বিজেএমসির সামনে সতর্ক মুক্তিযোদ্ধা
ইতিহাসের হাতছানি বিজেএমসির সামনে। এর আগে এককালের ঐতিহ্যবাহী দলটির কখনোই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠা হয়নি। ‘পুনর্জন্ম’ হওয়া বিজেএমসি আজ সেই ফাইনালেই চোখ রেখে ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে শক্তিশালী মুক্তিযোদ্ধার। জিতেই তারা নাম লেখাতে চায় ইতিহাসে। তবে ছয়বার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলা মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কি পেরে উঠবে বিজেএমসি?
মুক্তিযোদ্ধা কোচ শফিকুল ইসলাম জিততে মরিয়া। আর টুর্নামেন্টটা যখন ফেডারেশন কাপ, সাফল্যের সরণিটা শফিকুলের ভালোই চেনা। ছয়বার ফাইনালে ওঠা মুক্তিযোদ্ধাকে তিনবারই তিনি এনে দিয়েছেন শিরোপা!
কাগজে-কলমে মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে থাকলেও গ্রুপ পর্বে তারা হোঁচট খেয়েছে এই বিজেএমসির কাছেই। গ্রুপ পর্বে ৩-২ ব্যবধানে জয়টা বিজেএমসির একটা মনস্তাত্ত্বিক জয়ও। তবে ওই হার অনেক সতর্ক করে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে কাল বিজেএমসি দলকে অনুশীলনে পাওয়া গেল হালকা মেজাজে। কিন্তু বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘর মাঠে মুক্তিযোদ্ধার সৈনিকেরা অনুশীলন করলেন অখণ্ড মনোযোগে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে তাঁরা ৪০ মিনিটের ম্যাচ খেললেন। গোলরক্ষকহীন ম্যাচে গোল করে উল্লাসে মাতলেন কেউ কেউ! আজও নিশ্চয় স্ট্রাইকারদের এমন উল্লাস দেখতে চাইবে মুক্তিযোদ্ধা।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে ওঠা বিজেএমসিকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে। সেটিরই অনুরণন কোচ জাকারিয়া বাবুর কণ্ঠে, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। গত চার ম্যাচে মাঠেই প্রমাণ করেছি আমরা কেমন। ছেলেদের খেলায় ধারাবাহিকতা আছে।’ মুক্তিযোদ্ধাকে অবশ্য সমীহের চোখেই দেখছেন বিজেএমসি কোচ, ‘ওরা যোগ্য দল হিসেবেই সেমিফাইনালে উঠেছে।’ যদিও বিজেএমসি অধিনায়ক আলফাজ প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবার চাইতে নিজেদের খেলাটা নিয়েই বেশি ভাবতে চান, ‘মানসিকভাবে আমরা এগিয়ে আছি, এটা ভেবে বসে থাকলে চলবে না। মাঠে গিয়েই আমাদের সেটি প্রমাণ করতে হবে।’ মুক্তিযোদ্ধা কোচ শফিকুল আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে লড়তে চান মাঠে, ‘গ্রুপ পর্বে আমরা একটু খারাপ খেলেছি। এবার জেতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আশা করি, আগের ভুলগুলো আর হবে না।’
মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে কোনো কার্ড বা ইনজুরি সমস্যা নেই। তবে বিজেএমসির ক্যামেরুনিয়ান ডিফেন্ডার জুলস ইকাঙ্গা দুটি হলুদ কার্ডের কারণে আজ মাঠে নামতে পারবেন না।
No comments