নেতা-কর্মীদের সংযত আচরণই কাম্য-খাগড়াছড়িতে হামলা
সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ একদিকে যেমন জনপ্রতিনিধি, তেমনি রাজনৈতিক দিক দিয়েও পদটির গুরুত্ব রয়েছে। তাঁর চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সেই দায়িত্ব সরকার সঠিকভাবে পালন করলে খাগড়াছড়িতে তাঁর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটত না।
কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, তাঁর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে গেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
এই ঘটনার দুটি দিক আছে—একটি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত, অন্যটি রাজনৈতিক। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ খাগড়াছড়িতে গেছেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে এই মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেদিন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো মানববন্ধন ডেকেছিল মামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে। এই বিষয় দুটি স্থানীয় প্রশাসনের অজানা থাকার কথা নয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উচিত ছিল কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, বিষয়টি যেকোনোভাবে নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে। এবং সেদিন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচি ছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যদিও দাবি করেছেন যে ঘটনাটি জেলা বিএনপির অন্তঃকোন্দলের কারণে ঘটেছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, কিন্তু বাস্তবে তা মেনে নেওয়া কঠিন। বিরোধী দলের চিফ হুইপের বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই বিষয়টি আইনগতভাবে দেখাই উচিত ছিল। কিন্তু সেদিন কর্মসূচি দেওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় যে সরকারি দল বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেও মোকাবিলার চেষ্টা করেছে। তাতেও সমস্যা ছিল না, যদি বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের গাড়িবহরে হামলা না হতো। যে দল ক্ষমতায় থাকবে, তারা বিরোধী দলের ওপর চড়াও হবে—এটাই যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে এই সংস্কৃতির কোনো মিল না থাকলেও বাংলাদেশে তা-ই ঘটছে, ঘটে চলেছে। পরিবর্তনের যে আশা, তার গুড়ে আমরা কেবল বালিই দেখতে পাচ্ছি।
বিরোধী দলের ওপর হামলা বা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারি দল যে আসলে কখনো লাভবান হয় না, নেতা-কর্মীদের তা অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু সরকারে গেলে বিষয়টি ভুলে যাওয়াই যেন স্বাভাবিক। এর পরও সরকারি দলকে বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি মনে করছি।
এই ঘটনার দুটি দিক আছে—একটি আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত, অন্যটি রাজনৈতিক। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ খাগড়াছড়িতে গেছেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে এই মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেদিন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো মানববন্ধন ডেকেছিল মামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে। এই বিষয় দুটি স্থানীয় প্রশাসনের অজানা থাকার কথা নয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উচিত ছিল কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, বিষয়টি যেকোনোভাবে নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে। এবং সেদিন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচি ছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যদিও দাবি করেছেন যে ঘটনাটি জেলা বিএনপির অন্তঃকোন্দলের কারণে ঘটেছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, কিন্তু বাস্তবে তা মেনে নেওয়া কঠিন। বিরোধী দলের চিফ হুইপের বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই বিষয়টি আইনগতভাবে দেখাই উচিত ছিল। কিন্তু সেদিন কর্মসূচি দেওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় যে সরকারি দল বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেও মোকাবিলার চেষ্টা করেছে। তাতেও সমস্যা ছিল না, যদি বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের গাড়িবহরে হামলা না হতো। যে দল ক্ষমতায় থাকবে, তারা বিরোধী দলের ওপর চড়াও হবে—এটাই যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে এই সংস্কৃতির কোনো মিল না থাকলেও বাংলাদেশে তা-ই ঘটছে, ঘটে চলেছে। পরিবর্তনের যে আশা, তার গুড়ে আমরা কেবল বালিই দেখতে পাচ্ছি।
বিরোধী দলের ওপর হামলা বা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারি দল যে আসলে কখনো লাভবান হয় না, নেতা-কর্মীদের তা অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু সরকারে গেলে বিষয়টি ভুলে যাওয়াই যেন স্বাভাবিক। এর পরও সরকারি দলকে বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি মনে করছি।
No comments