জটিলতা না বাড়িয়ে দ্রুত নির্বাচন দিন-সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ
মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) যে ঠিকমতো চলছে না, তা নগরবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। স্থানীয় সরকারসংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির রোববারের বৈঠকে এ ব্যাপারে যে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গেও কেউ দ্বিমত করবেন না।
কিন্তু এর প্রতিকার হিসেবে সরকার সিটি করপোরেশন আইন সংশোধন করে প্রশাসক নিয়োগের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যথাসময়ে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর নির্বাচন হলে এই সমস্যা দেখা দিত না। ডিসিসির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০০২ সালের মার্চ মাসে। সেই হিসাবে দেশের বৃহত্তম স্থানীয় সরকার সংস্থাটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এখন ২০১০ সালের অক্টোবর। অর্থাৎ সাড়ে তিন বছর ধরে ডিসিসির নির্বাচন ঝুলে আছে। এর দায় কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর চাপালে হবে না। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে গত ২২ মাসেও কেন ডিসিসির নির্বাচন করতে উদ্যোগী হলো না?
স্থানীয় সরকার সংস্থাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলা হলেও নানা কৌশলে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ করে আসছে পূর্বাপর সরকার। নির্বাচনের আগে সব দলই স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করার অলীক স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা ঠিক উল্টো কাজই করে। এ মুহূর্তে প্রশাসক নিয়োগ করা হলে জটিলতা বাড়বে, ডিসিসি নির্বাচন হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পদ হারাবেন। এরপর ছয় মাসের মধ্যে সেখানে নির্বাচন হবে এবং এই অন্তর্বর্তীকালে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করবে। বর্তমান আইনে পরবর্তী মেয়র দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত পূর্ববর্তী মেয়রই স্বপদে বহাল থাকেন। জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনগুলোও ‘তত্ত্বাবধায়ক’-এর অধীনে হওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছেন, সিটি করপোরেশন আইনের খুঁটিনাটি বিষয় সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কমিটির সভাপতি বলেছেন, ডিসিসি নয়, সব সিটি করপোরেশনের জন্যই আইন সংশোধন করা হচ্ছে। সব সিটি করপোরেশনের কথা বলা হলেও ডিসিসি নির্বাচন সামনে রেখেই যে এ আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই ডিসিসি নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েও সফল হয়নি সরকারের অসহযোগিতার কারণে। হজের কারণে ডিসেম্বরে সম্ভব না হলেও ফেব্রুয়ারি-মার্চে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। এই সময়ে প্রশাসক নিয়োগ করলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে, দলীয়করণের অভিযোগ উঠবে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রেখে হতে পারলে ডিসিসিতে কেন করা যাবে না? নানা সমস্যায় জর্জরিত নগরবাসী ডিসিসিতে প্রশাসক নিয়োগ চান না, নির্বাচন চান। অতএব সরকারের উচিত, অবিলম্বে এই সংস্থার নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ডিসিসি নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো বিতর্কে জড়ানো ঠিক হবে না।
স্থানীয় সরকার সংস্থাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলা হলেও নানা কৌশলে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ করে আসছে পূর্বাপর সরকার। নির্বাচনের আগে সব দলই স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করার অলীক স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা ঠিক উল্টো কাজই করে। এ মুহূর্তে প্রশাসক নিয়োগ করা হলে জটিলতা বাড়বে, ডিসিসি নির্বাচন হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পদ হারাবেন। এরপর ছয় মাসের মধ্যে সেখানে নির্বাচন হবে এবং এই অন্তর্বর্তীকালে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করবে। বর্তমান আইনে পরবর্তী মেয়র দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত পূর্ববর্তী মেয়রই স্বপদে বহাল থাকেন। জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনগুলোও ‘তত্ত্বাবধায়ক’-এর অধীনে হওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছেন, সিটি করপোরেশন আইনের খুঁটিনাটি বিষয় সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কমিটির সভাপতি বলেছেন, ডিসিসি নয়, সব সিটি করপোরেশনের জন্যই আইন সংশোধন করা হচ্ছে। সব সিটি করপোরেশনের কথা বলা হলেও ডিসিসি নির্বাচন সামনে রেখেই যে এ আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই ডিসিসি নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েও সফল হয়নি সরকারের অসহযোগিতার কারণে। হজের কারণে ডিসেম্বরে সম্ভব না হলেও ফেব্রুয়ারি-মার্চে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। এই সময়ে প্রশাসক নিয়োগ করলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে, দলীয়করণের অভিযোগ উঠবে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রেখে হতে পারলে ডিসিসিতে কেন করা যাবে না? নানা সমস্যায় জর্জরিত নগরবাসী ডিসিসিতে প্রশাসক নিয়োগ চান না, নির্বাচন চান। অতএব সরকারের উচিত, অবিলম্বে এই সংস্থার নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। ডিসিসি নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো বিতর্কে জড়ানো ঠিক হবে না।
No comments