতা ও সততার ওপর নির্ভর করে।’ তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করলে যে সুষম উন্নয়ন হয় তা জাতি দেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এ লক্ষ্যে আপনাদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রতিটি বিভাগে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এসব অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর, সড়ক ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ হেক্টর আবাদী জমি নষ্ট হচ্ছে। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সুপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উন্নয়নের জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ জনশক্তি ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন সম্পদ আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে রূপান্তর করতে সরকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাগত সমস্যা সমাধানের দাবির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে শিক্ষা এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত পৃথক কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। তিনি বলেন, সুপারিশসমূহ সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
No comments