আসুন, আমরা ইমান তাজা করি by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতের কাছে শুধু খালেস ইমানের চাহিদা ছিল। কিন্তু শেষ নবীর উম্মতের ওপর অতিরিক্ত আরেকটি দায়িত্ব এসেছে_ তা দাওয়াতের কাজ। আমরা যেখানেই থাকি। দেশে বা বিদেশে, আবাসে কিংবা প্রবাসে। সবখানেই আমাদের চেষ্টা করতে হবে_ আল্লাহর দীন কীভাবে বিস্তৃতি লাভ করে। সবার মধ্যে কীভাবে দীন চলে আসে। কীভাবে ইমানের পূর্ণতা আসে_ তার চেষ্টা করা।
আমাদের ইমানের পরিপূর্ণতা আসা ও সবখানে তার বরকত পরিলক্ষিত হওয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, আমাদের জীবনটা কী জন্য? দুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রস্তাব আসবে। কোথাও থেকে ভালো চাকরি। আবার কখনও রাজত্বের প্রলোভন দেখানো হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য একটাই। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, খাঁটি ইমান অর্জন করা। খাঁটি ইমান এমনি এমনি আসবে না। এর জন্য আমাদের মেহনত করতে হবে। মেহনতের পাশাপাশি আল্লাহর রহমতও কামনা করতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, দাওয়াতের মাধ্যমেই সবকিছু অর্জন করতে হবে। বান্দার যাবতীয় কামনা-বাসনা পূরণের আশা থাকতে হবে একমাত্র আল্লাহ থেকেই। এ বিশ্বাস জন্মানোকেই ইমান বলে। পৃথিবীতে যা কিছু হয়, আল্লাহ থেকেই হয়। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) তরিকা, সর্বক্ষেত্রে তার শিক্ষা-দীক্ষা, তালিম তরবিয়তের পূর্ণ অনুসরণ ও নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করাকেই ইমান বলে। আমাদের সেই ইমান বানাতে হবে। সেই ইমানের মেহনত সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবেই গত শনিবার মাগরিবের নামাজের পর সমবেত মানুষের উদ্দেশে বয়ান করছিলেন ইজতেমার প্রথম পর্বে দিলিল্গর মুরবি্ব মাওলানা আহমদ লাট।
মূলত দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ সম্পর্কে তাবলিগি সাথীদের জানানো ও বোঝানোর জন্য প্রতি বছর ইজতেমার আয়োজন করা হয়। টঙ্গীর ইজতেমায় চিল্লাধারী তাবলিগি সাথীদের সঙ্গে নতুন অনেকেই অংশ নিয়ে থাকেন। যারা ইজতেমা শেষে দাওয়াতের কাজ নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবেন। ইজতেমায় ইমান পুনর্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। দীন প্রচারের ক্ষেত্রে নানাবিধ বাধাবিপত্তি পেরিয়ে নবী-রাসূল ও সাহাবীরা কীভাবে দীন প্রচার করেছেন সেসব ঘটনাবলি শোনানো হয়। এ ছাড়া এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয় যে, কিছু সময় দুনিয়ার সমস্ত ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে মসজিদে সময় কাটিয়ে ইমান তাজা করা উচিত। যাতে দুনিয়ার ব্যস্ততা মানুষকে আল্লাহতায়ালার স্মরণ থেকে উদাসীন না করে তোলে।
বর্তমানে দীনের দাওয়াত দেওয়া কিংবা দীনের খেদমত করা এবং বিশ্ববাসীকে সংশোধনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা প্রত্যেক কালেমাওয়ালা মানুষের দায়িত্ব। কিন্তু সামান্য মুসলমানই এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এমতাবস্থায় আমাদের কর্তব্য হবে দীনের দাওয়াত উম্মতের মাঝে চালু করা। যারা দীন, ইমান ও সৎ কাজ থেকে দূরে রয়েছে_ এসব মানুষের সংশোধনের জন্যই দাওয়াত ও তাবলিগের এই কাজ।
ইসলাম মুসলমানদের ধর্ম। আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর তার যথার্থ আনুগত্য ও ইবাদত ফরজ করেছেন। দীন ও ইসলামের বাণী মানুষের মাঝে পেঁৗছে দেওয়া আমাদের ওপর ফরজ করেছেন। আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে এ কাজে অসংখ্য নবী-রাসূলগণকে দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা নানাবিধ দুঃখ-যন্ত্রণা ও কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করে এ দাওয়াতি কাজের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করে গেছেন। নবীদের আগমনের এই ধারাবাহিকতা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) পর্যন্ত এসে শেষ হয়েছে। নবুওয়ত ও রিসালাতের ধারাবাহিকতা শেষ হওয়ার পর মানুষের সংশোধনের দায়িত্ব পড়েছে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) উম্মতগণের ওপর। দীনের প্রতি আহ্বান ও দীনের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা করে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ কর ও অসৎ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর ওপর ইমান আন।'
বিশ্ববাসীকে সেই ইমানের দাওয়াত দিতেই টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। অবশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব থেকেই দ্বিতীয় পর্বের আমবয়ান শুরু হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বাদ ফজর থেকেই শুরু হবে ইজতেমার মূল কার্যক্রম।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে গত বুধবার থেকেই দেশের ৩২টি জেলার মুসলিল্গরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। ইজতেমা ময়দানে তাঁরা জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।
ইজতেমা বাহ্যিক একটি মিলনমেলা হলেও এর কর্মপরিধি ব্যাপক। এখান থেকে দীনের আলোর মশাল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে, দীনহারা মানুষ দীনের সন্ধান পাবে, কালেমা শিখবে, ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত রাখার সুযোগ পাবে। তাই বলা যায়, ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) নিম্নোক্ত সুসংবাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। 'আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন অনেক মানুষকে এমনভাবে উত্থিত করবেন যে, তাদের চেহারা নূরে ঝলমল করতে থাকবে এবং তারা আলোকিত মোতির চেয়ারে বসে থাকবেন। তাঁদের এই মর্যাদা মানুষের মনে ঈর্ষা সৃষ্টি করবে। অথচ তারা নবীও নন, শহীদও নন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন একজন গ্রাম্য আরবি ব্যক্তি নতজানু বা দোজানু হয়ে বসলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাদের পরিচয় বলে দিন, যাতে আমরা তাঁদের চিনতে পারি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তারা বিভিন্ন গোত্র ও ভূখণ্ডের মানুষ, শুধু আল্লাহর জন্যই পরস্পরের প্রতি মহব্বত পোষণ করে এবং আল্লাহর স্মরণের জন্যই একত্র হয়ে আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করে। অন্য বর্ণনায় আছে, তখন তাঁরা এমনভাবে উত্তম কথামালা আহরণ করে, যেভাবে ফল অনুরাগী উত্তম ফল আহরণ করে থাকে।'
মোটকথা হলো, বিশ্ব ইজতেমায় ইলম, আমল, দাওয়াত কিংবা ওয়াজসহ যে আমলই হোক না কেন, সবকিছুর লক্ষ্য হলো, হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সেই শিক্ষার অনুসরণ, যা হজরত মুয়াযের (রা.) নিম্নোক্ত কথায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তিনি তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বলতেন, 'বসুন, কিছুক্ষণ আমরা ইমানকে তাজা করি।'-সহিহ বুখারি
muftianaet@gmail.com
আমাদের মনে রাখতে হবে, দাওয়াতের মাধ্যমেই সবকিছু অর্জন করতে হবে। বান্দার যাবতীয় কামনা-বাসনা পূরণের আশা থাকতে হবে একমাত্র আল্লাহ থেকেই। এ বিশ্বাস জন্মানোকেই ইমান বলে। পৃথিবীতে যা কিছু হয়, আল্লাহ থেকেই হয়। হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) তরিকা, সর্বক্ষেত্রে তার শিক্ষা-দীক্ষা, তালিম তরবিয়তের পূর্ণ অনুসরণ ও নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করাকেই ইমান বলে। আমাদের সেই ইমান বানাতে হবে। সেই ইমানের মেহনত সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবেই গত শনিবার মাগরিবের নামাজের পর সমবেত মানুষের উদ্দেশে বয়ান করছিলেন ইজতেমার প্রথম পর্বে দিলিল্গর মুরবি্ব মাওলানা আহমদ লাট।
মূলত দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ সম্পর্কে তাবলিগি সাথীদের জানানো ও বোঝানোর জন্য প্রতি বছর ইজতেমার আয়োজন করা হয়। টঙ্গীর ইজতেমায় চিল্লাধারী তাবলিগি সাথীদের সঙ্গে নতুন অনেকেই অংশ নিয়ে থাকেন। যারা ইজতেমা শেষে দাওয়াতের কাজ নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবেন। ইজতেমায় ইমান পুনর্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। দীন প্রচারের ক্ষেত্রে নানাবিধ বাধাবিপত্তি পেরিয়ে নবী-রাসূল ও সাহাবীরা কীভাবে দীন প্রচার করেছেন সেসব ঘটনাবলি শোনানো হয়। এ ছাড়া এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয় যে, কিছু সময় দুনিয়ার সমস্ত ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে মসজিদে সময় কাটিয়ে ইমান তাজা করা উচিত। যাতে দুনিয়ার ব্যস্ততা মানুষকে আল্লাহতায়ালার স্মরণ থেকে উদাসীন না করে তোলে।
বর্তমানে দীনের দাওয়াত দেওয়া কিংবা দীনের খেদমত করা এবং বিশ্ববাসীকে সংশোধনের দিকনির্দেশনা প্রদান করা প্রত্যেক কালেমাওয়ালা মানুষের দায়িত্ব। কিন্তু সামান্য মুসলমানই এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এমতাবস্থায় আমাদের কর্তব্য হবে দীনের দাওয়াত উম্মতের মাঝে চালু করা। যারা দীন, ইমান ও সৎ কাজ থেকে দূরে রয়েছে_ এসব মানুষের সংশোধনের জন্যই দাওয়াত ও তাবলিগের এই কাজ।
ইসলাম মুসলমানদের ধর্ম। আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর তার যথার্থ আনুগত্য ও ইবাদত ফরজ করেছেন। দীন ও ইসলামের বাণী মানুষের মাঝে পেঁৗছে দেওয়া আমাদের ওপর ফরজ করেছেন। আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে এ কাজে অসংখ্য নবী-রাসূলগণকে দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা নানাবিধ দুঃখ-যন্ত্রণা ও কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করে এ দাওয়াতি কাজের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করে গেছেন। নবীদের আগমনের এই ধারাবাহিকতা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) পর্যন্ত এসে শেষ হয়েছে। নবুওয়ত ও রিসালাতের ধারাবাহিকতা শেষ হওয়ার পর মানুষের সংশোধনের দায়িত্ব পড়েছে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) উম্মতগণের ওপর। দীনের প্রতি আহ্বান ও দীনের দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা করে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের নির্দেশ কর ও অসৎ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর ওপর ইমান আন।'
বিশ্ববাসীকে সেই ইমানের দাওয়াত দিতেই টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। অবশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব থেকেই দ্বিতীয় পর্বের আমবয়ান শুরু হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বাদ ফজর থেকেই শুরু হবে ইজতেমার মূল কার্যক্রম।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে গত বুধবার থেকেই দেশের ৩২টি জেলার মুসলিল্গরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। ইজতেমা ময়দানে তাঁরা জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।
ইজতেমা বাহ্যিক একটি মিলনমেলা হলেও এর কর্মপরিধি ব্যাপক। এখান থেকে দীনের আলোর মশাল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে, দীনহারা মানুষ দীনের সন্ধান পাবে, কালেমা শিখবে, ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত রাখার সুযোগ পাবে। তাই বলা যায়, ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) নিম্নোক্ত সুসংবাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। 'আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন অনেক মানুষকে এমনভাবে উত্থিত করবেন যে, তাদের চেহারা নূরে ঝলমল করতে থাকবে এবং তারা আলোকিত মোতির চেয়ারে বসে থাকবেন। তাঁদের এই মর্যাদা মানুষের মনে ঈর্ষা সৃষ্টি করবে। অথচ তারা নবীও নন, শহীদও নন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন একজন গ্রাম্য আরবি ব্যক্তি নতজানু বা দোজানু হয়ে বসলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাদের পরিচয় বলে দিন, যাতে আমরা তাঁদের চিনতে পারি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তারা বিভিন্ন গোত্র ও ভূখণ্ডের মানুষ, শুধু আল্লাহর জন্যই পরস্পরের প্রতি মহব্বত পোষণ করে এবং আল্লাহর স্মরণের জন্যই একত্র হয়ে আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করে। অন্য বর্ণনায় আছে, তখন তাঁরা এমনভাবে উত্তম কথামালা আহরণ করে, যেভাবে ফল অনুরাগী উত্তম ফল আহরণ করে থাকে।'
মোটকথা হলো, বিশ্ব ইজতেমায় ইলম, আমল, দাওয়াত কিংবা ওয়াজসহ যে আমলই হোক না কেন, সবকিছুর লক্ষ্য হলো, হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সেই শিক্ষার অনুসরণ, যা হজরত মুয়াযের (রা.) নিম্নোক্ত কথায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তিনি তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বলতেন, 'বসুন, কিছুক্ষণ আমরা ইমানকে তাজা করি।'-সহিহ বুখারি
muftianaet@gmail.com
No comments