সাংবাদিকদের ওপর হুমকি-হামলার শেষ কোথায়?- শামীম ওসমানের হুমকি
‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ হয়ে বসেছেন নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগের নেতা শামীম ওসমান। তাঁর সাম্প্রতিক কীর্তি হলো প্রথম আলোর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আসিফ হোসেনকে ‘গুষ্টিসহ গুলি করে মারা’র হুমকি দেওয়া।
এর আগে আরও বহু মানুষ তাঁর এ ধরনের হুমকি পেয়েছেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক এমন আচরণেরই সর্বশেষ শিকার।
প্রথম আলোর প্রতিনিধির অপরাধ, তিনি নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের একটি কর্মসূচি নিয়ে সংবাদের অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সংবাদটি শামীম ওসমানের পছন্দ না হওয়ায় তিনি তা প্রকাশে আপত্তি করেন। প্রথম আলো প্রতিনিধি তাঁকে জানান, তাঁর দায়িত্ব তিনি পালন করবেন, খবর প্রকাশ হওয়া না-হওয়া প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতির আওতাধীন। সুতরাং, এ বিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এ ঘটনাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে টেলিফোনে হুমকি দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘খবর ছাপলে গুষ্টিসহ গুলি করে মারব’। তিনি সে সময় প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে ১৪ দলীয় সমাবেশ ও মিছিল হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সমাবেশে শামীম ওসমান বক্তব্য দিতে চাইলে জোটের শরিক দলের নেতারা আপত্তি জানান। পরে কর্মসূচিটিই তাঁরা স্থগিত করে দেন। এ বিষয়ে প্রথম আলোয় গত শনিবার প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়, কর্মসূচি স্থগিতের আনুষ্ঠানিকভাবে এক শরিক দলের নেতার স্ত্রী মারা যাওয়ার কথা বলা হলেও, শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা শামীম ওসমানের বক্তৃতা দিতে চাওয়াকেই দায়ী করেন। হুমকির কারণও সেটাই।
শামীম ওসমান একাধিক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি রাজনৈতিক বিবেচনায় করা মামলা কোটায় ছাড় পেয়েছেন বা জামিনে আছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ই তাঁকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও জনজীবনের শান্তি—দুটোই বিঘ্নিত হয়েছে। তাঁকে বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভোটাররাও মেয়র নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নির্বাচিত করেন। সে সময়ও তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন। এবার তাঁর হুমকির শিকার হলেন প্রথম আলোর সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।
সম্প্রতি দেশব্যাপী প্রথম আলোর সাংবাদিকদের ওপর সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি বা আক্রমণের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আলোর প্রতিনিধির অপরাধ, তিনি নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের একটি কর্মসূচি নিয়ে সংবাদের অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন। কিন্তু সংবাদটি শামীম ওসমানের পছন্দ না হওয়ায় তিনি তা প্রকাশে আপত্তি করেন। প্রথম আলো প্রতিনিধি তাঁকে জানান, তাঁর দায়িত্ব তিনি পালন করবেন, খবর প্রকাশ হওয়া না-হওয়া প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতির আওতাধীন। সুতরাং, এ বিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এ ঘটনাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে টেলিফোনে হুমকি দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘খবর ছাপলে গুষ্টিসহ গুলি করে মারব’। তিনি সে সময় প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে ১৪ দলীয় সমাবেশ ও মিছিল হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সমাবেশে শামীম ওসমান বক্তব্য দিতে চাইলে জোটের শরিক দলের নেতারা আপত্তি জানান। পরে কর্মসূচিটিই তাঁরা স্থগিত করে দেন। এ বিষয়ে প্রথম আলোয় গত শনিবার প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়, কর্মসূচি স্থগিতের আনুষ্ঠানিকভাবে এক শরিক দলের নেতার স্ত্রী মারা যাওয়ার কথা বলা হলেও, শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা শামীম ওসমানের বক্তৃতা দিতে চাওয়াকেই দায়ী করেন। হুমকির কারণও সেটাই।
শামীম ওসমান একাধিক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি রাজনৈতিক বিবেচনায় করা মামলা কোটায় ছাড় পেয়েছেন বা জামিনে আছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ই তাঁকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও জনজীবনের শান্তি—দুটোই বিঘ্নিত হয়েছে। তাঁকে বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভোটাররাও মেয়র নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নির্বাচিত করেন। সে সময়ও তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন। এবার তাঁর হুমকির শিকার হলেন প্রথম আলোর সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।
সম্প্রতি দেশব্যাপী প্রথম আলোর সাংবাদিকদের ওপর সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি বা আক্রমণের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে।
No comments