দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়-সংঘাতময় রাজনীতি
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এক অনুষ্ঠানে দেশের বিদ্যমান সংঘাতময় রাজনীতিতে উদ্বেগ প্রকাশ ও এর অবসান কামনা করে বস্তুত শান্তিকামী জনসাধারণের মনের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ একান্ত প্রয়োজন। এ জন্য সর্বাগ্রে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে দেশের মৌলিক সমস্যাগুলোর ব্যাপারে মতবিরোধ যথাসম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা থাকা দরকার। কিন্তু বর্তমানে এর বিপরীত চিত্রটিই দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিনই প্রধান বিরোধী দল রাজপথে প্রতিবাদ সভা ও শোভাযাত্রা করছে আর অন্যদিকে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিরোধী দলের নেতাদের কঠোর সমালোচনা করছেন। ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব সময় উত্তপ্ত থাকছে।
অথচ দেশে সমস্যার অন্ত নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও বখাটেদের উৎপাতের ঘটনা ঘটছে। উত্ত্যক্ত করার জের ধরে ছাত্রীর মা, শিক্ষক হত্যার মতো ঘটনা উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। খুন, ডাকাতি, সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি চলছে। জিনিসপত্রের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এ অবস্থায় জনজীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে সরকারকে বেশি কাজ করতে ও বেশি সময় দিতে হবে। এ জন্য প্রধান বিরোধী দলসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার। আর সহযোগিতা পেতে হলে তাদের সঙ্গে সমঝোতা থাকতে হবে। পদে পদে বিরোধী দলকে অপদস্থ করলে আসলে প্রতিকূল পরিস্থিতিই ডেকে আনা হয়।
অন্যদিকে বিরোধী দলেরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা একাদিক্রমে সংসদ অধিবেশন বর্জন করে যে ধরনের রাজনৈতিক বৈরিতা প্রকাশ করছে, তা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের বিরোধ থাকবে, কিন্তু তার সমাধান রাজপথেই করতে হবে, এমন নয়। সংসদও বিরোধী দলের আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সব সাংসদের অধিবেশনে যাওয়া উচিত, না হলে তাঁদের নির্বাচকমণ্ডলীর সমস্যা ও সমাধানে করণীয় বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি তুলবেন কে?
বিগত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের কথা বলেছিল। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ৫.৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শিষ্টাচার ও সহিষ্ণুতা গড়ে তোলা হবে এবং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ হবে। একটি সর্বসম্মত আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’ কিন্তু এখন তারা স্ববিরোধী অবস্থানে চলে গেছে।
অন্যদিকে বিএনপি তার নির্বাচনী ইশতেহারের ১৫ অনুচ্ছেদে বলেছে, ‘ইস্যুভিত্তিক ওয়াকআউট ছাড়া কোনো দল বা জোট সংসদের সেশন বা বৈঠক বর্জন করতে পারবে না। কোনো সংসদ সদস্য সংসদের অনুমোদন ছাড়া ৩০ দিনের অধিক অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ শূন্য হবে।’ দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বর্তমান সংসদের ১৫৯ কার্যদিবসে বিএনপির চেয়ারপারসন নিজে মাত্র পাঁচ দিন উপস্থিত ছিলেন।
আমরা বলব, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি শুধু নিজেদের দলের ইশতেহারে লেখা নিজেদের অঙ্গীকারটুকু মেনে চলুক। সংঘাতময় রাজনীতির অবসানে সেটাই যথেষ্ট।
অথচ দেশে সমস্যার অন্ত নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও বখাটেদের উৎপাতের ঘটনা ঘটছে। উত্ত্যক্ত করার জের ধরে ছাত্রীর মা, শিক্ষক হত্যার মতো ঘটনা উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। খুন, ডাকাতি, সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি চলছে। জিনিসপত্রের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এ অবস্থায় জনজীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে সরকারকে বেশি কাজ করতে ও বেশি সময় দিতে হবে। এ জন্য প্রধান বিরোধী দলসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার। আর সহযোগিতা পেতে হলে তাদের সঙ্গে সমঝোতা থাকতে হবে। পদে পদে বিরোধী দলকে অপদস্থ করলে আসলে প্রতিকূল পরিস্থিতিই ডেকে আনা হয়।
অন্যদিকে বিরোধী দলেরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা একাদিক্রমে সংসদ অধিবেশন বর্জন করে যে ধরনের রাজনৈতিক বৈরিতা প্রকাশ করছে, তা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের বিরোধ থাকবে, কিন্তু তার সমাধান রাজপথেই করতে হবে, এমন নয়। সংসদও বিরোধী দলের আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সব সাংসদের অধিবেশনে যাওয়া উচিত, না হলে তাঁদের নির্বাচকমণ্ডলীর সমস্যা ও সমাধানে করণীয় বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি তুলবেন কে?
বিগত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের কথা বলেছিল। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ৫.৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শিষ্টাচার ও সহিষ্ণুতা গড়ে তোলা হবে এবং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ হবে। একটি সর্বসম্মত আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’ কিন্তু এখন তারা স্ববিরোধী অবস্থানে চলে গেছে।
অন্যদিকে বিএনপি তার নির্বাচনী ইশতেহারের ১৫ অনুচ্ছেদে বলেছে, ‘ইস্যুভিত্তিক ওয়াকআউট ছাড়া কোনো দল বা জোট সংসদের সেশন বা বৈঠক বর্জন করতে পারবে না। কোনো সংসদ সদস্য সংসদের অনুমোদন ছাড়া ৩০ দিনের অধিক অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ শূন্য হবে।’ দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বর্তমান সংসদের ১৫৯ কার্যদিবসে বিএনপির চেয়ারপারসন নিজে মাত্র পাঁচ দিন উপস্থিত ছিলেন।
আমরা বলব, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি শুধু নিজেদের দলের ইশতেহারে লেখা নিজেদের অঙ্গীকারটুকু মেনে চলুক। সংঘাতময় রাজনীতির অবসানে সেটাই যথেষ্ট।
No comments