তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিন-সিবিএর খপ্পরে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মতান্ত্রিক প্রশাসনের বাইরে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে এক সমান্তরাল প্রশাসন গড়ে তুলেছে সেখানকার সিবিএর (কেন্দ্রীয় বার্গেনিং এজেন্সি) নেতারা। সম্প্রতি তাঁদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে লাঞ্ছিত ও প্রহূত হয়েছেন ব্যাংকের একজন উপপরিচালক।
এ রকমভাবে বিভিন্ন সময়ে সরকার-সমর্থক সিবিএ নেতাদের হাতে প্রহূত হয়েছেন আরও সাতজন কর্মকর্তা। ব্যাংকের অনেক কার্যক্রম ও কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি অনেকটা তাঁদের মর্জির ওপরই নির্ভর করে। এ রকম হালচাল নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীভাবে কাজ চালিয়ে যাবে, সেই প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি করাই যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং-ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান। এর পরিচালনবিধিও আর দশটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। কিন্তু গত রোববারের প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকটি একটি অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়েছে। কর্মকর্তাদেরকে প্রহার, এমনকি একজনকে মৃত্যুর শিকার করার ঘটনা সিবিএ নামের দুর্বৃত্তদের চরম দৌরাত্ম্যের একটি নমুনামাত্র। টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ বদলি, প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার, ক্যানটিন থেকে মাসোহারা আদায়, ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার ঋণ থেকে কমিশন আদায়, বখরাবাজিসহ বহুবিধ উপায়ে তাঁরা অন্যায়-অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি দলের সমর্থক এবং সেই পরিচয় ব্যবহার করে হীন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থতায় তাঁরা বেপরোয়া। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন সিবিএ নেতার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচার বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
স্পষ্টতই সিবিএ নেতাদের এই সমান্তরাল প্রশাসন চালানো কেবল অনৈতিক নয়, বেআইনিও। এসব চলতে দেওয়া মানে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও বিপন্ন করে তোলা। এসব দুর্বৃত্তকে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরেরই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সিবিএ হলো কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দরকষাকষির সংস্থা। কিন্তু কার্যত তা পরিণত হয়েছে একশ্রেণীর কর্মচারীর ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ারে। তাঁদের অন্যায় ও অপকর্মের প্রতিবাদের শাস্তি পীড়ন। আর একদিকে এই বেপরোয়া সিবিএ, অন্যদিকে এদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ—এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনিয়ম ও লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের দিক থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। একসময় সিবিএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের সুখ-দুঃখের ন্যায্য মীমাংসা করার জন্য। কিন্তু এখন সিবিএই অনেক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উৎস হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তদন্ত ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সিবিএর কর্মকাণ্ডকে কেবল কয়েকটি কল্যাণমুখী বিষয়ের সঙ্গে জড়িত রেখে প্রশাসনের বাকি সব ক্ষেত্রকে এদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্ত করা এখন সময়ের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং-ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান। এর পরিচালনবিধিও আর দশটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। কিন্তু গত রোববারের প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকটি একটি অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়েছে। কর্মকর্তাদেরকে প্রহার, এমনকি একজনকে মৃত্যুর শিকার করার ঘটনা সিবিএ নামের দুর্বৃত্তদের চরম দৌরাত্ম্যের একটি নমুনামাত্র। টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ বদলি, প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার, ক্যানটিন থেকে মাসোহারা আদায়, ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার ঋণ থেকে কমিশন আদায়, বখরাবাজিসহ বহুবিধ উপায়ে তাঁরা অন্যায়-অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি দলের সমর্থক এবং সেই পরিচয় ব্যবহার করে হীন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থতায় তাঁরা বেপরোয়া। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন সিবিএ নেতার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচার বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
স্পষ্টতই সিবিএ নেতাদের এই সমান্তরাল প্রশাসন চালানো কেবল অনৈতিক নয়, বেআইনিও। এসব চলতে দেওয়া মানে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও বিপন্ন করে তোলা। এসব দুর্বৃত্তকে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরেরই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সিবিএ হলো কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দরকষাকষির সংস্থা। কিন্তু কার্যত তা পরিণত হয়েছে একশ্রেণীর কর্মচারীর ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ারে। তাঁদের অন্যায় ও অপকর্মের প্রতিবাদের শাস্তি পীড়ন। আর একদিকে এই বেপরোয়া সিবিএ, অন্যদিকে এদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ—এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকে অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনিয়ম ও লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের দিক থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। একসময় সিবিএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের সুখ-দুঃখের ন্যায্য মীমাংসা করার জন্য। কিন্তু এখন সিবিএই অনেক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উৎস হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তদন্ত ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সিবিএর কর্মকাণ্ডকে কেবল কয়েকটি কল্যাণমুখী বিষয়ের সঙ্গে জড়িত রেখে প্রশাসনের বাকি সব ক্ষেত্রকে এদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্ত করা এখন সময়ের প্রয়োজন।
No comments