জবানবন্দির সঙ্গে ময়নাতদন্ত মিলছে না
‘...তখন আমার হাতে একটি চাপাতি ছিল আর রাজনের হাতে ড্যাগার। অন্যদের হাতে রড ও লাঠি। ইউনুছ, টিপু ও ওবায়দুর রড দিয়ে মারতে থাকলে ছেলেটি চিৎকার করে বলতে থাকে, “আমার নাম বিশ্বজিৎ দাস, আমারে মাইরেন না।
” এ সময় বিশ্বজিৎ দোতলায় উঠে গেলে রাজন ড্যাগার দিয়ে বিশ্বজিৎকে ঘাই দেয়। আর আমি চাপাতি দিয়া বিশ্বজিতের হাত-পা ও পিঠসহ বিভিন্ন জায়গায় কোপালে বিশ্বজিৎ ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে...।’
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল। তিনি, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন ও মাহফুজুর রহমান নাহিদ গতকাল প্রায় একই ধরনের জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনজনের জবানবন্দিতেই মারধরের বীভৎস বর্ণনা থাকলেও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিশ্বজিতের শরীরে একটিমাত্র ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আর একটি থেঁতলানো জখম খুঁজে পেয়েছেন। ময়নাতদন্তের আগে করা পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বিশ্বজিতের শরীরে একটি কাটা ও দুটি জখমের কথা বলা হয়।
বিশ্বজিতের ওপর বর্বর হামলার যে বর্ণনা এই তিন আসামি দিয়েছেন, তার সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মিল নেই। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, বিশ্বজিতের লাশ পুড়িয়ে ফেলায় এখন আর অধিকতর অনুসন্ধানের সুযোগও নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো হত্যামামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হলো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদন দেখে বিচারের সময় প্রশ্ন উঠতে পারে, এতগুলো আসামি একজনকে কোপাল, মারল। অথচ শরীরে জখমের চিহ্ন মাত্র দুটি কেন? এ যুক্তিতে আসামিদের শাস্তি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক লিখেছেন, ‘পিঠে ডান কাঁধের (বগলের) নিচে সাড়ে তিন ইঞ্চি চওড়া দেড় ইঞ্চি গভীর একটি ছুরিকাঘাতের জখম এবং বাম হাঁটুর জোড়ায় থেঁতলানো জখম রয়েছে। বগলের নিচে জখমের ফলে তাঁর শরীরের একটি বড় ধমনি কাটা গেছে। শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো স্বাভাবিক ও ফ্যাকাশে এবং হূৎপিণ্ডের দুটি প্রকোষ্ঠই ছিল খালি।’
সুরতহাল প্রতিবেদনে সূত্রাপুর থানার পুলিশ লিখেছে, ‘কোমরের ওপরে পিঠে হালকা ফোলা জখম দেখা যায়। ডান হাতের পাখনার (বগলের) নিচে আনুমানিক তিন ইঞ্চি কাটা রক্তাক্ত জখম ও বাম হাঁটুর নিচে ছেঁড়া জখম রয়েছে।’
ময়নাতদন্তকারী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান বলেছিলেন, বিশ্বজিতের শরীরে বড় ধরনের একটি ছুরিকাঘাত ছিল, দু-একটি ছিল ছোটখাটো। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সব কটিই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও এ ধরনের আঘাতের উল্লেখ আছে।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল। তিনি, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন ও মাহফুজুর রহমান নাহিদ গতকাল প্রায় একই ধরনের জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনজনের জবানবন্দিতেই মারধরের বীভৎস বর্ণনা থাকলেও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বিশ্বজিতের শরীরে একটিমাত্র ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আর একটি থেঁতলানো জখম খুঁজে পেয়েছেন। ময়নাতদন্তের আগে করা পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বিশ্বজিতের শরীরে একটি কাটা ও দুটি জখমের কথা বলা হয়।
বিশ্বজিতের ওপর বর্বর হামলার যে বর্ণনা এই তিন আসামি দিয়েছেন, তার সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মিল নেই। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, বিশ্বজিতের লাশ পুড়িয়ে ফেলায় এখন আর অধিকতর অনুসন্ধানের সুযোগও নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো হত্যামামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হলো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদন দেখে বিচারের সময় প্রশ্ন উঠতে পারে, এতগুলো আসামি একজনকে কোপাল, মারল। অথচ শরীরে জখমের চিহ্ন মাত্র দুটি কেন? এ যুক্তিতে আসামিদের শাস্তি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক লিখেছেন, ‘পিঠে ডান কাঁধের (বগলের) নিচে সাড়ে তিন ইঞ্চি চওড়া দেড় ইঞ্চি গভীর একটি ছুরিকাঘাতের জখম এবং বাম হাঁটুর জোড়ায় থেঁতলানো জখম রয়েছে। বগলের নিচে জখমের ফলে তাঁর শরীরের একটি বড় ধমনি কাটা গেছে। শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো স্বাভাবিক ও ফ্যাকাশে এবং হূৎপিণ্ডের দুটি প্রকোষ্ঠই ছিল খালি।’
সুরতহাল প্রতিবেদনে সূত্রাপুর থানার পুলিশ লিখেছে, ‘কোমরের ওপরে পিঠে হালকা ফোলা জখম দেখা যায়। ডান হাতের পাখনার (বগলের) নিচে আনুমানিক তিন ইঞ্চি কাটা রক্তাক্ত জখম ও বাম হাঁটুর নিচে ছেঁড়া জখম রয়েছে।’
ময়নাতদন্তকারী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান বলেছিলেন, বিশ্বজিতের শরীরে বড় ধরনের একটি ছুরিকাঘাত ছিল, দু-একটি ছিল ছোটখাটো। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সব কটিই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও এ ধরনের আঘাতের উল্লেখ আছে।
No comments