মার্কেটের দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিতে শিশু নিহত
মার্কেটের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্তত ৩০ জন। রাজধানীর উপকণ্ঠে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মমতাজ মার্কেট (সাবেক সাদেক কলোনি) দখল করতে আসে। তারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে মার্কেটে ঢুকে কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় গুলিতে সোহেল (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়। সোহেল আমবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।
পরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহিদুল হক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কাজী মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মীরা সংগঠিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়ে দখল-চেষ্টাকারীদের হটিয়ে দেন। দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় দখল-চেষ্টাকারীরা ২০ থেকে ২৫টি গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় দোকান-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন: মার্কেটের পক্ষে ছাত্রলীগের সভাপতি সাহিদুল হক সাহিদ, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী বাবুল ঢালী, পোশাকশ্রমিক দিদার হোসেন, জামাল, দেলোয়ার হোসেন দিলু ও শফিক। আহত বাবুল ঢালীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মজিবর গ্রুপের পক্ষে আহত হয়েছেন: ঢাকা জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, কালাম ও জামাল।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও কোনো কিছুই করেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পূর্ব আগানগরের ওই এলাকা তৈরি পোশাকের পাইকারি বাণিজ্যকেন্দ্র। সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পোশাক কিনে থাকেন। এখানে ১২টি মার্কেটে সহস্রাধিক দোকান আছে। সংঘর্ষের কারণে সারা দিন এসব দোকান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার পর কয়েকটি দোকান খুলেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বর্তমান মমতাজ মার্কেটের মালিক সাদেক হোসেন। এলাকাটি আগে সাদেক কলোনি হিসেবে পরিচিত ছিল। সাদেক হোসেনের কাছ থেকে ৭০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে পোশাক ব্যবসায়ীরা ওই জায়গায় মমতাজ মার্কেট গড়ে তোলেন। একতলা টিনের ছাপড়ার প্রায় আড়াই শ দোকান আছে এখানে।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে সাদেক হোসেনের চুক্তি ছিল মার্কেটের জমি বিক্রি করলে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করতে হবে। কিন্তু সাদেক হোসেনের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের না জানিয়ে হাজি মজিবর রহমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা আদালতে মামলা করেন। আদালত ওই জায়গায় স্থিতাবস্থা জারি করেন। আদালতের স্থিতাবস্থা থাকা অবস্থায় হাজি মজিবর রহমান মার্কেটের জায়গা দখল করতে গতকাল হামলা চালান বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন।
মমতাজ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন বলেন, কিছুদিন ধরে মজিবর ও তাঁর লোকজন নানাভাবে মার্কেটের জায়গা দখলের চেষ্টা করছিলেন। তাতে কাজ না হওয়ায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে হাজি মজিবরের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি ছুড়ে মার্কেটে হামলা চালায়। তারা মার্কেটের লোকজনকে মারধর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাদের গুলিতে এক শিশু নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
অভিযুক্ত হামলাকারী হাজি মজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বছর খানেক আগে প্রয়াত সাদেক হোসেন গংয়ের কাছ থেকে মমতাজ মার্কেটের ৭০ শতাংশ জায়গা কিনে নিয়েছি। বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভাড়াটেরা সরে না যাওয়ায় আমি জায়গা বুঝে নিতে গিয়েছিলাম। এ সময় মার্কেটের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, একদল মার্কেট দখল করতে এসেছিল। আরেক দল প্রতিহত করেছে। কারা গুলি করেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা যায়নি। তিনি জানান, এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। চিহ্নিত করা যায়নি অস্ত্রবাজদের। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।
এলাকাবাসীর বিক্ষোভ: গুলিতে শিশু নিহত হওয়ার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করেছে। তারা ঘটনার সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সন্ধ্যায় থানার ওসি জানান, সোহেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
পরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহিদুল হক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কাজী মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মীরা সংগঠিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়ে দখল-চেষ্টাকারীদের হটিয়ে দেন। দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় দখল-চেষ্টাকারীরা ২০ থেকে ২৫টি গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় দোকান-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন: মার্কেটের পক্ষে ছাত্রলীগের সভাপতি সাহিদুল হক সাহিদ, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী বাবুল ঢালী, পোশাকশ্রমিক দিদার হোসেন, জামাল, দেলোয়ার হোসেন দিলু ও শফিক। আহত বাবুল ঢালীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মজিবর গ্রুপের পক্ষে আহত হয়েছেন: ঢাকা জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, কালাম ও জামাল।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও কোনো কিছুই করেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পূর্ব আগানগরের ওই এলাকা তৈরি পোশাকের পাইকারি বাণিজ্যকেন্দ্র। সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পোশাক কিনে থাকেন। এখানে ১২টি মার্কেটে সহস্রাধিক দোকান আছে। সংঘর্ষের কারণে সারা দিন এসব দোকান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার পর কয়েকটি দোকান খুলেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বর্তমান মমতাজ মার্কেটের মালিক সাদেক হোসেন। এলাকাটি আগে সাদেক কলোনি হিসেবে পরিচিত ছিল। সাদেক হোসেনের কাছ থেকে ৭০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে পোশাক ব্যবসায়ীরা ওই জায়গায় মমতাজ মার্কেট গড়ে তোলেন। একতলা টিনের ছাপড়ার প্রায় আড়াই শ দোকান আছে এখানে।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে সাদেক হোসেনের চুক্তি ছিল মার্কেটের জমি বিক্রি করলে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করতে হবে। কিন্তু সাদেক হোসেনের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের না জানিয়ে হাজি মজিবর রহমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা আদালতে মামলা করেন। আদালত ওই জায়গায় স্থিতাবস্থা জারি করেন। আদালতের স্থিতাবস্থা থাকা অবস্থায় হাজি মজিবর রহমান মার্কেটের জায়গা দখল করতে গতকাল হামলা চালান বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন।
মমতাজ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন বলেন, কিছুদিন ধরে মজিবর ও তাঁর লোকজন নানাভাবে মার্কেটের জায়গা দখলের চেষ্টা করছিলেন। তাতে কাজ না হওয়ায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে হাজি মজিবরের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি ছুড়ে মার্কেটে হামলা চালায়। তারা মার্কেটের লোকজনকে মারধর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাদের গুলিতে এক শিশু নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
অভিযুক্ত হামলাকারী হাজি মজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বছর খানেক আগে প্রয়াত সাদেক হোসেন গংয়ের কাছ থেকে মমতাজ মার্কেটের ৭০ শতাংশ জায়গা কিনে নিয়েছি। বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভাড়াটেরা সরে না যাওয়ায় আমি জায়গা বুঝে নিতে গিয়েছিলাম। এ সময় মার্কেটের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, একদল মার্কেট দখল করতে এসেছিল। আরেক দল প্রতিহত করেছে। কারা গুলি করেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা যায়নি। তিনি জানান, এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। চিহ্নিত করা যায়নি অস্ত্রবাজদের। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।
এলাকাবাসীর বিক্ষোভ: গুলিতে শিশু নিহত হওয়ার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করেছে। তারা ঘটনার সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সন্ধ্যায় থানার ওসি জানান, সোহেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
No comments