খোলা চোখে-ওবামার জন্য অশনিসংকেত by হাসান ফেরদৌস

দিন কয়েক আগে ওহাইওতে এসেছিলেন বারাক ওবামা। দুই বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ওহাইওতে বিজয়ের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল তাঁর জয়যাত্রা। দুই বছর লম্বা সময়। এরই মধ্যে ওবামার জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে।


২ নভেম্বর এ দেশে যে মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে ওবামার ডেমোক্রেটিক পার্টি বেধড়ক মার খাবে, এ কথা এখন সবাই অনিবার্য বলে ধরে নিয়েছেন। ওবামা শেষ চেষ্টা হিসেবে এ রাজ্য-সে রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন, যারা দুই বছর আগে তাঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিল তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটের অনুরোধ নিয়ে। ওহাইওতে সে উদ্দেশ্যেই আসা।
স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে মুখোমুখি আলাপ। যে যেমন খুশি প্রশ্ন করতে পারে। এক যুবক তাঁকে প্রশ্ন করলেন, আর কত দিন তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে চাকরি ফিরে পেতে। প্রায় দুই বছর হলো তিনি চাকরি হারিয়েছেন। নিজের ভাড়াটে বাড়ি ছেড়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে উঠেছেন। এমন কোনো জায়গা নেই চাকরির আবেদন করেননি। কোনো জায়গা থেকেই সদুত্তর নেই।
ওবামা উত্তর দেওয়া শুরু করলেন। আমেরিকার এই কঠিন অবস্থা এক দিনে হয়নি, সে কথা ব্যাখ্যা করলেন। এই দুই বছরে তিনি কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেসব ব্যবস্থা না নিলে এ দেশের অর্থনীতি আরও কত খারাপ হতো—তারও বিস্তারিত ফিরিস্তি দিলেন। তিনি আরও কী কী করতে যাচ্ছেন, তারও বিবরণ পেশ হলো। প্রায় মিনিট দশেক তিনি বললেন, কিন্তু ততক্ষণে সেই যুবক প্রেসিডেন্টের কথায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এই বক্তৃতা আমরা সবাই আরও অনেকবার শুনেছি। কিন্তু তার পরও ‘আমি কবে নিজের চাকরি ফিরে পাব?’—এই সোজা কথার কোনো উত্তর ওবামা দিতে পারলেন না।
ওবামাকে নিয়ে সমস্যা হলো, তিনি কথা বলেন অধ্যাপকের মতো, তাঁর শ্রোতাদের মনে করেন সেমিনার রুমের ছাত্র। প্রতিটি বাক্য দীর্ঘ, তাতে নানা পরিসংখ্যান, নানা হিসাব। সেদিন অধ্যাপক ওবামার লেকচার শোনার পর যুবকটি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু এবার সে দলকে ফের ভোট দেবেন, তার নিশ্চয়তা নেই। তাহলে কি তিনি রিপাবলিকান কাউকে ভোট দেবেন? ‘না, তাও দেব না। হয়তো কাউকেই ভোট দেব না, ভোটের দিন ঘরে বসে থাকব।’
আগামী সপ্তাহের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি যদি কংগ্রেসের এক বা উভয় কক্ষের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ হারায়, তা হবে এই কারণে নয় যে এ দেশের রিপাবলিকানরা হঠাৎ দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দল হিসেবে এ দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো রিপাবলিকানদের অপছন্দ করেন। নিবন্ধিত সমর্থকদের হিসেবে রিপাবলিকানদের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা অনেক এগিয়ে। তার পরও ডেমোক্র্যাটরা হারতে যাচ্ছেন, তার কারণ, সে দলের সমর্থকেরা এবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেউ কেউ হয়তো নাকে রুমাল গুঁজে রিপাবলিকান প্রার্থীর ঘরেই ভোটের চিহ্ন দিয়ে আসবেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা এতটা তেতে আছেন যে তাঁরা দল বেঁধে ভোট দেবেন। তাঁদের দলের অনেক প্রার্থীর কথাবার্তা শুনলে ঠিক আস্থা জাগে না, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কুছ পরোয়া নেহি। তাঁরা ঠিক পেশাদার রাজনীতিক নন, ওয়াশিংটনের চক্কর থেকে তাঁরা মুক্ত। অতএব, দলের রাজনীতি অনুসরণের বদলে তাঁরা জনগণের স্বার্থ মাথায় রেখে কাজ করবেন। সেটাই তো চাই। রিপাবলিকানরা বলছেন, পেশাদার রাজনীতিকদের দিয়ে তো দেখলাম, দেশটাকে তাঁরা একেবারে জাহান্নামের দোরগোড়ায় নিয়ে এসেছেন। এবার অন্য কিছু চেষ্টা করা যাক।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির এই তফাতকে বলা হচ্ছে ‘এন্থুজিয়াজম গ্যাপ’ বা উদ্দীপনার ফারাক। নিজেদের প্রেসিডেন্ট ও দল নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা হতাশ। ফলে ভোটের ব্যাপারে তাঁদের অনাগ্রহ। অন্যদিকে, ওবামা ও ডেমোক্র্যাটদের হারাতে রিপাবলিকানরা বদ্ধপরিকর। ফলে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের অতি আগ্রহ। ভাবা হচ্ছে, আনুপাতিকভাবে ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় রিপাবলিকান সমর্থকেরা বেশি সংখ্যায় ভোট দেবেন। ২০০৮ সালে ওবামা মূলত জিতেছিলেন তরুণ ও ‘স্বতন্ত্র’ ভোটারদের সমর্থনের কারণে। এবার হয়তো তাঁরা হয় ঘরে বসে থাকবেন, নয়তো রিপাবলিকানদের ভোট দেবেন। তো হলো কী আমেরিকার? এমন মস্ত কী অপরাধ করে ফেললেন ওবামা যে তাঁর নিজের দলের লোকেরাই এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন?
এর উত্তর তিন শব্দে দেওয়া যায়—অর্থনীতি, অর্থনীতি, অর্থনীতি। গত পৌনে ১০০ বছরে এমন কঠিন মন্দাবস্থার মুখে পড়েনি আমেরিকা। প্রতি দশজনের একজন এ দেশে এখন বেকার। ঋণ শোধ করতে না পারায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তাঁদের বাড়িঘরের মালিকানা হারাচ্ছেন। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ ছাড়তে গড়িমসি করছে, ফলে ছোট ব্যবসাগুলো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। লোকের হাতে অর্থ না থাকায় বাজারে বেচাকেনা নেই। সোজা কথায়, পুরো অর্থনীতিতে একটা অস্বাভাবিক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
আমেরিকার এই হাল এক দিনে হয়নি। আয়ের চেয়ে অধিক ব্যয় আমেরিকার চিরকেলে অভ্যাস। তা ছাড়া গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে রয়েছে দুই দুটো যুদ্ধের বোঝা। টাঁকশালে টাকা ফুরিয়েছে, দেশ চালাতে হচ্ছে চীনাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে। আরও রয়েছে শেয়ারবাজার ও ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ শিথিল করায় বছর তিনেক আগে দেখা দেয় এক অভাবনীয় সংকট। দেশের প্রধান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় দেউলিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমে জর্জ বুশ ও পরে ওবামা তাঁদের বাঁচানোর জন্য দেদার অর্থ-সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। মোটরগাড়ি নির্মাণ খাতেও দেখা দেয় অভাবনীয় সংকট। সে খাতকে বাঁচাতেও বিস্তর অর্থ ঢালতে হয় ওবামাকে। এদিকে, অর্থনীতির স্থবিরতা কাটাতে ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ’ নিয়ে আসেন ওবামা। এসবের ফলে আরও বড় ধরনের সংকট এড়ানো সম্ভব হয় বটে, কিন্তু মোদ্দা সমস্যার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এ অবস্থার জন্য দোষ ওবামার নয়। অনেক দিনের ক্ষত, পচে-ফুলে এখন তা গ্যাংগ্রিনে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দেশের বৈঠা যাঁর হাতে, তাঁকে দোষ না দিয়ে কি দুষব তাঁকে যিনি এখন অবসর জীবনযাপন করছেন? যতই যুক্তি দেখাও সাধারণ মানুষ, যারা চাকরি খুইয়েছে, যাদের বাড়িঘর নিলাম হচ্ছে, তারা সে কথায় কান দেবে না। তা ছাড়া এ কথাও ঠিক, অর্থনীতি নিয়ে, বিশেষত কর্মসংস্থানের ব্যাপারে, ওবামা তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি দেননি। আশু ব্যবস্থা হিসেবে একটি স্টিমুলাস প্যাকেজ তিনি কংগ্রেসকে দিয়ে পাস করিয়ে নিয়েছিলেন বটে, কিন্তু অধিকাংশ অর্থনীতিবিদই এখন এ ব্যাপারে একমত যে ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের সে প্যাকেজ সংকটের তুলনায় নিতান্তই অল্প ছিল। তা ছাড়া সে অর্থের একটা মোটা অংশ চলে যায় কর রেয়াতি হিসেবে। এই প্যাকেজটি যদি আকারে দ্বিগুণ হতো এবং তার সিংহভাগ বিনিয়োগ করা হতো অবকাঠামো খাতে, তাহলে একদিকে কর্মসংস্থান যেমন নিশ্চিত হতো, তেমনি আমেরিকার অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি সুফলও পাওয়া যেত।
ওবামাকে নিয়ে মস্ত অভিযোগ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে: অধিকাংশ সময় তিনি ব্যয় করেছেন স্বাস্থ্য বিমা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ব্যাংক সংস্কার নিয়ে। গোড়াতে ভাবা হয়েছিল এই তিন ক্ষেত্রে প্রার্থিত সংস্কার অর্জিত হলে তার রাজনৈতিক ফায়দা ডেমোক্র্যাটরা ঘরে তুলতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রিপাবলিকানদের বিরোধিতার মুখে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে আলোচনা শুরুর আগেই হাত গুটিয়ে নেন ওবামা। স্বাস্থ্য বিমা ও ব্যাংক সংস্কারের প্রশ্নে আইন পাস হয়েছে বটে, কিন্তু সে আইনের পক্ষে রিপাবলিকান সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ওবামা একের পর এক ছাড় দিয়ে গেছেন। ভাবা হয়েছিল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সরকারি বিমাব্যবস্থা চালু হবে। রিপাবলিকানদের হাতে পাবেন, এই আশায় ওবামা সেই ‘পাবলিক অপশন’ ছেঁটে ফেলেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির উদারপন্থীরা, যাঁরা ওবামার ‘কোর সাপোর্টার’ বা মূল সমর্থক, তাঁরা এই আপসমূলক মনোভাবে খুবই হতাশ। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়েও একই অবস্থা। গোড়াতে যত হম্বিতম্বি করা হয়, তাতে মনে হয়েছিল, রাঘববোয়ালগুলো বুঝি এবার ফাঁদে পড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে আইন পাস হলো তাতে বড় বড় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যত অক্ষতই থেকে গেছে। ছিদ্রান্বেষীরা বলেছেন, মুখে মুখে যা-ই বলুন, ওবামা আগাগোড়া ওয়ালস্ট্রিটের সঙ্গে সখ্য বজায় রেখেছেন। তাঁর ক্যাবিনেটে এমন লোকজন এনে দল ভারী করেছেন, যাঁরা দুদিন আগে পর্যন্তও ওয়ালস্ট্রিটে টাকা চালাচালির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে তাঁদের কারসাজিতে যে ব্যাংকিং সংস্কার আইন পাস হলো, সে আইনের না আছে নখ, না আছে দাঁত।
২০০৮ সালে ওবামার বিজয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর। তাঁরাও ওবামার ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। চলতি মন্দাবস্থায় তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ফলে ওবামা ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি তাদের আস্থা দুর্বল হয়ে এসেছে। গত নির্বাচনে হিস্পানিক জনগোষ্ঠী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ওবামাকে সমর্থন জানিয়েছিল, কারণ ওবামা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিবাসন-প্রশ্নে তিনি ব্যাপক সংস্কার আইন পাস করিয়ে নেবেন। রিপাবলিকান বিরোধিতার মুখে সে পথে তিনি এগোতে পারেননি। তেমন কোনো চেষ্টাও করেননি। স্টিমুলাস, স্বাস্থ্য বিমা ও ব্যাংক সংস্কার নিয়েই তিনি নিজের তাবৎ পুঁজি খুইয়ে ফেলেন। হতাশ ও ক্রুদ্ধ হিস্পানিকদের একটা বড় অংশ হয়তো এবার ভোট দিতেই যাবে না। আর রিপাবলিকানরা ঠিক সেটাই চান। নেভাদাতে হিস্পানিকদের ক্রোধকে পুঁজি করে এমন একটা বিজ্ঞাপন বানানো হয়, যার মোদ্দা কথা: ডেমোক্র্যাটরা তাদের কথা রাখেনি, অতএব তোমরা ভোট দিতেই যাবে না।
ওবামা গোড়া থেকেই চেয়েছিলেন প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন। সে উদ্দেশ্যেই স্বাস্থ্য বিমা বা ব্যাংক খাত সংস্কার প্রশ্নে মাঝামাঝি একটা পথ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিপাবলিকানরা প্রথমাবধিই ভেবেচিন্তে বৈরিতার পথ বেছে নেন। এতে তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে দুভাবে—নিজেদের সমর্থকদের এককাট্টা করা গেছে, অন্যদিকে ওবামাকে বেকায়দায় ফেলা গেছে। এ দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার একটা বড় অংশ রিপাবলিকানদের প্রভাবাধীন। তাঁরা অহর্নিশ ওবামাকে একজন ‘অতি কট্টর বামপন্থী’ রাজনীতিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এই অভিযোগের জবাবে পাল্টা আক্রমণ শানানোর বদলে ওবামা ও তাঁর দল আত্মপক্ষ সমর্থনেই অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন। ফুটবল খেলার মতো রাজনীতিতেও শুধু ‘ডিফেন্স’ খেলে জেতা যায় না। ছয় বছর আগে জর্জ বুশের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে জন কেরি ঠিক এই ভুলটি করেছিলেন। নিজের রাজনীতি তুলে ধরার বদলে তাঁর বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের অভিযোগের জবাব দিতেই অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছেন। ওবামাও ঠিক সেই ভুলটি করেছেন।
অধিকাংশ জনমত জরিপ থেকেই দেখা যাচ্ছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা সম্ভবত প্রতিনিধি পরিষদে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ হারাবে। সিনেটেও একই অবস্থা ঘটার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। উভয় কক্ষই যদি তারা দৈবক্রমে ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তার পরও হয়তো দেখা যাবে রিপাবলিকানরা দু-চারজন ডেমোক্র্যাটদের নিজের দলে ভিড়িয়ে কংগ্রেসের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে। তেমন একটা কিছু ঘটলে আগামী দুই বছর ওবামাকে অত্যন্ত বৈরী এক পরিবেশে কাজ করতে হবে। তাকে হয়তো আরও ছাড় দিতে হবে, পদে পদে আপস করতে হবে। তার ফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কমবেশি কার্যকর বলে নিজেকে হয়তো প্রমাণ করতে পারবেন কিন্তু তাঁর দলের সমর্থকেরা যে নিজের ঘরে ফিরবেন সে আশায় গুড়ে বালি।
হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.