সম্পাদক সমীপে- সড়কটি সংস্কার করুন
বর্তমানে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজার সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। এমনকি বাগমারায় উৎপাদিত আলু দেশের গ-ি পেরিয়ে সুদূর ইউরোপের স্পেনে রফতানি হচ্ছে।
এ কারণে এই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্ব বহন করে। বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া-দামনাশ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ সড়কটির এখন বেহাল দশা। গোটা সড়কেই অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে পাথর ও খোয়া উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চললেও সংস্কার করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাগমারা উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের যোগাযোগের জন্য ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে সড়কটি পাকা করা হয়। এতে করে রাজশাহী ও নওগাঁ সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করা সহজ হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকটা অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল। তাই বাগমারার সার্বিক উন্নয়নে সড়কটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
১৭ অক্টোবর তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠে “ঢাবি শিক্ষকের কা- চতুর্থ স্ত্রীর মাথা ফাটাল প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রকৃত তথ্য এতদসঙ্গে তুলে ধরছি।
১. মারাত্মক আহত স্ত্রীকে চিকিৎসা দেয়া বেশি প্রয়োজন নাকি আপনারা কারা আমাকে খুুঁজছেন তাদের পেছনে দৌড়ানো? আর আমার মোবাইল তো আমার রুমেই পড়ে ছিল, যা আজ শাহবাগ থানায়।
২. নিজের স্ত্রীর সাথে বসে কথা বলাও আপনার ভাষায় আপত্তিকর!
৩. বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় অস্বীকার তো নয়ই বরং তার অগেই স্বইচ্ছায় ঐ সেমিস্টারের পরীক্ষার কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে চেযারম্যানকে চিঠি প্রদান করেছি। মুখরোচক কথা না বলে অপরের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে সংবাদ প্রচার কি সত্যিকার মানবিকতার পরিচয়? আশা করি আমার প্রতিবাদটি যথাস্থানে প্রকাশ করবেন।
ড. এটিএম ফখরুদ্দিন
অধ্যাপক, আরবী বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লোডশেডিংয়ের কবলে চট্টগ্রাম
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে চট্টগ্রাম। প্রতিদিন প্রায় দশবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হয়, যা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং নিন্দনীয়। দিনের বেলায় তো লোডশেডিং থাকছে, এমনকি রাতের বেলায় সবাইকে অন্ধকারে রাখা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকারে। চট্টগ্রামের প্রতি বিদ্যুত বিভাগের বিমাতাসুলভ আচরণ বলেই আমরা মনে করি। চট্টগ্রামে প্রচুর বিদ্যুত উৎপাদিত হলেও ওই বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ঢাকায় চলে যায় যা কোনভাবেই কাম্য নয়। চট্টগ্রামকে এভাবে অন্ধকারে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারবেন না। তাই অবিলম্বে চট্টগ্রামবাসীকে লোডশেডিং নামক দানব থেকে রক্ষা করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
রণজিত মজুমদার
আছদগঞ্জ, চট্টগ্রাম
বিপদ ঘনিয়ে আসছে
বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, গণতন্ত্র এসব একটি দিনের জন্য নয়। কিংবা একটি মাসের জন্য নির্ধারিত নয়। এসব বিরাজমান এবং চলমান। যে দেশের এক শ্রেণীর নরপশু এখনও স্বাধীনতাকে বিক্রি করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে নাজায়েজ আখ্যা দিচ্ছে এবং সংবিধানকে অপবিত্র ঘোষণা দিচ্ছে। পাশাপাশি জাতির পিতাকে অসম্মান করছে, সে দেশে সব সময় সর্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি এখন একটি নির্দিষ্ট দিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। পরের দিন আর তা নেই মনে রাখে না। ব্যস্ততার মাঝে সব হারিয়ে যায়। অবহেলা ও অনাদরে বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ বছর পরে আবার স্বাধীনতাবিরোধীরা সুনামির মতো ধেয়ে আসছে। তারা এখন সরকারকে আক্রমণ করার জন্য সুযোগ খুঁজছে। সরকার ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের পক্ষের জনগণ বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে। দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তাই সবার কর্তব্য দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মেছের আলী
মুন্সীগঞ্জ।
জলপাইয়ের গুণ
জলপাইয়ের রয়েছে অনেক গুণ। এর খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার, যা পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত ও কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। খাবার সঠিকভাবে হজমে আঁশ সাহায্য করে। জলপাই রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে অবদান রাখে। ফলে দেহের জন্য ক্ষতিকর লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। এতে হৃৎপি- সঠিকভাবে কাজ করে। জলপাই রাতকানা, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে। এর তেল যে কোন মানুষের জন্য ভীষণ উপকারী। জলপাইয়ের তেলে নেই কোন চর্বি বা কোলেস্টেরল। উপরন্তু রক্তের চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ কমায় জলপাই। নিয়ািমত জলপাই খেলে গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর, বাতের ব্যথার পরিমাণ কমে। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে। এই ফলে উচ্চ হারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট রয়েছে। এই উপাদানের জন্য দেহের রোগ জীবাণুগুলো মারা যায়। অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। তাই একটি করে জলপাই গাছের চারা রোপণ করুন।
জেড ইকবাল
তাহেরপুর, রাজশাহী।
বহু বিবাহ বন্ধে এগিয়ে আসুন
আমাদের দেশে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে কয়েকটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাপার ঘটে, তার মধ্যে বহু বিবাহ একটি। কোন কোন পরিবারে দেখা যায় ছেলের বয়স যাই হোক, একটি আয়ের ব্যবস্থা হলেই সে বিয়ে করে। বছর দু’য়েক যেতে না যেতেই প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে আবার অন্য একটি মেয়েকে ঘরে তোলে। এভাবে অনেক সময় এক ব্যক্তি জীবনে দশ-বারোটি পর্যন্ত বিয়ে করে। আর্থিক অনটন ও সামাজিক নিরাপত্তার কারণে অনেক অসহায় পিতা-মাতা একাধিকবার বিবাহিত লোকের হাতেই মেয়েকে তুলে দিতে বাধ্য হয়। পরিত্যক্ত স্ত্রী তার নিজের ইজ্জত বাঁচাতে এবং বিছুটা আর্থিক সহায়তার আশায় যে কোন বয়সের একজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অবশ্য এ বিয়েও যে সকল ক্ষেত্রে খুব স্থায়ী হয় তা নয়। বিবাহ হওয়ার পূর্বে পিতার ঘরে এবং বিবাহ হওয়ার পরে স্বামীর ঘরে প্রত্যেক মেয়ে বা মহিলাকে গতর খাটিয়ে আয় করে নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণে সাহায্য করতে হয়। এ বিবাহগুলো স্থানীয় কোন মৌলভী সাহেব পড়িয়ে দেন। এতে কোন কাবিন থাকে না এবং দেনমোহরের পরিমাণ থাকে একেবারেই অল্প অঙ্কের অর্থের। স্ত্রী তালাক দেয়ার সময় দেনমোহরের কথা কেউ তোলে না। যদি তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বলে তবে এ কথার কোন পাত্তাই দেয়া হয় না। তালাক হয়ে যায় এক কথাতেই। শুধু বলে দিলেই হলো ‘তোকে আমি রাখব না।’ ধর্মীয়ভাবে এ তালাক বৈধ হলো কিনা তা দেখবার কেউ থাকে না। দায়িত্বহীন এই মানসিকতার অবসান ঘটাতে না পারলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিবন্ধকতা কোনভাবেই দূর করা যাবে না। এ ব্যাপারে সরকার, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর এবং এনজিওদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কবিতা চাক্্লাদার
সহকারী অধ্যাপক (অর্থনীতি)
লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ, লক্ষ্মীপুর।
বাদীপক্ষের ভোগান্তি
বসতবাড়ি বাগান ও ভিটা এজমালিতে প্রাপ্যাংশের কম ভোগদখল করতে থাকায় ও শরিকদের সাথে ঝগড়া বিবাদের প্রতিকারের নিমিত্তে ১১/২/১৯৮৭ তারিখে বরিশালে ১ম সাব জজ আদালতে ৮ জন বাদী হয়ে ৬৭ শতাংশ ভূমির জন্য ২২ জনকে বিবাদী করে বণ্টকনামার মোকদ্দমা দায়ের করি, যার দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-৬১-৮৭ পরবর্তীতে মোকদ্দমা চলাকালীন ৬ জন বিবাদীর কিছু অংশ বিক্রি করে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের অবশিষ্টাংশ ভূমিতে ওয়ারিশগণ ও নবক্রেতাগণ বসবাস করছেন। উক্ত মোকদ্দমা চলাকালীন ৩ জন বাদী তাদের অংশ বিক্রি করে গেছেন। অবশিষ্ট ৫ জন বাদীর সকলেই কিছু অংশ বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে অবশিষ্টাংশে ভোগদখলে বিদ্যমান আছেন। ৪ জন বাদী মোকদ্দমাটি চালাতে অসম্মত বিধায় ১নং বাদী আমার প্রাপ্যাংশ ১৪ শতাংশ ০০৬৭ সহস্রাংশ ভূমির জন্য পৃথক ছাহাম চাহিয়া বরিশালের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ২০০/- কোর্ট ফি দিয়ে ১৮/৫/০৯ তারিখে উক্ত নং মোকদ্দমায় দরখাস্ত দাখিল করেছি। ৮/৮/১১ তারিখে উক্ত দরখাস্তের আংশিক শুনানি হয়। ২৩/৯/১১ তারিখে বিবাদী পক্ষের উকিল সাহেব টাইপ করা দরখাস্তের কপি স্পষ্ট বুঝেন না, তাই নতুন আরজি দিতে বলেন, একইসঙ্গে জজ সাহেবও নতুন আরজি দিতে বলেন। ১৩/১১/১১ তারিখে কম্পিউটারে কম্পোজ করা নতুন আরজি ৩০০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে দাখিল করেছি। তারপর ২২/১১/১২, ৫/০৩/১২, ১৭/৪/১২, ০৩/০৬/১২, ২/০৮/১২, ২/১০/১২, ২৭/১১/২০১২ তারিখ শুনানির তারিখ ছিল, শুনানি হয়নি। আগামী ২৫/০২/২০১৩ তারিখে চূড়ান্ত শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। মোকদ্দমাটি দায়ের করার পর ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমার বয়স ৭২ বছরের উর্ধে, আমি কয়েক বছর যাবত ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছি।
উপরোক্ত অবস্থায় উল্লেখিত মোকদ্দমার বিচারকার্য সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
হাসান আলী সিকদার
কাশীপুর-চহুতপুর, বরিশাল
জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
১৭ অক্টোবর তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠে “ঢাবি শিক্ষকের কা- চতুর্থ স্ত্রীর মাথা ফাটাল প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রকৃত তথ্য এতদসঙ্গে তুলে ধরছি।
১. মারাত্মক আহত স্ত্রীকে চিকিৎসা দেয়া বেশি প্রয়োজন নাকি আপনারা কারা আমাকে খুুঁজছেন তাদের পেছনে দৌড়ানো? আর আমার মোবাইল তো আমার রুমেই পড়ে ছিল, যা আজ শাহবাগ থানায়।
২. নিজের স্ত্রীর সাথে বসে কথা বলাও আপনার ভাষায় আপত্তিকর!
৩. বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় অস্বীকার তো নয়ই বরং তার অগেই স্বইচ্ছায় ঐ সেমিস্টারের পরীক্ষার কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে চেযারম্যানকে চিঠি প্রদান করেছি। মুখরোচক কথা না বলে অপরের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে সংবাদ প্রচার কি সত্যিকার মানবিকতার পরিচয়? আশা করি আমার প্রতিবাদটি যথাস্থানে প্রকাশ করবেন।
ড. এটিএম ফখরুদ্দিন
অধ্যাপক, আরবী বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লোডশেডিংয়ের কবলে চট্টগ্রাম
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে চট্টগ্রাম। প্রতিদিন প্রায় দশবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হয়, যা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং নিন্দনীয়। দিনের বেলায় তো লোডশেডিং থাকছে, এমনকি রাতের বেলায় সবাইকে অন্ধকারে রাখা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকারে। চট্টগ্রামের প্রতি বিদ্যুত বিভাগের বিমাতাসুলভ আচরণ বলেই আমরা মনে করি। চট্টগ্রামে প্রচুর বিদ্যুত উৎপাদিত হলেও ওই বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ঢাকায় চলে যায় যা কোনভাবেই কাম্য নয়। চট্টগ্রামকে এভাবে অন্ধকারে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারবেন না। তাই অবিলম্বে চট্টগ্রামবাসীকে লোডশেডিং নামক দানব থেকে রক্ষা করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
রণজিত মজুমদার
আছদগঞ্জ, চট্টগ্রাম
বিপদ ঘনিয়ে আসছে
বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, গণতন্ত্র এসব একটি দিনের জন্য নয়। কিংবা একটি মাসের জন্য নির্ধারিত নয়। এসব বিরাজমান এবং চলমান। যে দেশের এক শ্রেণীর নরপশু এখনও স্বাধীনতাকে বিক্রি করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে নাজায়েজ আখ্যা দিচ্ছে এবং সংবিধানকে অপবিত্র ঘোষণা দিচ্ছে। পাশাপাশি জাতির পিতাকে অসম্মান করছে, সে দেশে সব সময় সর্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি এখন একটি নির্দিষ্ট দিনে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। পরের দিন আর তা নেই মনে রাখে না। ব্যস্ততার মাঝে সব হারিয়ে যায়। অবহেলা ও অনাদরে বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। অথচ দীর্ঘ বছর পরে আবার স্বাধীনতাবিরোধীরা সুনামির মতো ধেয়ে আসছে। তারা এখন সরকারকে আক্রমণ করার জন্য সুযোগ খুঁজছে। সরকার ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের পক্ষের জনগণ বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে। দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তাই সবার কর্তব্য দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মেছের আলী
মুন্সীগঞ্জ।
জলপাইয়ের গুণ
জলপাইয়ের রয়েছে অনেক গুণ। এর খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার, যা পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদন্ত ও কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। খাবার সঠিকভাবে হজমে আঁশ সাহায্য করে। জলপাই রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে অবদান রাখে। ফলে দেহের জন্য ক্ষতিকর লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। এতে হৃৎপি- সঠিকভাবে কাজ করে। জলপাই রাতকানা, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে। এর তেল যে কোন মানুষের জন্য ভীষণ উপকারী। জলপাইয়ের তেলে নেই কোন চর্বি বা কোলেস্টেরল। উপরন্তু রক্তের চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ কমায় জলপাই। নিয়ািমত জলপাই খেলে গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর, বাতের ব্যথার পরিমাণ কমে। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে। এই ফলে উচ্চ হারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট রয়েছে। এই উপাদানের জন্য দেহের রোগ জীবাণুগুলো মারা যায়। অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। তাই একটি করে জলপাই গাছের চারা রোপণ করুন।
জেড ইকবাল
তাহেরপুর, রাজশাহী।
বহু বিবাহ বন্ধে এগিয়ে আসুন
আমাদের দেশে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে কয়েকটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাপার ঘটে, তার মধ্যে বহু বিবাহ একটি। কোন কোন পরিবারে দেখা যায় ছেলের বয়স যাই হোক, একটি আয়ের ব্যবস্থা হলেই সে বিয়ে করে। বছর দু’য়েক যেতে না যেতেই প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে আবার অন্য একটি মেয়েকে ঘরে তোলে। এভাবে অনেক সময় এক ব্যক্তি জীবনে দশ-বারোটি পর্যন্ত বিয়ে করে। আর্থিক অনটন ও সামাজিক নিরাপত্তার কারণে অনেক অসহায় পিতা-মাতা একাধিকবার বিবাহিত লোকের হাতেই মেয়েকে তুলে দিতে বাধ্য হয়। পরিত্যক্ত স্ত্রী তার নিজের ইজ্জত বাঁচাতে এবং বিছুটা আর্থিক সহায়তার আশায় যে কোন বয়সের একজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অবশ্য এ বিয়েও যে সকল ক্ষেত্রে খুব স্থায়ী হয় তা নয়। বিবাহ হওয়ার পূর্বে পিতার ঘরে এবং বিবাহ হওয়ার পরে স্বামীর ঘরে প্রত্যেক মেয়ে বা মহিলাকে গতর খাটিয়ে আয় করে নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণে সাহায্য করতে হয়। এ বিবাহগুলো স্থানীয় কোন মৌলভী সাহেব পড়িয়ে দেন। এতে কোন কাবিন থাকে না এবং দেনমোহরের পরিমাণ থাকে একেবারেই অল্প অঙ্কের অর্থের। স্ত্রী তালাক দেয়ার সময় দেনমোহরের কথা কেউ তোলে না। যদি তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বলে তবে এ কথার কোন পাত্তাই দেয়া হয় না। তালাক হয়ে যায় এক কথাতেই। শুধু বলে দিলেই হলো ‘তোকে আমি রাখব না।’ ধর্মীয়ভাবে এ তালাক বৈধ হলো কিনা তা দেখবার কেউ থাকে না। দায়িত্বহীন এই মানসিকতার অবসান ঘটাতে না পারলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিবন্ধকতা কোনভাবেই দূর করা যাবে না। এ ব্যাপারে সরকার, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর এবং এনজিওদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কবিতা চাক্্লাদার
সহকারী অধ্যাপক (অর্থনীতি)
লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ, লক্ষ্মীপুর।
বাদীপক্ষের ভোগান্তি
বসতবাড়ি বাগান ও ভিটা এজমালিতে প্রাপ্যাংশের কম ভোগদখল করতে থাকায় ও শরিকদের সাথে ঝগড়া বিবাদের প্রতিকারের নিমিত্তে ১১/২/১৯৮৭ তারিখে বরিশালে ১ম সাব জজ আদালতে ৮ জন বাদী হয়ে ৬৭ শতাংশ ভূমির জন্য ২২ জনকে বিবাদী করে বণ্টকনামার মোকদ্দমা দায়ের করি, যার দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-৬১-৮৭ পরবর্তীতে মোকদ্দমা চলাকালীন ৬ জন বিবাদীর কিছু অংশ বিক্রি করে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের অবশিষ্টাংশ ভূমিতে ওয়ারিশগণ ও নবক্রেতাগণ বসবাস করছেন। উক্ত মোকদ্দমা চলাকালীন ৩ জন বাদী তাদের অংশ বিক্রি করে গেছেন। অবশিষ্ট ৫ জন বাদীর সকলেই কিছু অংশ বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে অবশিষ্টাংশে ভোগদখলে বিদ্যমান আছেন। ৪ জন বাদী মোকদ্দমাটি চালাতে অসম্মত বিধায় ১নং বাদী আমার প্রাপ্যাংশ ১৪ শতাংশ ০০৬৭ সহস্রাংশ ভূমির জন্য পৃথক ছাহাম চাহিয়া বরিশালের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ২০০/- কোর্ট ফি দিয়ে ১৮/৫/০৯ তারিখে উক্ত নং মোকদ্দমায় দরখাস্ত দাখিল করেছি। ৮/৮/১১ তারিখে উক্ত দরখাস্তের আংশিক শুনানি হয়। ২৩/৯/১১ তারিখে বিবাদী পক্ষের উকিল সাহেব টাইপ করা দরখাস্তের কপি স্পষ্ট বুঝেন না, তাই নতুন আরজি দিতে বলেন, একইসঙ্গে জজ সাহেবও নতুন আরজি দিতে বলেন। ১৩/১১/১১ তারিখে কম্পিউটারে কম্পোজ করা নতুন আরজি ৩০০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে দাখিল করেছি। তারপর ২২/১১/১২, ৫/০৩/১২, ১৭/৪/১২, ০৩/০৬/১২, ২/০৮/১২, ২/১০/১২, ২৭/১১/২০১২ তারিখ শুনানির তারিখ ছিল, শুনানি হয়নি। আগামী ২৫/০২/২০১৩ তারিখে চূড়ান্ত শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। মোকদ্দমাটি দায়ের করার পর ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমার বয়স ৭২ বছরের উর্ধে, আমি কয়েক বছর যাবত ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছি।
উপরোক্ত অবস্থায় উল্লেখিত মোকদ্দমার বিচারকার্য সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
হাসান আলী সিকদার
কাশীপুর-চহুতপুর, বরিশাল
No comments