‘পরিচালকদের শেয়ার কেনায় ছাড় নেই’
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনায় কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে আবারও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ব্যবসায়ীদের এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল তিনি একথা বলেন। তিনি জানান, বর্তমানে ১৫শ’ উদ্যোক্তা পরিচালক রয়েছে। তাদের ২% শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। সুতরাং এ ব্যাপারে কোন এক্সকিউজ শুনতে চাই না। এর আগে সেমিনারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নীতিটি বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়। সেমিনারে পুঁজিবাজারের পরিপত্র জারির অস্থিরতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটির নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে তারা তাদের মতো করে যা ভালো মনে করে তাই করবে। এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। গতকাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত দেশের অর্থনীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। ডিসিশন অন ইকোনমিক সিচুয়েশন শীর্ষক ওই সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব তারেক, এমসিসিআই সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমজাদ হোসেন চৌধুরীসহ আরও অনেকে। সেমিনারে মন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদায়ী বছরের অর্থনৈতিক প্রাপ্তি, মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের নিচে নামানোর পরিকল্পনা, বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামীতে করণীয়, বাজেট ঘাটতি কমানো, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কয়লার ঘাটতি ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি আইএমএফ’র অতিরিক্ত শর্তের ব্যাপারেও সমালোচনা করেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কে রয়েছে। কিভাবে এটাকে এক অঙ্কে নামিয়ে আনা যায় সরকার সেই চেষ্টাই করছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, এর আগে ১৯৮১ ও ২০০৪ সালে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কে উঠেছিল। ’৮১ সালে মূল্যস্ফীতির হার ১৬% পর্যন্ত উঠেছিল এবং এটা বেশ অনেকদিন ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দু’টি পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি তুলে দিয়ে বাজেট ঘাটতি কমানো ও বৈদেশিক সাহায্যের সঠিক ব্যবহার। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপি’র ৫% পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
No comments