প্রশাসনের উদাসীনতাই দায়ী-উপর্যুপরি বৃক্ষনাশ
গ্রামগঞ্জে গরু-ছাগলে গাছের চারা বা পাতা খাওয়া নিয়ে অজস্র বিবাদ হওয়ার ঘটনা আমরা জানি। কিন্তু মানুষ যখন মানুষেরই লাগানো ১৪ হাজার গাছের পাতা থেকে শুরু করে ডালপালাও কেটে নিয়ে যায়, যখন বিবাদের সূত্র ধরে অপরের লাগানো দেড় হাজার চারাগাছ কেটে ফলে, তখন এই আচরণকে আমরা কীভাবে দেখব? ঠাকুরগাঁওয়ে
সড়কের ধারে লাগানো ১৪ হাজার ন্যাড়া গাছ আর শ্রীমঙ্গলের দেড় হাজারেরও বেশি চারাগাছ উপড়ানোর ঘটনা আমাদের সমাজের মধ্যে জেঁকে থাকা অপরিণামদর্শিতারই নজির। অবস্থা এমন যে স্থানীয় সাধারণ মানুষের নেতিবাচক আচরণ এবং প্রশাসনের অবহেলায় এমনকি গাছও বাড়তে পারে না। বৃক্ষের জীবনও বুঝি এ দেশে নিরাপদ নয়!
ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের দুই ধারে একটি বেসরকারি সংস্থা ১৪ হাজার কাঁঠালের চারা লাগিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। গোড়ার দিকে এসবের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ওই এলাকার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের। তারা সে সময় গাছের ফল বিক্রি করে আয়ও করে। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে দায়িত্বটি নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন। দায়িত্ব নিলেও গাছগুলো দেখাশোনা করার কাজটি একেবারে বাদ পড়ে যায়। মওকা বুঝে স্থানীয় জনগণের অনেকেই প্রথমে গরু-ছাগলের খাওয়ার জন্য পাতা ছেঁড়া শুরু করে। প্রশাসনের চরম উদাসীনতায় তারা আরও উৎসাহিত হয়ে ডালপালাও কেটে নিয়ে যেতে থাকে। এভাবে ১৪ হাজার গাছের ডালপালা-পাতা কেটে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু চরম উদাসীন প্রশাসন থাকলে সবই সম্ভব।
শনিবারের প্রথম আলোয় অন্য একটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, পারস্পরিক বিবাদের জের ধরে এক পক্ষ অপর পক্ষের লাগানো দেড় হাজার চারাগাছ উপড়ে ফেলেছে। যে বৃক্ষ পরিবেশের সুরক্ষার রক্ষাকবচ এবং আর্থিকভাবেও সুফলদায়ী, তার প্রতি এমন আক্রোশ মানুষ হিসেবেই আমাদের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেবল সরকার-প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, জনসংস্কৃতির মধ্যেও যে কুপ্রবণতা রয়েছে, তাকে অস্বীকার করা মনকে চোখ ঠাওরানোর শামিল।
এ ধরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। কোথাও প্রশাসনের শিথিলতা আবার কোথাও জনগণের একাংশের দায়িত্বহীনতা দায়ী হলেও সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো চাইলে এ ধরনের ক্ষতিকারক ঘটনার সংখ্যা কমে আসবে। ফাটল যেখানে মেরামতের প্রয়োজন সেখানেই। সার্বিক দায়িত্বহীনতার মধ্যে আইন অমান্যের শাস্তি এবং সীমা লঙ্ঘন করার প্রবণতাকে রোধ করায় সরকার-প্রশাসনই হলো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। তারা শিথিল হলে মানুষের মধ্যকার অশুভ প্রবণতাগুলোর সামনে আর কোনো বাধা থাকে না।
ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের দুই ধারে একটি বেসরকারি সংস্থা ১৪ হাজার কাঁঠালের চারা লাগিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। গোড়ার দিকে এসবের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ওই এলাকার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের। তারা সে সময় গাছের ফল বিক্রি করে আয়ও করে। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে দায়িত্বটি নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন। দায়িত্ব নিলেও গাছগুলো দেখাশোনা করার কাজটি একেবারে বাদ পড়ে যায়। মওকা বুঝে স্থানীয় জনগণের অনেকেই প্রথমে গরু-ছাগলের খাওয়ার জন্য পাতা ছেঁড়া শুরু করে। প্রশাসনের চরম উদাসীনতায় তারা আরও উৎসাহিত হয়ে ডালপালাও কেটে নিয়ে যেতে থাকে। এভাবে ১৪ হাজার গাছের ডালপালা-পাতা কেটে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু চরম উদাসীন প্রশাসন থাকলে সবই সম্ভব।
শনিবারের প্রথম আলোয় অন্য একটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, পারস্পরিক বিবাদের জের ধরে এক পক্ষ অপর পক্ষের লাগানো দেড় হাজার চারাগাছ উপড়ে ফেলেছে। যে বৃক্ষ পরিবেশের সুরক্ষার রক্ষাকবচ এবং আর্থিকভাবেও সুফলদায়ী, তার প্রতি এমন আক্রোশ মানুষ হিসেবেই আমাদের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেবল সরকার-প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, জনসংস্কৃতির মধ্যেও যে কুপ্রবণতা রয়েছে, তাকে অস্বীকার করা মনকে চোখ ঠাওরানোর শামিল।
এ ধরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। কোথাও প্রশাসনের শিথিলতা আবার কোথাও জনগণের একাংশের দায়িত্বহীনতা দায়ী হলেও সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো চাইলে এ ধরনের ক্ষতিকারক ঘটনার সংখ্যা কমে আসবে। ফাটল যেখানে মেরামতের প্রয়োজন সেখানেই। সার্বিক দায়িত্বহীনতার মধ্যে আইন অমান্যের শাস্তি এবং সীমা লঙ্ঘন করার প্রবণতাকে রোধ করায় সরকার-প্রশাসনই হলো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। তারা শিথিল হলে মানুষের মধ্যকার অশুভ প্রবণতাগুলোর সামনে আর কোনো বাধা থাকে না।
No comments