হাইকোর্টের আদেশ মেনে সংশোধনাগারে পাঠান-কারাগারে শিশু
শিশুরা অপরাধ করে না এমন নয়। কখনো সেই অপরাধ গুরুতর। তাদের সংশোধনের বিধানই শ্রেয়। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের অপরাধী শিশুদের স্থান সাধারণ কারাগার। আইন বা নৈতিকতা—কোনো বিবেচনায়ই শিশুদের কারাগারে আটক রাখার সুযোগ নেই, কিন্তু বাস্তবে তা-ই হয়ে আসছে।
এই অমানবিক ও আইনবহির্ভূত পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশের সব কারাগারে আটক শিশুদের মুক্তি দিয়ে নিরাপদ আবাসে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আমরা উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই।
দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৪৫ জন শিশু আটক রয়েছে—এ ধরনের একটি খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্ট এ ব্যাপারে সরকারের ওপর সুয়োমোটো রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে গত সোমবার হাইকোর্ট কারাগারে আটক এসব শিশুকে নিরাপদ আবাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। নিরাপত্তা হেফাজতের নামে এই শিশুরা বর্তমানে কারাগারে। নির্দেশে আদালত বলেছেন, নিরাপত্তা হেফাজত বা কোনো ফৌজদারি মামলায় কোনো শিশুকে কারাগারে আটক রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারাগার শিশুদের জন্য কোনোভাবেই নিরাপদ স্থান হতে পারে না। বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিশু অপরাধীদের ব্যাপারে এর আগে বিভিন্ন সময় দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশনা না মানায় সরকারের সমালোচনা করেন।
এটা দুঃখজনক যে শিশু ইস্যু ও শিশুদের অধিকারের ব্যাপারে যে সংবেদনশীলতা সরকার ও নীতিনির্ধারকদের থাকা উচিত, সে ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়ে গেছে। শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু-কিশোর অপরাধীদের ব্যাপারে হাইকোর্ট ২০০৩ সালে সরকারকে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তখন স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, কোনো অভিযুক্ত বা দণ্ডপ্রাপ্ত শিশু-কিশোরকে কারাগারে রাখা যাবে না। তাদের সংশোধনাগারে বা নির্দিষ্ট অন্য কোনো নিরাপদ আবাসে রাখতে হবে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশনা মানা হলে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৪৫ জন শিশুর আটক থাকার কথা ছিল না। এরপর ২০০৯ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ একটি জাতীয় শিশু কমিশন ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় টাস্কফোর্সকে সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এসব ক্ষেত্রেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
হাইকোর্টের বর্তমান নির্দেশের পর সবার টনক নড়বে, সেই আশা আমাদের। আদালত কারাগারে আটক শিশুদের সংশোধনকেন্দ্র বা শিশু আইন মেনে পরিচালিত সরকার অনুমোদিত নিরাপদ আবাসনে স্থানান্তরের যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা দ্রুত কার্যকর করার ব্যাপারে এখন সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। আর শিশুদের সব বিষয় সংবেদনশীল দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতা তৈরির দিকটিও জরুরি। হাইকোর্ট জামিন-অযোগ্য মামলায় আটক শিশু-কিশোরদেরও জামিনের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া যায় কি না, তা সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কারাগারের বাইরে শিশু-কিশোর অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখন সরকারের।
দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৪৫ জন শিশু আটক রয়েছে—এ ধরনের একটি খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্ট এ ব্যাপারে সরকারের ওপর সুয়োমোটো রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে গত সোমবার হাইকোর্ট কারাগারে আটক এসব শিশুকে নিরাপদ আবাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। নিরাপত্তা হেফাজতের নামে এই শিশুরা বর্তমানে কারাগারে। নির্দেশে আদালত বলেছেন, নিরাপত্তা হেফাজত বা কোনো ফৌজদারি মামলায় কোনো শিশুকে কারাগারে আটক রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারাগার শিশুদের জন্য কোনোভাবেই নিরাপদ স্থান হতে পারে না। বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিশু অপরাধীদের ব্যাপারে এর আগে বিভিন্ন সময় দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশনা না মানায় সরকারের সমালোচনা করেন।
এটা দুঃখজনক যে শিশু ইস্যু ও শিশুদের অধিকারের ব্যাপারে যে সংবেদনশীলতা সরকার ও নীতিনির্ধারকদের থাকা উচিত, সে ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়ে গেছে। শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু-কিশোর অপরাধীদের ব্যাপারে হাইকোর্ট ২০০৩ সালে সরকারকে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তখন স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, কোনো অভিযুক্ত বা দণ্ডপ্রাপ্ত শিশু-কিশোরকে কারাগারে রাখা যাবে না। তাদের সংশোধনাগারে বা নির্দিষ্ট অন্য কোনো নিরাপদ আবাসে রাখতে হবে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশনা মানা হলে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৪৫ জন শিশুর আটক থাকার কথা ছিল না। এরপর ২০০৯ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ একটি জাতীয় শিশু কমিশন ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় টাস্কফোর্সকে সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এসব ক্ষেত্রেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
হাইকোর্টের বর্তমান নির্দেশের পর সবার টনক নড়বে, সেই আশা আমাদের। আদালত কারাগারে আটক শিশুদের সংশোধনকেন্দ্র বা শিশু আইন মেনে পরিচালিত সরকার অনুমোদিত নিরাপদ আবাসনে স্থানান্তরের যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা দ্রুত কার্যকর করার ব্যাপারে এখন সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। আর শিশুদের সব বিষয় সংবেদনশীল দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতা তৈরির দিকটিও জরুরি। হাইকোর্ট জামিন-অযোগ্য মামলায় আটক শিশু-কিশোরদেরও জামিনের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া যায় কি না, তা সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কারাগারের বাইরে শিশু-কিশোর অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব এখন সরকারের।
No comments