বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিকল্প নেই-বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট
সীমান্ত হাট ও সীমান্ত পেরিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি দুটি বাণিজ্যসংক্রান্ত বড় চুক্তি না হলেও দুই দেশের বাণিজ্য-সম্পর্ককে জোরদার করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কম নয়। আশা করা যায়, চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের জনগণই লাভবান হবে।
সীমান্ত হাট চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তের দুটি এলাকায় দুই দেশের ভেতরে হাট বসবে। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউয়ারঘর ও কুড়িগ্রামের বালিয়াবাড়িতে দুটি হাটের বিপরীতে ভারতের ভূখণ্ডে দুটি হাট বসবে। বৈদেশিক বাণিজ্য ও সীমান্ত আইন মেনে এই হাট প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে বসবে। এই হাটগুলোতে দুই দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যেহেতু কর আদায় করা হবে না, ফলে স্থানীয় জনগণ সুলভ মূল্যেই পণ্য কিনতে পারবে, এমনটা আশা করা যায়। সীমান্ত হাট যেহেতু বৈধভাবে দুই দেশের কিছু নির্দিষ্ট পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দেবে, ফলে চোরাচালান কমাতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দ্বিতীয় চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশের ভূখণ্ডে ২০০ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবে। চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্ত এলাকায় পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে এখন যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তা অনেকটা কমে যাবে। সংশ্লিষ্ট দেশের ট্রাকগুলো এখন পরস্পরের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে সরাসরি গুদামে মাল খালাস করতে পারবে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় কমবে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারত সফরের সময় শনিবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের এই ভারত সফরের সময় আরও কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্প খাতের স্বার্থে তুলা রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ভারতের প্রতি বাংলাদেশ যে অনুরোধ জানিয়েছে, তাতে ভারত সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শুল্কমুক্তভাবে ভারতে ৭০ লাখ পিস তৈরি পোশাক রপ্তানির বিষয়টিও নিশ্চিত হয়েছে। ভারতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশে তিন লাখ টন চাল ও দুই লাখ টন গম রপ্তানির বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করার আলোচনায়ও অগ্রগতি হয়েছে।
আমরা মনে করি, অর্থনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য-সম্পর্ক জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপুল ঘাটতিতে রয়েছে। ভারতের নানা শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে বাংলাদেশের পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। অথচ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। সীমান্ত হাট বা দুই দেশের ভূখণ্ডে ট্রাক প্রবেশের চুক্তি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারত সফরের সময় শনিবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের এই ভারত সফরের সময় আরও কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তৈরি পোশাকশিল্প খাতের স্বার্থে তুলা রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ভারতের প্রতি বাংলাদেশ যে অনুরোধ জানিয়েছে, তাতে ভারত সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শুল্কমুক্তভাবে ভারতে ৭০ লাখ পিস তৈরি পোশাক রপ্তানির বিষয়টিও নিশ্চিত হয়েছে। ভারতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশে তিন লাখ টন চাল ও দুই লাখ টন গম রপ্তানির বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করার আলোচনায়ও অগ্রগতি হয়েছে।
আমরা মনে করি, অর্থনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য-সম্পর্ক জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপুল ঘাটতিতে রয়েছে। ভারতের নানা শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে বাংলাদেশের পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। অথচ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। সীমান্ত হাট বা দুই দেশের ভূখণ্ডে ট্রাক প্রবেশের চুক্তি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments