পদ্মা সেতু প্রকল্পের সব নথি তলব করেছে তদন্ত কমিটি প্রমাণ মিললেই আবুল হাসান ও আবুল হোসেনের বিচার করা হবে ॥ দুদক চেয়ারম্যান
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলার তদন্তে প্রকল্পের সকল নথিপত্র তলব করেছে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি রবিবার সেতু বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছে।
এদিকে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান আবারও বলেছেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে সাত আসামির সঙ্গে সন্দেহভাজন আবুল হাসান চৌধুরী ও আবুল হোসেনেরও বিচার করা হবে। কারণ কেউই আইনের উর্ধে নয়।
অপরদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে দেশী চার আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রাখলেও রবিবার রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি সংস্থাটি।
পদ্মা সেতুর পরামর্শক যাচাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী এবং তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে রাখা হয় সন্দেভাজন তালিকায়। রাজধানীর বনানী থানায় দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান আবদুল্লাহ আল জাহিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ৯ জনের নাম থাকলেও দু’জনকে সন্দেহভাজন তালিকায় রেখে সরকারী ৩ কর্মকর্তা এবং কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের ৪ জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলা দায়েরের পরের দিন মঙ্গলবার গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। দুদক পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামানকে তদন্ত কমিটির সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই কমিটিতে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সংস্থাটির সিনিয়র উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ-আল জাহিদকে। এছাড়া অপর তিন সদস্য হচ্ছেন সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবদীন শিবলী, উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও মির্জা জাহিদুল আলম। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটিকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় দেয়ার বিধান রয়েছে। তদন্ত কমিটি মামলার আলামত হিসেবে সেতু ভবন কর্তৃপক্ষের কাছে পদ্মা সেতুর পরামর্শক যাচাই সংক্রান্ত সকল নথিপত্র তলব করেছে। এ লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠি প্রেরণ করা হয়। শীঘ্রই তালিকাসহ নথিপত্র দুদকে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া তিন বিদেশী আসামি ছাড়া চার দেশী আসামিকে ধরতে মামলা দায়েরের রাত থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে দিন-রাতের অভিযানে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। ইতোমধ্যে মামলার এক ও দুই নম্বর আসামি আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। গ্রেফতার না করার কারণ হিসেবে দুদক কর্মকর্তা উইং কমান্ডার মোঃ তাহিদুল ইসলাম বলেছেন, গ্রেফতারের বিষয়ে তাদের তরফ থেকে আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু আসামিরা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। আসামিদের মোবাইল ফোনের যোগাযোগ ট্র্যাকিং করা হচ্ছে। আসামিদের চিহ্নিত স্থানে হানা দেয়া হচ্ছে। আসামিদের ধরতে দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া মামলার ১ নম্বর আসামি মোশাররফের ধানম-ির ৩ নম্বর সড়কের বাসাটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্য আসামিদের বাসাও নজরদারিতে রয়েছে। তাদের ধরতে দুদকের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিক নির্দেশনা দেয়া আছে। যেকোন মুহূর্তে তারা গ্রেফতার হতে পারে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামিদের নজরদারিতে রাখার বিষয়টি কয়েকদিন আগে জানান কমিশনার মোঃ বদিউজ্জামান।
এদিকে রবিবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান পদ্মা সেতু সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসানের নাম এসেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের আসামি করা হয়নি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সাত আসামির সঙ্গে তাঁদেরও বিচার হবে। কেউই আইনের উর্ধে নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কখনও তামাদি হয় না। তবে দুর্নীতি যখন ঘটে, তা প্রমাণ হয় অনেক পরে। বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা ও দীর্ঘসূত্রতার জন্য বিচার অনেক সময় বিলম্বিত হয়। কিন্তু রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, দুর্নীতি বেড়ে গেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির কারণে জীবনমানের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ালে দুর্নীতি কমবে। আর দুর্নীতি কমলে জাতীয় আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে। ফলে চাকরিজীবীদের বেতনও বাড়বে। শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।
গোলাম রহমান আরও বলেন, হলমার্ক, ডেসটিনি, টেলিফোন ও পাওয়ার সেক্টরের দুর্নীতি নিয়ে দুদক সফলভাবে কাজ করেছে। অন্যান্য বিষয়েও কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলেই দুর্নীতি হয়। তাই সরবরাহ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা যদি দুর্নীতি করেন, তাহলে প্রথমেই জনতার আদালতে এবং পরে জাগতিক ও আখেরাতের আদালতে তাঁদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
অপরদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে দেশী চার আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রাখলেও রবিবার রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি সংস্থাটি।
পদ্মা সেতুর পরামর্শক যাচাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী এবং তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে রাখা হয় সন্দেভাজন তালিকায়। রাজধানীর বনানী থানায় দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান আবদুল্লাহ আল জাহিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ৯ জনের নাম থাকলেও দু’জনকে সন্দেহভাজন তালিকায় রেখে সরকারী ৩ কর্মকর্তা এবং কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের ৪ জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলা দায়েরের পরের দিন মঙ্গলবার গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। দুদক পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামানকে তদন্ত কমিটির সমন্বয়কারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই কমিটিতে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সংস্থাটির সিনিয়র উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ-আল জাহিদকে। এছাড়া অপর তিন সদস্য হচ্ছেন সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবদীন শিবলী, উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও মির্জা জাহিদুল আলম। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটিকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ১৫ দিন সময় দেয়ার বিধান রয়েছে। তদন্ত কমিটি মামলার আলামত হিসেবে সেতু ভবন কর্তৃপক্ষের কাছে পদ্মা সেতুর পরামর্শক যাচাই সংক্রান্ত সকল নথিপত্র তলব করেছে। এ লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠি প্রেরণ করা হয়। শীঘ্রই তালিকাসহ নথিপত্র দুদকে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া তিন বিদেশী আসামি ছাড়া চার দেশী আসামিকে ধরতে মামলা দায়েরের রাত থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে দিন-রাতের অভিযানে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। ইতোমধ্যে মামলার এক ও দুই নম্বর আসামি আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। গ্রেফতার না করার কারণ হিসেবে দুদক কর্মকর্তা উইং কমান্ডার মোঃ তাহিদুল ইসলাম বলেছেন, গ্রেফতারের বিষয়ে তাদের তরফ থেকে আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু আসামিরা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। আসামিদের মোবাইল ফোনের যোগাযোগ ট্র্যাকিং করা হচ্ছে। আসামিদের চিহ্নিত স্থানে হানা দেয়া হচ্ছে। আসামিদের ধরতে দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া মামলার ১ নম্বর আসামি মোশাররফের ধানম-ির ৩ নম্বর সড়কের বাসাটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্য আসামিদের বাসাও নজরদারিতে রয়েছে। তাদের ধরতে দুদকের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিক নির্দেশনা দেয়া আছে। যেকোন মুহূর্তে তারা গ্রেফতার হতে পারে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামিদের নজরদারিতে রাখার বিষয়টি কয়েকদিন আগে জানান কমিশনার মোঃ বদিউজ্জামান।
এদিকে রবিবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান পদ্মা সেতু সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতিতে সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসানের নাম এসেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের আসামি করা হয়নি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সাত আসামির সঙ্গে তাঁদেরও বিচার হবে। কেউই আইনের উর্ধে নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কখনও তামাদি হয় না। তবে দুর্নীতি যখন ঘটে, তা প্রমাণ হয় অনেক পরে। বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা ও দীর্ঘসূত্রতার জন্য বিচার অনেক সময় বিলম্বিত হয়। কিন্তু রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, দুর্নীতি বেড়ে গেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির কারণে জীবনমানের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ালে দুর্নীতি কমবে। আর দুর্নীতি কমলে জাতীয় আয় ও কর্মসংস্থান বাড়বে। ফলে চাকরিজীবীদের বেতনও বাড়বে। শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।
গোলাম রহমান আরও বলেন, হলমার্ক, ডেসটিনি, টেলিফোন ও পাওয়ার সেক্টরের দুর্নীতি নিয়ে দুদক সফলভাবে কাজ করেছে। অন্যান্য বিষয়েও কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলেই দুর্নীতি হয়। তাই সরবরাহ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা যদি দুর্নীতি করেন, তাহলে প্রথমেই জনতার আদালতে এবং পরে জাগতিক ও আখেরাতের আদালতে তাঁদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
No comments