ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিল সাংবাদিকদের ইউনিয়নগুলো
সাংবাদিকদের দ্বিধাবিভক্ত পেশাগত সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) শীর্ষস্থানীয় নেতারা সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার শপথ নিয়েছেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রতীকী গণ-অনশন কর্মসূচির শেষ ভাগে এই শপথ নেওয়া হয়। এর মাস কয়েক আগে এই হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ কর্মসূচিতে প্রবীণ সাংবাদিক নির্মল সেন বলেছিলেন, মৃত্যুর আগে তিনি যেন ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ইউনিয়ন দেখে যেতে পারেন।
এ সময় বিএফইউজে ও ডিইউজের দুই অংশের সভাপতি, মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদকেরা পরস্পর একে অপরের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নেন।
এর আগে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাগর-রুনির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন সময় এসেছে সাংবাদিকদের পেশাগত সংগঠনগুলোর মধ্যেও বিভেদ ঘুচিয়ে ফেলার।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল আমিন গাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আলোচনা আরও আগে থেকেই চলছে। একে যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যেতে চাই। আশা করি, ঐক্য হবে। বিভেদে সাংবাদিকদের পেশাগত জীবন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে গত ১৮ ডিসেম্বরের এক সভায় আলোচনা হয়েছে। আজ সোমবার আবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মূল নীতি (ফর্মুলা) এবং একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হবে। আশা করা যায় ঐক্য হবে।
দৃশ্যত পেশাগত বিষয়ে মতদ্বৈততার কারণে ১৯৯২ সালে সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন দ্বিধাবিভক্ত হয়। পরে কার্যত তা সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয়ভিত্তিক বিভক্তিতে রূপ নেয়। দুটি অংশ চিহ্নিত হয় যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী ইউনিয়ন হিসেবে। এ কারণে পেশার প্রতি বিশ্বস্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাংবাদিক ইউনিয়নের কোনো অংশের কার্যক্রমেই সম্পৃক্ত নন। ঐক্যবদ্ধ হলে এই অবস্থার অবসান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ সময় বিএফইউজে ও ডিইউজের দুই অংশের সভাপতি, মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদকেরা পরস্পর একে অপরের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নেন।
এর আগে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাগর-রুনির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন সময় এসেছে সাংবাদিকদের পেশাগত সংগঠনগুলোর মধ্যেও বিভেদ ঘুচিয়ে ফেলার।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রুহুল আমিন গাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আলোচনা আরও আগে থেকেই চলছে। একে যৌক্তিক পরিণতিতে নিয়ে যেতে চাই। আশা করি, ঐক্য হবে। বিভেদে সাংবাদিকদের পেশাগত জীবন নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে গত ১৮ ডিসেম্বরের এক সভায় আলোচনা হয়েছে। আজ সোমবার আবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মূল নীতি (ফর্মুলা) এবং একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হবে। আশা করা যায় ঐক্য হবে।
দৃশ্যত পেশাগত বিষয়ে মতদ্বৈততার কারণে ১৯৯২ সালে সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন দ্বিধাবিভক্ত হয়। পরে কার্যত তা সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয়ভিত্তিক বিভক্তিতে রূপ নেয়। দুটি অংশ চিহ্নিত হয় যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী ইউনিয়ন হিসেবে। এ কারণে পেশার প্রতি বিশ্বস্ত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাংবাদিক ইউনিয়নের কোনো অংশের কার্যক্রমেই সম্পৃক্ত নন। ঐক্যবদ্ধ হলে এই অবস্থার অবসান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments