এবারের নায়ক সৈনিক লীগের নেতা-রংপুর চিনিকলের জমি গ্রাস
ফরিদপুরে যুবলীগের নেতা সরকারি সেতু বিক্রি করে দিতে পারলে গাইবান্ধায় সরকারি জমি ইজারা নিয়ে অবৈধ স্থাপনা কেন নির্মাণ করতে পারবেন না সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, যখন তিনি আবার স্থানীয় সাংসদের ভাই! সারা দেশেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই রংপুর চিনিকলের কৃষিজমি ইজারা নিয়ে সেখানে ধানের চাতাল, চাতালের পাশে গুদামঘর বানানো নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন ধারাই কি চলতে থাকবে?
দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে, সাংসদ-মন্ত্রীদের প্রভাব খাটিয়ে এ রকম নগ্ন দখলবাজিই কি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়ে বসবে বাংলাদেশে?
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে চিনিকলের ১১৩ একর জমি ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ইজারা নেন স্থানীয় সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর ভাই এবং সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিটন চৌধুরী। ইজারার শর্তানুযায়ী, গ্রহীতা ওই জমিতে কৃষিকাজ ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবেন না। অথচ সেখানে স্থায়ী চাতাল-গুদামঘর নির্মাণ করেই তিনি থামেননি, দখলি জমিতে বিশ্রামের জন্য হাওয়াখানাও বানিয়ে বসেছেন। চিনিকল কর্তৃপক্ষের নোটিশকেও পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। উপরন্তু, মেয়াদ শেষে নতুন করে সেই জমি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে গত শনিবারের প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাজনীতিবিদদের অন্যায় চাপের কাছে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হয় নতি স্বীকার করেন, নয়তো তাঁরাও দুর্নীতি-দখল ইত্যাদির সহযোগী হয়ে যান। রংপুর চিনিকলের বেলায় জেলা প্রশাসক দাবি করেছেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। আর চিনিকল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ইজারাগ্রহীতাকে লিখিত নোটিশই দিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তাঁকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানোয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সরকারি সম্পদের দেখভাল কেমনভাবে হয়, প্রশাসনের এমন শিথিল আচরণ তারই নজির।
সারা দেশেই দলীয়করণ, দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি-অনিয়ম-দখলদারি চলছে। সড়ক-সেতু নির্মাণ, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা কর্মসূচিসহ অজস্র সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে খরচ করা অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। আমরা দেখতে চাই, দল বা পরিচয় যা-ই হোক, কেউ ছাড় পাবে না; দুর্নীতি-অনিয়ম যার দ্বারাই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে চিনিকলের ১১৩ একর জমি ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ইজারা নেন স্থানীয় সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর ভাই এবং সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিটন চৌধুরী। ইজারার শর্তানুযায়ী, গ্রহীতা ওই জমিতে কৃষিকাজ ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবেন না। অথচ সেখানে স্থায়ী চাতাল-গুদামঘর নির্মাণ করেই তিনি থামেননি, দখলি জমিতে বিশ্রামের জন্য হাওয়াখানাও বানিয়ে বসেছেন। চিনিকল কর্তৃপক্ষের নোটিশকেও পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। উপরন্তু, মেয়াদ শেষে নতুন করে সেই জমি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে গত শনিবারের প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাজনীতিবিদদের অন্যায় চাপের কাছে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হয় নতি স্বীকার করেন, নয়তো তাঁরাও দুর্নীতি-দখল ইত্যাদির সহযোগী হয়ে যান। রংপুর চিনিকলের বেলায় জেলা প্রশাসক দাবি করেছেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। আর চিনিকল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ইজারাগ্রহীতাকে লিখিত নোটিশই দিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তাঁকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানোয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সরকারি সম্পদের দেখভাল কেমনভাবে হয়, প্রশাসনের এমন শিথিল আচরণ তারই নজির।
সারা দেশেই দলীয়করণ, দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি-অনিয়ম-দখলদারি চলছে। সড়ক-সেতু নির্মাণ, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা কর্মসূচিসহ অজস্র সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে খরচ করা অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। আমরা দেখতে চাই, দল বা পরিচয় যা-ই হোক, কেউ ছাড় পাবে না; দুর্নীতি-অনিয়ম যার দ্বারাই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments