আন্দোলন প্রতিহত করার হুমকি-এ ধরনের বক্তব্য কাম্য নয়
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করার কথা বলছে; তারা সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনেও যেতে পারে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর পাল্টা হিসেবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে যদি এমন কথা বলা হয় যে তারা বিরোধী দলের আন্দোলনকে প্রতিহত করবেন, তাহলে জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা জেগে উঠতে পারে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনে গেলে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে তাদের প্রতিহত করবেন। এই ভাষায় তিনি হুমকি দিয়েছেন: ‘আমরা আন্দোলন করতে জানি। কীভাবে আন্দোলন প্রতিহত করতে হয়, সেটাও আমরা জানি। তাই আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাবেন না।’
কোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোনো দায়িত্বশীল নেতার মুখে এমন বক্তব্য শোভা পায় না। কারণ এ ধরনের বক্তব্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের আন্দোলন-সংগ্রামের অধিকার খোদ সংবিধানেই দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলেরও সেই অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে ‘প্রতিহত’ করার ভাবনা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয়। সবাই নিজ নিজ বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরবেন, এক পক্ষ অন্য পক্ষের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করবে, নিজেদের অবস্থানকে জনসমক্ষে তুলে ধরে জনসমর্থন আকর্ষণের চেষ্টা করবে—এ সবকিছুই হতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ‘প্রতিহত’ করতে উদ্যত হলেই হঠকারী ও হিংসাত্মক আচরণ চলে আসে। এবং এর ফলে জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, জীবন-জীবিকা বাধাগ্রস্ত হয় এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কিছুর দায়ভার গিয়ে পড়ে সরকারের ওপর। অর্থাৎ এমনটি ঘটলে শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে দেশ পরিচালনার কাজে সরকার বাধাগ্রস্ত হবে সরকারি দলের তরফ থেকেই।
বিরোধী দল আন্দোলন-সংগ্রাম করবে, তা যেন আইনকানুনের মধ্যে, শান্তিপূর্ণভাবেই হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। বিরোধী দলেরও উচিত, আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নেওয়া, সব ধরনের হঠকারিতা ও পাল্টাপাল্টি উসকানি পরিহার করা। রাজপথে সরকারি ও বিরোধী দলের কোনো পক্ষেরই এমন আচরণ কাম্য নয়, যাতে জনজীবনের শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়।
কোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোনো দায়িত্বশীল নেতার মুখে এমন বক্তব্য শোভা পায় না। কারণ এ ধরনের বক্তব্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের আন্দোলন-সংগ্রামের অধিকার খোদ সংবিধানেই দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলেরও সেই অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে ‘প্রতিহত’ করার ভাবনা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয়। সবাই নিজ নিজ বক্তব্য জনসমক্ষে তুলে ধরবেন, এক পক্ষ অন্য পক্ষের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করবে, নিজেদের অবস্থানকে জনসমক্ষে তুলে ধরে জনসমর্থন আকর্ষণের চেষ্টা করবে—এ সবকিছুই হতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ‘প্রতিহত’ করতে উদ্যত হলেই হঠকারী ও হিংসাত্মক আচরণ চলে আসে। এবং এর ফলে জনজীবনে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, জীবন-জীবিকা বাধাগ্রস্ত হয় এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কিছুর দায়ভার গিয়ে পড়ে সরকারের ওপর। অর্থাৎ এমনটি ঘটলে শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে দেশ পরিচালনার কাজে সরকার বাধাগ্রস্ত হবে সরকারি দলের তরফ থেকেই।
বিরোধী দল আন্দোলন-সংগ্রাম করবে, তা যেন আইনকানুনের মধ্যে, শান্তিপূর্ণভাবেই হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। বিরোধী দলেরও উচিত, আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নেওয়া, সব ধরনের হঠকারিতা ও পাল্টাপাল্টি উসকানি পরিহার করা। রাজপথে সরকারি ও বিরোধী দলের কোনো পক্ষেরই এমন আচরণ কাম্য নয়, যাতে জনজীবনের শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়।
No comments