ফেসবুক কর্নার- গ্রন্থনা: পাভেল মহিতুল আলম
facebook.com/Rosh.Alo ফেবু-মত হরতাল, অবরোধ, ভাঙচুর—এসব আর কতকাল? এখন সময় নতুন কিছু করার। এসব না করে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এমন সব ক্রিয়েটিভ কর্মসূচি প্রদান করা, যাতে থাকবে নতুনত্ব। মানুষ যা দেখে ভীত নয়, আনন্দিত হবে।
আবার একই সঙ্গে দাবিও আদায় হবে। কী হতে পারে সেই বিকল্প কর্মসূচি? রস+আলোর ফেসবুক পেজে তা-ই জানিয়েছেন পাঠকেরা—
এস কে ফাহাদ আলম: বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে কাতুকুতু কর্মসূচি দিতে পারে। সন্ধ্যায় সরকারি দল বলবে, জনগণ কাতুকুতু প্রত্যাখান করছে, তারা কাতুকুতু খেয়ে মোটেও হাসেনি, বিরোধীদল বলবে, জনগণ কাতুকুতু খেয়ে হেসেছে। এতেই প্রমাণিত হয়, জনগণ এই সরকারকে আর চায় না।
সিরাজুস সালেকিন: মিসড কল দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে। এতে বিরক্ত হয়ে সরকারি দল বিরোধী দলের দাবি-দাওয়া মানতে পারে।
ফাহিম আজিজ: একটা স্টেডিয়াম বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। প্রাচীনকালে রোমে যেমন ছিল গ্লাডিয়েটরসদের মারামারির জন্য। সেই স্টেডিয়ামের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালিত হবে।
শাইখুল ইসলাম: ডিজিটাল কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে। যেমন: হরতাল ডট কম, অবরোধ ডট ওআরজি, ভাঙচুর ডট নেট ইত্যাদি, যা হবে অনলাইনে।
কামরুদ্দিন নিশান: ক্যানভাসারদের মতো প্রথমে বিভিন্ন রকম খেলা দেখিয়ে লোক জড়ো করে পরে বিরোধীদের দাবি-দাওয়ার বিষয় আসবে। এতে লোকজন মজাও পাবে এবং তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানতে পারবে।
ফারুক রহমান: দুই দলের মধ্যে গানের কলি মেলানোর আয়োজন করা যেতে পারে। যে দল কলি মেলাতে ব্যর্থ হবে, সে দল অপর দলের একটি দাবি মেনে নেবে।
ছবি কমেন্ট
খাটে বসা ও শোয়া নিষেধ!! এ কেমন নিষেধাজ্ঞা? সারা জীবন দেখে আসছি খাটে শোয়া হয়, বসাও হয়। খাট তো আর দাঁড়িয়ে থাকার জন্য নয়। তাহলে খাট বিক্রেতা এ কথা লিখে কী বোঝাতে চেয়েছেন? খাটে যদি শোয়া আর বসা নিষেধই হয়, তাহলে খাট কিনে আমাদের কী করা উচিত? রস+আলোর ফেসবুক পেজে তা-ই জানিয়েছেন পাঠকেরা—
রাকিব হাসান: খাট কিনে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা উচিত।
মুইজ আসিফ: খাটে ফুটবল খেলার আয়োজন করা যাইতে পারে।
অনিক আহমেদ: কয়েকজন মিলে ডিগবাজি খাওয়া যেতে পারে, মাথা বিছানায় আর পা দেয়ালে রেখে উল্টো হয়ে থাকার চেষ্টা করা যেতে পারে! (ছোটবেলায় এগুলাই তো করছি, এগুলার জন্য খাটই ছিল সবচেয়ে নিরাপদ!)
ই এইচ মুন্না: রাজনীতিবিদদের ভাষণের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মৌসুমি খান: দেখেই মনে হচ্ছে বড়লোকি খাট। এই খাটের জাজিম আর বালিশ টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য, বসা বা শোয়ার জন্য নয়।
ফাইরুজ মালিহা: বাসার গেস্টরুমে ঠিক একই লেখাসহ রেখে দেওয়া যেতে পারে। অতিথিরা তাহলে বুঝে নেবে, বেড়াতে এসে তাদের থেকে যাওয়াটা আমাদের পছন্দ নয়!
আল মামুন: এই খাটকে আলাদিনের গালিচা বানিয়ে উড়াল দেওয়া শেখানো হচ্ছে। তাই সবাই এখানেশ শুতে-বসতে পারে না।
লিয়া ফেরদৌস: এটা ঘোড়ার জন্য তৈরি খাট। ঘোড়া এই খাটে শোবেও না, বসবেও না। দাঁড়িয়ে ঘুমাবে।
কয়েস মাহমুদ: বেডরুমের নিরাপত্তা দেওয়াই সম্ভব নয়; আর বেডের নিরাপত্তা! কখন ভেঙে যায়!
ইরফাত জেবীন: সুন্দর সুন্দর বেডশিট, মানে বিছানার চাদর বিছিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে, কোনটি বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।
তোফাতুন জান্নাত: ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই খাট তৈরি করা হয়েছে। জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে আর শুয়ে-বসে থাকতে হবে না। সবাই মিলে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
আরিফ আদনান: এটা ব্যাচলরদের জন্য তৈরি। বাসায় মুখ ফুটে বিয়ের কথা বলতে না পারলে এই সাইনবোর্ড দেখে যদি মুরব্বিদের টনক নড়ে।
পিয়া ভদ্র: বাঙালি শুয়ে-বসে দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছে। তাই এই খাটের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে অলসতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
তানভির জোবায়ের: ১. ‘খাটোত্তোলন’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায় এবং বিজয়ীকে ‘শ্রেষ্ঠ খাটাশ’ উপাধিতে ভূষিত করে দেশসেরা শীতল পাটি দিয়ে পুরস্কৃত করা যায়। ২. খাটের পায়ার উচ্চতা বাড়িয়ে খাওয়ার টেবিল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ৩. খাটের পায়ায় চাকা লাগিয়ে খেলার মাঠে পানি-বিরতিতে পানীয় আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নবনিতা হূদি: নির্ঘাত এই খাট শুধু নাচানাচি আর লাফালাফি করার জন্য। ইশ্! এই খাট পেলে আমি সারা দিন শুধু এটার ওপর উঠে লাফালাফি করতাম। হেদায়েত সেরভ: খাটে নয়, বরং বিছানাতে বসা বা শোয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আপনি খাট কিনে তোশক-জাজিম-বালিশ দিয়ে বিছানায় পরিণত করুন এবং তার ওপর বসুন বা ঘুমান।
তনুজা বড়ুয়া: শোয়া-বসা নিষেধ। তবে ছোঁয়া তো নিষেধ না। ছোঁয়াছুঁয়ি চলুক।
তানজিনা আফরিন: খাটের কাঠগুলো খুলে সেগুলোয় নিজস্ব উচ্চমার্গীয় চিত্রকর্ম খোদাই করে দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা যেতে পারে। আর পায়াগুলো ভালোমতো পলিশ করে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ আর শিবিরের কর্মীদের ঠোকাঠুকির জন্য সুলভ মূল্যে সরবরাহ করা যেতে পারে। এভাবে দেশের শিল্পকর্ম ও অর্থনীতি দুটো খাতই উন্নয়নের মুখ দেখবে।
লিখুন ফেসবুকে, ছাপা হবে ‘রস+আলো’তে
পাঠক, এখন থেকে ফেসবুকে রস+আলোর অফিশিয়াল পেজে মেসেজের মাধ্যমে [www.facebook.com/Rosh.Alo] আইডিয়া, মজার স্ট্যাটাস,
ছবি, কার্টুন, প্যারোডি, গল্প ইত্যাদি পাঠাতে পারেন।
এস কে ফাহাদ আলম: বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে কাতুকুতু কর্মসূচি দিতে পারে। সন্ধ্যায় সরকারি দল বলবে, জনগণ কাতুকুতু প্রত্যাখান করছে, তারা কাতুকুতু খেয়ে মোটেও হাসেনি, বিরোধীদল বলবে, জনগণ কাতুকুতু খেয়ে হেসেছে। এতেই প্রমাণিত হয়, জনগণ এই সরকারকে আর চায় না।
সিরাজুস সালেকিন: মিসড কল দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে। এতে বিরক্ত হয়ে সরকারি দল বিরোধী দলের দাবি-দাওয়া মানতে পারে।
ফাহিম আজিজ: একটা স্টেডিয়াম বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। প্রাচীনকালে রোমে যেমন ছিল গ্লাডিয়েটরসদের মারামারির জন্য। সেই স্টেডিয়ামের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালিত হবে।
শাইখুল ইসলাম: ডিজিটাল কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে। যেমন: হরতাল ডট কম, অবরোধ ডট ওআরজি, ভাঙচুর ডট নেট ইত্যাদি, যা হবে অনলাইনে।
কামরুদ্দিন নিশান: ক্যানভাসারদের মতো প্রথমে বিভিন্ন রকম খেলা দেখিয়ে লোক জড়ো করে পরে বিরোধীদের দাবি-দাওয়ার বিষয় আসবে। এতে লোকজন মজাও পাবে এবং তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানতে পারবে।
ফারুক রহমান: দুই দলের মধ্যে গানের কলি মেলানোর আয়োজন করা যেতে পারে। যে দল কলি মেলাতে ব্যর্থ হবে, সে দল অপর দলের একটি দাবি মেনে নেবে।
ছবি কমেন্ট
খাটে বসা ও শোয়া নিষেধ!! এ কেমন নিষেধাজ্ঞা? সারা জীবন দেখে আসছি খাটে শোয়া হয়, বসাও হয়। খাট তো আর দাঁড়িয়ে থাকার জন্য নয়। তাহলে খাট বিক্রেতা এ কথা লিখে কী বোঝাতে চেয়েছেন? খাটে যদি শোয়া আর বসা নিষেধই হয়, তাহলে খাট কিনে আমাদের কী করা উচিত? রস+আলোর ফেসবুক পেজে তা-ই জানিয়েছেন পাঠকেরা—
রাকিব হাসান: খাট কিনে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা উচিত।
মুইজ আসিফ: খাটে ফুটবল খেলার আয়োজন করা যাইতে পারে।
অনিক আহমেদ: কয়েকজন মিলে ডিগবাজি খাওয়া যেতে পারে, মাথা বিছানায় আর পা দেয়ালে রেখে উল্টো হয়ে থাকার চেষ্টা করা যেতে পারে! (ছোটবেলায় এগুলাই তো করছি, এগুলার জন্য খাটই ছিল সবচেয়ে নিরাপদ!)
ই এইচ মুন্না: রাজনীতিবিদদের ভাষণের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মৌসুমি খান: দেখেই মনে হচ্ছে বড়লোকি খাট। এই খাটের জাজিম আর বালিশ টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য, বসা বা শোয়ার জন্য নয়।
ফাইরুজ মালিহা: বাসার গেস্টরুমে ঠিক একই লেখাসহ রেখে দেওয়া যেতে পারে। অতিথিরা তাহলে বুঝে নেবে, বেড়াতে এসে তাদের থেকে যাওয়াটা আমাদের পছন্দ নয়!
আল মামুন: এই খাটকে আলাদিনের গালিচা বানিয়ে উড়াল দেওয়া শেখানো হচ্ছে। তাই সবাই এখানেশ শুতে-বসতে পারে না।
লিয়া ফেরদৌস: এটা ঘোড়ার জন্য তৈরি খাট। ঘোড়া এই খাটে শোবেও না, বসবেও না। দাঁড়িয়ে ঘুমাবে।
কয়েস মাহমুদ: বেডরুমের নিরাপত্তা দেওয়াই সম্ভব নয়; আর বেডের নিরাপত্তা! কখন ভেঙে যায়!
ইরফাত জেবীন: সুন্দর সুন্দর বেডশিট, মানে বিছানার চাদর বিছিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে, কোনটি বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।
তোফাতুন জান্নাত: ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই খাট তৈরি করা হয়েছে। জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে আর শুয়ে-বসে থাকতে হবে না। সবাই মিলে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
আরিফ আদনান: এটা ব্যাচলরদের জন্য তৈরি। বাসায় মুখ ফুটে বিয়ের কথা বলতে না পারলে এই সাইনবোর্ড দেখে যদি মুরব্বিদের টনক নড়ে।
পিয়া ভদ্র: বাঙালি শুয়ে-বসে দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছে। তাই এই খাটের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে অলসতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
তানভির জোবায়ের: ১. ‘খাটোত্তোলন’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায় এবং বিজয়ীকে ‘শ্রেষ্ঠ খাটাশ’ উপাধিতে ভূষিত করে দেশসেরা শীতল পাটি দিয়ে পুরস্কৃত করা যায়। ২. খাটের পায়ার উচ্চতা বাড়িয়ে খাওয়ার টেবিল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ৩. খাটের পায়ায় চাকা লাগিয়ে খেলার মাঠে পানি-বিরতিতে পানীয় আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নবনিতা হূদি: নির্ঘাত এই খাট শুধু নাচানাচি আর লাফালাফি করার জন্য। ইশ্! এই খাট পেলে আমি সারা দিন শুধু এটার ওপর উঠে লাফালাফি করতাম। হেদায়েত সেরভ: খাটে নয়, বরং বিছানাতে বসা বা শোয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আপনি খাট কিনে তোশক-জাজিম-বালিশ দিয়ে বিছানায় পরিণত করুন এবং তার ওপর বসুন বা ঘুমান।
তনুজা বড়ুয়া: শোয়া-বসা নিষেধ। তবে ছোঁয়া তো নিষেধ না। ছোঁয়াছুঁয়ি চলুক।
তানজিনা আফরিন: খাটের কাঠগুলো খুলে সেগুলোয় নিজস্ব উচ্চমার্গীয় চিত্রকর্ম খোদাই করে দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা যেতে পারে। আর পায়াগুলো ভালোমতো পলিশ করে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ আর শিবিরের কর্মীদের ঠোকাঠুকির জন্য সুলভ মূল্যে সরবরাহ করা যেতে পারে। এভাবে দেশের শিল্পকর্ম ও অর্থনীতি দুটো খাতই উন্নয়নের মুখ দেখবে।
লিখুন ফেসবুকে, ছাপা হবে ‘রস+আলো’তে
পাঠক, এখন থেকে ফেসবুকে রস+আলোর অফিশিয়াল পেজে মেসেজের মাধ্যমে [www.facebook.com/Rosh.Alo] আইডিয়া, মজার স্ট্যাটাস,
ছবি, কার্টুন, প্যারোডি, গল্প ইত্যাদি পাঠাতে পারেন।
No comments