বিএসএফের বর্বরতা-জড়িতদের কঠোর শাস্তি চাই
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা আবারও ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কাহারপাড়া সীমান্তের একটি ফাঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেলিম খান নামের এক গরু ব্যবসায়ী যুবককে ধরে একটি বাঁশের সঙ্গে পিঠমোড়া করে বাঁধেন। ভারতের এনডিটিভিতে প্রচারিত এক ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ফেলেন, তার গোপনাঙ্গে পেট্রল ঢেলে দেয় এবং সমানে পেটাতে থাকে।
যুবকটি মাটিতে পড়ে গেলে একজন তাঁর বুকের ওপর চেপে বসে, অন্যজন দুই পা উঁচু করে ধরে এবং আরেকজন পায়ের তালুতে পেটাতে থাকে। মুমূর্ষু অবস্থায় পরে তাঁকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়। জানা যায়, গরুপ্রতি এক হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর ওপর অত্যাচারের এই খৰ নেমে আসে। একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এ ধরনের আচরণ সভ্য দুনিয়ার সব ধরনের রীতিনীতির পরিপন্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদ বা ঘৃণা প্রকাশের ভাষাও আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে কালের কণ্ঠসহ অন্যান্য পত্রিকায় গতকাল বৃহস্পতিবার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ ডিসেম্বর, আর এনডিটিভি মুঠোফোনে ধারণকৃত সেই চিত্রটি প্রকাশ করেছে গত বুধবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি। এক বিএসএফ সদস্যেরই ধারণ করা এই চিত্রটি ঘটনাক্রমে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভারতেও তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চরমৌরুসি সীমান্ত চৌকির আট বিএসএফ সদস্যকে এ জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে এবং তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে (বিএসএফ) বাংলাদেশিদের হত্যা বা নির্যাতনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়_হরহামেশাই ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। আর তা দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে। ইতিমধ্যে বিজিএফ-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকেও এ ব্যাপারে বহু আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে। সীমান্তে আর কোনো নিরীহ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হবে না বলে ভারতীয় পক্ষ আশ্বাসও দিয়েছে। এ কারণে তারা বিএসএফকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু বিলম্বে প্রকাশিত গত ৯ ডিসেম্বরের ঘটনা আলোচনার সব সুফল ম্লান করে দিয়েছে। আরেকটি সত্যও এর ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে সেটি হলো, ভারতীয় পক্ষ বরাবরই দাবি করে আসছিল যে বিএসএফ নমনীয় হলেই সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে। এসব হামলায় বছরভিত্তিক বিএসফ জওয়ান আহত হওয়ার পরিসংখ্যানও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনডিটিভি প্রচারিত ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যায়, সেলিম খানকে প্রথমে আটক করা হয় এবং তিনি কোনো উদ্ধত আচরণও করেননি। তার পরও এ ধরনের বর্বর অত্যাচার বিএসএফের সেসব দাবির অসাড়তাই প্রমাণ করে। এর আগে ফেলানী নামে যে কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, সেও নিশ্চয় বিএসএফকে আক্রমণ করেনি।
চোরাচালান দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই একটি বড় ধরনের হুমকি। সেটি অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু চোরাচালান বন্ধ করতে গিয়ে গুলি চালানো কিংবা বর্বরোচিত অত্যাচার, কোনোটাই কাম্য নয়। উভয় দেশের প্রচলিত আইনেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে, অপরাধকারীও একজন মানুষ। আইন অনুযায়ী তিনি সে জন্য শাস্তি পাবেন। কিন্তু এ ধরনের বর্বরোচিত অত্যাচার কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কালের কণ্ঠসহ অন্যান্য পত্রিকায় গতকাল বৃহস্পতিবার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ ডিসেম্বর, আর এনডিটিভি মুঠোফোনে ধারণকৃত সেই চিত্রটি প্রকাশ করেছে গত বুধবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি। এক বিএসএফ সদস্যেরই ধারণ করা এই চিত্রটি ঘটনাক্রমে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভারতেও তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চরমৌরুসি সীমান্ত চৌকির আট বিএসএফ সদস্যকে এ জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে এবং তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে (বিএসএফ) বাংলাদেশিদের হত্যা বা নির্যাতনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়_হরহামেশাই ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। আর তা দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে। ইতিমধ্যে বিজিএফ-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকেও এ ব্যাপারে বহু আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে। সীমান্তে আর কোনো নিরীহ বাংলাদেশিকে হত্যা করা হবে না বলে ভারতীয় পক্ষ আশ্বাসও দিয়েছে। এ কারণে তারা বিএসএফকে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র সরবরাহের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু বিলম্বে প্রকাশিত গত ৯ ডিসেম্বরের ঘটনা আলোচনার সব সুফল ম্লান করে দিয়েছে। আরেকটি সত্যও এর ভেতর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে সেটি হলো, ভারতীয় পক্ষ বরাবরই দাবি করে আসছিল যে বিএসএফ নমনীয় হলেই সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে। এসব হামলায় বছরভিত্তিক বিএসফ জওয়ান আহত হওয়ার পরিসংখ্যানও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনডিটিভি প্রচারিত ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যায়, সেলিম খানকে প্রথমে আটক করা হয় এবং তিনি কোনো উদ্ধত আচরণও করেননি। তার পরও এ ধরনের বর্বর অত্যাচার বিএসএফের সেসব দাবির অসাড়তাই প্রমাণ করে। এর আগে ফেলানী নামে যে কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, সেও নিশ্চয় বিএসএফকে আক্রমণ করেনি।
চোরাচালান দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই একটি বড় ধরনের হুমকি। সেটি অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু চোরাচালান বন্ধ করতে গিয়ে গুলি চালানো কিংবা বর্বরোচিত অত্যাচার, কোনোটাই কাম্য নয়। উভয় দেশের প্রচলিত আইনেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে, অপরাধকারীও একজন মানুষ। আইন অনুযায়ী তিনি সে জন্য শাস্তি পাবেন। কিন্তু এ ধরনের বর্বরোচিত অত্যাচার কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
No comments