বিরোধী দলের অংশগ্রহণ বাঞ্ছনীয়-রাষ্ট্রপতির সংলাপ
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির সময়োপযোগী সংলাপের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বিরোধী দল প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সংলাপ ছাড়া তাদের সামনে কোনো গতি নেই। অবশ্য এটা নির্ভর করে উভয় পক্ষের উপলব্ধির ওপর যে, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করায় আগ্রহী।
যদিও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি শুধু নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনায় অনাগ্রহ ব্যক্ত করেছে, তবে তারা এই সংলাপের প্রস্তাবকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়নি। দুই প্রধান দলেরই দুটি প্রধান দুর্বলতা রয়েছে। ক্ষমতাসীনেরা বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা যেমন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, তেমনি বিরোধী দলের হাতেও এমন জাদুমন্ত্র নেই, যা দিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই তাদের দাবি পূরণ করতে পারবে। এখন যারা ক্ষমতায়, তাদের হাতেও ছিল না।
সুতরাং, দুই দলকেই উভয়ের জন্য লাভজনক উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সে কারণে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সংলাপের উদ্যোগকে দুই দলেরই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আলোচনার যে সূত্রপাত ঘটবে, তাতে অন্যান্য বিষয়ও যুক্ত হতে পারে। ক্ষমতাসীনদের উচিত সে জন্য প্রস্তুত থাকা। গত ১৬ জুন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, নিরপেক্ষ যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা এবং প্রশাসনকে নির্দলীয়করণের ব্যাপারে প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে চাই।’ এই প্রেক্ষাপটে বিরোধী দল রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে তাদেরই আহ্বানে সরকারি দলের আংশিক সাড়া হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। এখন বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টিকে সংলাপের শর্ত করলে প্রস্তাবিত সংলাপের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে।
আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের একটি মতৈক্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকাঠামো বাস্তবে রূপ দিতে সংবিধান বাধা হবে বলে মনে করি না। উপরন্তু, প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের যে বক্তব্য রয়েছে, তা-ও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
বিএনপি অস্বীকার করতে পারে না যে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, যা ক্ষমতাসীন দল কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে সামনে আনেনি। উপরন্তু, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি পৃথকভাবে বিবেচনা করার যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা খুবই জোরালো। কারণ, একপক্ষীয় ধ্যান-ধারণানির্ভর নির্বাচন কমিশন যে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত ও অবিশ্বাস বাড়াবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার ও বিরোধী দল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যদি মতৈক্যে পৌঁছাতে পারে, তাহলে সেই পথ ধরে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার ব্যাপারেও সমঝোতায় আসা অসম্ভব নয়।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট যেকোনো উপযুক্ত পদে নাম বাছাই করা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের একটা অনুশীলন নেপথ্যে কিংবা প্রকাশ্যে অবশ্যই হতে হবে। সুতরাং, সংলাপের সূচনা শুভস্য শীঘ্রম।
সুতরাং, দুই দলকেই উভয়ের জন্য লাভজনক উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সে কারণে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সংলাপের উদ্যোগকে দুই দলেরই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আলোচনার যে সূত্রপাত ঘটবে, তাতে অন্যান্য বিষয়ও যুক্ত হতে পারে। ক্ষমতাসীনদের উচিত সে জন্য প্রস্তুত থাকা। গত ১৬ জুন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, নিরপেক্ষ যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা এবং প্রশাসনকে নির্দলীয়করণের ব্যাপারে প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে চাই।’ এই প্রেক্ষাপটে বিরোধী দল রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে তাদেরই আহ্বানে সরকারি দলের আংশিক সাড়া হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। এখন বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টিকে সংলাপের শর্ত করলে প্রস্তাবিত সংলাপের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে।
আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের একটি মতৈক্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকাঠামো বাস্তবে রূপ দিতে সংবিধান বাধা হবে বলে মনে করি না। উপরন্তু, প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের যে বক্তব্য রয়েছে, তা-ও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
বিএনপি অস্বীকার করতে পারে না যে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, যা ক্ষমতাসীন দল কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে সামনে আনেনি। উপরন্তু, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি পৃথকভাবে বিবেচনা করার যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা খুবই জোরালো। কারণ, একপক্ষীয় ধ্যান-ধারণানির্ভর নির্বাচন কমিশন যে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত ও অবিশ্বাস বাড়াবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার ও বিরোধী দল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যদি মতৈক্যে পৌঁছাতে পারে, তাহলে সেই পথ ধরে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার ব্যাপারেও সমঝোতায় আসা অসম্ভব নয়।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট যেকোনো উপযুক্ত পদে নাম বাছাই করা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের একটা অনুশীলন নেপথ্যে কিংবা প্রকাশ্যে অবশ্যই হতে হবে। সুতরাং, সংলাপের সূচনা শুভস্য শীঘ্রম।
No comments