শেয়ারবাজার-এবার সরকারকে সক্রিয় হতেই হবে
আস্থার সংকট, সুপরিকল্পনা ও সঠিক নির্দেশনার অভাবের অনিবার্য ফল দরপতন। বছর তিনেক আগে দরপতনের যে ধারা শুরু হয়েছিল, তা থামানো যায়নি। শেয়ারবাজারের দরপতন ও শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকারের গঠন করা কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে। শেয়ারবাজারের অস্থিরতা কাটিয়ে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সে রিপোর্টে কিছু সুপারিশও ছিল। কিন্তু শেয়ারবাজারের অস্থিরতা কাটেনি।
দরপতনের ধারা থেকে রক্ষা করা যায়নি শেয়ারবাজারকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মুনাফার প্রলোভন। রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছেই।
গেল সপ্তাহের শেষ দিনে শেয়ারবাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও আগের তিন দিন পতনের ধারা ছিল অব্যাহত। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আছে কি না সেটা স্পষ্ট নয়। দেশের শেয়ারবাজার অল্প সময়ে অধিক মুনাফার বাজার, এমন একটা ধারণা সম্ভবত বিনিয়োগকারীদের ছিল। ফলে বাজারের গতি-প্রকৃতি বুঝে ওঠার আগেই অনেকে বিনিয়োগ করতে আসেন এখানে। কিন্তু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আগে যে কতগুলো বিষয় জানতে হয়, মৌলিক কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হয়_এটা অনেক বিনিয়োগকারীরই অজানা। ফলে প্রতিদিনের কেনাবেচার ভেতর দিয়ে মুনাফার প্রলোভনে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তেমনটিই ঘটেছে। কিন্তু এর পরও সরকার রাস টেনে ধরতে পারত। সরকারের ভূমিকা স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। গেল সপ্তাহে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে বুধবার বিকেলে একটি পরিপত্র জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। পুঁজিবাজারের টালমাটাল অবস্থায় বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্রটি জারি করা হয়। ফটকা ব্যবসায়ে সরকারি-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিনিয়োগ নিয়ে পরিপত্র জারির জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাটক শেষ হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে সকালে এক সিদ্ধান্ত, বিকেলে এক সিদ্ধান্ত_এ পরিস্থিতি কেন হচ্ছে? সরকারের কাছ থেকে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এ জাতীয় সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। সরকারের এসব সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে। দুই সপ্তাহ আগে শেয়ারবাজার মোটামুটি একটা স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছিল। সেই বাজার আবার কেন অস্থির হয়ে গেল, তার কার্যকারণ খুঁজতে হবে। কারা বাজারে এ অস্থিরতা তৈরি করছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে কিছু লোক বসে, তারাই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে_এমন আশঙ্কাও এখন আর অমূলক নয়।
সরকারকে শেয়ারবাজারের ব্যাপারে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এখনই সরকার সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আরো বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। প্রলোভন থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তই পারে শেয়ারবাজারকে পতন থেকে উদ্ধার করতে।
গেল সপ্তাহের শেষ দিনে শেয়ারবাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও আগের তিন দিন পতনের ধারা ছিল অব্যাহত। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আছে কি না সেটা স্পষ্ট নয়। দেশের শেয়ারবাজার অল্প সময়ে অধিক মুনাফার বাজার, এমন একটা ধারণা সম্ভবত বিনিয়োগকারীদের ছিল। ফলে বাজারের গতি-প্রকৃতি বুঝে ওঠার আগেই অনেকে বিনিয়োগ করতে আসেন এখানে। কিন্তু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আগে যে কতগুলো বিষয় জানতে হয়, মৌলিক কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হয়_এটা অনেক বিনিয়োগকারীরই অজানা। ফলে প্রতিদিনের কেনাবেচার ভেতর দিয়ে মুনাফার প্রলোভনে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তেমনটিই ঘটেছে। কিন্তু এর পরও সরকার রাস টেনে ধরতে পারত। সরকারের ভূমিকা স্পষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। গেল সপ্তাহে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে বুধবার বিকেলে একটি পরিপত্র জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। পুঁজিবাজারের টালমাটাল অবস্থায় বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্রটি জারি করা হয়। ফটকা ব্যবসায়ে সরকারি-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিনিয়োগ নিয়ে পরিপত্র জারির জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাটক শেষ হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে সকালে এক সিদ্ধান্ত, বিকেলে এক সিদ্ধান্ত_এ পরিস্থিতি কেন হচ্ছে? সরকারের কাছ থেকে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এ জাতীয় সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। সরকারের এসব সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে। দুই সপ্তাহ আগে শেয়ারবাজার মোটামুটি একটা স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছিল। সেই বাজার আবার কেন অস্থির হয়ে গেল, তার কার্যকারণ খুঁজতে হবে। কারা বাজারে এ অস্থিরতা তৈরি করছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে কিছু লোক বসে, তারাই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে_এমন আশঙ্কাও এখন আর অমূলক নয়।
সরকারকে শেয়ারবাজারের ব্যাপারে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এখনই সরকার সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আরো বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। প্রলোভন থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তই পারে শেয়ারবাজারকে পতন থেকে উদ্ধার করতে।
No comments